OrdinaryITPostAd

কিভাবে একটি আকর্ষনীয় আর উপভোগ্য অনলাইন কোর্স তৈরী করা যায়-Nullblogger

 


এই আর্টিকেলটিতে আমি-(Nullblogger) আপনাদের শিখাব কিভাবে একটি আকর্ষনীয় আর উপভোগ্য অনলাইন কোর্স তৈরী করা যায়, তাও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। অনলাইন কোর্স তৈরী করে আপনি আপনার স্কিল অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারেন, পাশাপাশি গড়ে তুলতে পারেন একটি লাভজনক অনলাইন বিজনেস।

একটি বেস্ট সেলিং অনলাইন কোর্স তৈরী করতে প্রয়োজন গভীর মনোযোগ, শ্রম আর সময়। টাকা এখানে মূখ্য বিষয় নয়, বরং আপনি যে রিসার্চ করে কাজটি করছেন, সেটাই আপনাকে এনে দিবে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল।

তবে চিন্তার কারণ নেই, আমি নিচের স্টেপগুলোতে আপনাকে বুঝিয়ে বলব সফল অনলাইন ক্লাস তৈরির খুঁটিনাটি। তবে মনে রাখবেন, এখানে প্রতিটি স্টেপই খুব জরুরি, কোনোটা বাদ দিয়ে যাওয়া যাবে না।

তাহলে আর দেরি না করে নিচের চেকলিস্টটা দেখে নিনঃ

চলুন বিস্তারিত টপিকে –

১। কোর্স টপিকটি ঠিক করুন বুঝেশুনেঃ

আপনার প্ল্যানের প্রথম ধাপ হচ্ছে কোন টপিকে কোর্সটি হবে তা নির্ধারণ করা। যদি প্রথমেই টপিক সম্পর্কে আপনি সিউর না হন, তাহলে কোর্সটি মনমতো না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আর সেইসাথে আপনার আর আপনার ছাত্রদের সময়ও এতে নষ্ট হবে।

তাই কোর্স টপিকটি নির্ধারণ করতে নিজেকে তিনটি প্রশ্ন করুন।

২। আপনার টার্গেট অডিয়েন্সদের-Nullblogger: খুঁজে বের করুনঃ

টপিক নির্ধারণের পর এবার আপনার সবচে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল আপনার কোর্সটি কাদের জন্য তৈরী করছেন, তাদের খুঁজে বের করা।

এক্ষেত্রেও আপনাকে খুব স্পেসিফিক হতে হবে, অর্থাৎ “যে কেউ কোর্সটি করতে পারে” এধরণের মনোভাব নিয়ে কাজ শুরু করা যাবে না। প্রথমে অডিয়েন্সকে চিনে নিন।

আপনার অডিয়েন্সের ডেমোগ্রাফিকস যেভাবে নির্ধারণ করবেনঃ

  • বয়সঃ আপনার অডিয়েন্সদের গড় বয়স কেমন হবে তা নির্ধারণ করে সেই অনুযায়ী লেখার ধরণ ঠিক করুন।
  • জেন্ডারঃ আপনার ক্লাসের যে টপিক তাতে ছেলেরা বেশি ইন্টারেস্টেড হবে নাকি মেয়েরা বেশি ইন্টারেস্টেড হবে সেটা নির্ধারণ করুন।
  • কতটুকু শিক্ষিতঃ আপনি যেই অডিয়েন্সের জন্য কোর্স ডিজাইন করছেন, তারা কতটুকু শিক্ষিত তার উপর নির্ভর করছে কেমন হবেকোর্সটি। যেমন, একটি ইঞ্জিনিয়ারিং টপিকে কোর্স বানালে, ধরে নিন বেশির ভাগ শিক্ষার্থী হয় ইঞ্জিনিয়ার নয় এ বিষয়ে পড়ছে।
  • এমপ্লয়মেন্ট স্ট্যাটাসঃ যাদেরকে টার্গেট করে আপনি কোর্সটি তৈরী করছেন, তারা চাকুরীজীবী নাকি ছাত্র/ চাকুরী প্রত্যাশী তাও খেয়াল করবেন।


 

 

৩। আপনার টার্গেট অডিয়েন্সদের খুঁজে বের করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় রিসার্চ করুনঃ

অডিয়েন্স রিসার্চের ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়াকে বলা চলে গোল্ড মাইন। আপনার টপিক নিয়ে পোস্ট করুন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আর দেখে নিন কোথায় কেমন সাড়া পাচ্ছেন।

আপনার সুবিধার্থে সোশ্যাল মিডিয়াতে অডিয়েন্স রিসার্চের একটি দারুণ মেথড শেয়ার করছি।

  • আপনার টপিক সম্পর্কিত বিষয়ে শেখানো হয় এমন Facebook Group খুঁজে বের করুন।
  • আপনার অনলাইন কোর্সটি সম্পর্কে শেখানে একটি গুছানো পোস্ট করুন।
  • যারা সেসব পোস্টে কোনো ভাবে রিএক্ট করবে তাদের সাথে যোগাযোগ করুন, অথবা একটি অনলাইন সার্ভে তৈরী করুন।
  • আপনার অডিয়েন্সদের ডাটা কালেক্ট করুন আর তাদের কি বিষয়ে ইন্টারেস্ট আছে, সেগুলো লিস্ট করুন।
  • ডাটা এনালাইজ করে বের করুন , আপনার কোর্সটি কিভাবে সাজালে সেটি সবার থেকে বেশি সাড়া পাবে।

ব্যস! এখন আপনি পেয়ে গেছেন আপনার টার্গেট অডিয়েন্স কারা, আর তারা কি শিখতে আগ্রহী।

৪।আপনার কোর্সটির গঠন আর কাঠামো নির্ধারন করে ফেলুনঃ

এখন যেহেতু কি শিখাবেন, কাদের শিখাবেন ঠিক করলেন, এবার শুরু করে দিন কোর্স তৈরীর কাজ।

এমন ভাবে কোর্সটি সাজান যাতে একদম নতুন যারা তারাও কিছু শিখতে পারে। আবার যারা একটু দক্ষ আর এগিয়ে থাকা শিক্ষার্থী, তারাও চ্যালেঞ্জিং কিছু পায়।

মনে রাখবেন, শুধু তথ্য আর তত্ত্বজ্ঞান দিয়ে গেলেই হবে না, এমনভাবে শেখাতে হবে যেন বিষয়টা সকলের কাছেই উপভোগ্য হয়।

কি কি পড়াবেন ঠিক করার পর কোনটি আগে যাবে, কোনটি পরে সেটা ঠিক করুন। কোথায় কখন কোন এক্সারসাইজ করলে ছাত্ররা ঠিকভাবে টপিকটা রপ্ত করবে সেটা নির্ধারণ করে নিন।

অনলাইন কোর্সটির একটি আউটলাইন তৈরী করুনঃ

আপনার এতক্ষনে নিশ্চয় কিভাবে কোর্সটি সাজাবেন তা ঠিক করা হয়েছে, তাহলে একটি আউটলাইন তৈরী করা যাক। আউটলাইন তৈরী করা কোর্স সাজানোর মতই, এবার শুধু আপনি ম্যাটেরিয়ালস দিয়ে কিভাবে পড়াবেন সেটা ঠিক করবেন।

যেভাবে কোর্স আউটলাইনটি তৈরী করবেনঃ

  • কোর্সের ফলাফল কি তা ভাবুনঃ
    • নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন আপনার শিক্ষার্থীরা কোর্সটি করে কি কি শিখবে আর সেই শিক্ষা থেকে তাদের কী লাভ হবে। এটি আপনার আর আপনার শিক্ষার্থী দুই পক্ষের জন্যই লাভজনক। আপনি কোর্সের প্রতি ধাপে ধাপে তাহলে নির্দিষ্ট একটি দিকে ফোকাসড থাকতে পারবেন।
    • আর ছাত্রদের লাভ হবে এই যে, তারা প্রথম থেকেই একটা লক্ষ্য নির্ধারন করে কাজ শুরু করতে পারবে। এতে কোর্স পুরোপরি শেষ না করে বের হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।
  • এই প্রাথমিক ফলাফল অর্জন করতে কি কি স্কিল অর্জন করতে হবেঃ
    • যেই লক্ষ্যটি আপনি নির্ধারন করেছেন, সেটা সম্পূর্ণ করতে শিক্ষার্থীদের কি জ্ঞান অর্জন করতে হবে তা ঠিক করুন। আর স্কিল গুলোর একটি চেকলিস্ট করে নিন। তাহলে আপনার আর শিক্ষার্থীদের উভয়েরই লাভ।
  • স্কিলগুলোর চেকলিস্ট দিয়ে কোর্সের মডিউল তৈরী করুনঃ
    • আপনি যেই চেকলিস্টটি তৈরী করেছেন, সেটি দেখুন আর কোন স্কিলগুলো কাছাকাছি তা ঠিক করুন। এতে আপনার মডিউল ফলো করা শিক্ষার্থীদের জন্য সহজ হবে।
    • খেয়াল রাখবেন, কন্টেন্ট যতটুকু প্রয়োজন তার থেকে বেশি যাতে না হয়, এতে কোর্সটি বোরিং হয়ে যাবে।
    • যেই স্কিলগুলো বেসিক এবং সহজ সেগুলো শুরুর দিকে রাখুন, আর কঠিন গুলো রাখুন শেষের দিকে। এভাবেই মডিউল তৈরির কাজটি শেষ করুন।
  • আপনার কোর্স মডিউলের লার্নিং গোল নির্ধারণ করুনঃ
    • আপনার কোর্সের লক্ষ্য আপনি পূর্বেই ঠিক করেছেন, কিন্তু এক্ষেত্রে কিছু কাজ বাকি আছে। কোর্সটির প্রতিটি সেকশনের লার্নিং গোলও ঠিক করতে হবে।

     

এতে করে আপনার কোর্সটি আরও বেশি উপভোগ্য হয়ে উঠবে।

৫। আইডিয়াগুলো ব্রেইনস্টর্ম করুনঃ

আপনি যদি কোর্সটি নিয়ে কিভাবে আগাবেন চিন্তা করে না পান, তাহলে নিচের চেকলিস্টটি কম্পলিট করুনঃ

  • আপনার সাবজেক্টটির মূল বক্তব্য কী?
  • কিভাবে একটি ইন্ট্রোডাক্টরি লেসন দিয়ে পুরাটা কোর্সের মূল বক্তব্য তুলে ধরবেন?
  • এরপর ক্লাসগুলো একে একে কিভাবে সাজাবেন?
  • কিভাবে কোর্সটি শেষ করবেন?

কাজের সময় অবশ্যই আপনার শিখনফল আর লক্ষ্যগুলো মাথায় রাখবেন। কয়টি লেসন তৈরী করবেন সেটাও একটি লক্ষনীয় বিষয়। খুব কম হলে আপনি সবটা টপিক বুঝিয়ে বলতে পারবেন না, আবার বেশি হলেও কোর্সটি উপভোগ্য থাকবে না। তাই আগেই ঠিক করে নিন কোন সেকশনে কয়টি ক্লাস নিবেন।

৬। অনলাইন কোর্স আউটলাইন ট্যাম্পলেটঃ

কিছু জনপ্রিয় অনলাইন কোর্স আউটলাইট ট্যাম্পলেট নিচে দেওয়া হল, যা আপনি ফ্রি পেতে পারেন।

৭। আপনার কোর্সটির জন্য একটি সফটওয়্যার বা প্লাটফর্ম নির্বাচন করুনঃ

আপনার কোর্সটি কোন মাধ্যমে ইন্টারনেটে আপ্লোড করবেন তা ঠিক করুন। আপনার নিজের ওয়েবসাইটেও হতে পারে, আবার কোনো লার্নিং প্লাটফর্মেও তা হতে পারে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দুইক্ষেত্রে কি সুবিধা অসুবিধা আছে জেনে নিন।

  • আপনার নিজের প্লাটফর্মে যদি আপলোড করেন তাহলে যে সুবিধা গুলো পাচ্ছেনঃ
    • নিজের ব্র্যান্ড এবং পরিচিতি তৈরী করতে পারবেন।
    • নিজের পছন্দমতো প্রাইসিং করতে পারবেন।
  • আর যে অসুবিধাগুলো আছেঃ
    • নিজেকেই মার্কেটিং করতে হবে, শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করতে হবে।
    • পেমেন্টের কোনো ঝামেলা হলেও নিজে সামলাতে হবে।

আবার যখন কোনো লার্নিং প্লাটফর্মে আপনার কোর্সটি আপলোড করবেন তখন কিছু বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। মার্কেটপ্লেসে আপনার কোর্সটির অনেক কম্পিটিটর থাকবে, তাদের কোর্সও আপনার কোর্সের পাশাপাশিই রাখা হবে। আর পেমেন্টও করতে হবে তাদের ইচ্ছামতো। তবে এক্ষেত্রে বড় একটি সমস্যা হচ্ছে, একই বিষয়ে অলরেডি এতো বেশি সফল কোর্স আছে যে, নতুনদের জন্য সফল হওয়ার সুযোগ কম।

 

৮। কোর্স কন্টেন্ট তৈরী করুনঃ

প্লাটফর্ম সিলেক্ট করার পর এবার আপনার কোর্সের কন্টেন্ট তৈরীর পালা।

অনলাইন কন্টেন্টের প্রকারভেদ জেনে নিনঃ

আপনার জ্ঞান অডিয়েন্স পর্যন্ত পৌঁছে দিতে বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট ব্যবহার করতে পারেন। যেমনঃ

  • টেক্সট কন্টেন্ট
    • টেক্সট কন্টেন্ট কোর্স ক্রিয়েশনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি, এতে কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু শুধু টেক্সট কন্টেন্ট ব্যবহার করলে কোর্সটি বোরিং হয়ে যাবে। তাই পাশাপাশি অন্য কন্টেন্টও রাখুন।
  • ভিডিও বা ইমেজ কন্টেন্ট
    • ভিডিও বা ইমেজ কন্টেন্ট ব্যবহার করে কোর্সটিকে আরও আকর্ষনীয় করে তুলে ধরতে পারেন। এক্ষেত্রে সহজ উপায় হল পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন তৈরী করা। এছাড়াও আপনার টপিক সংক্রান্ত ছবি, ভিডিও যুক্ত করতে পারেন এতে আপনার কোর্সটি আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।
  • স্ক্রিনকাস্টিং কন্টেন্ট
    • এটিও একধরনের ভিডিও কন্টেন্ট, কিন্তু এক্ষেত্রে আপনি আপনার ভিডিওর বদলে স্ক্রিনে কিছু করে দেখাচ্ছেন। সফটওয়্যার সংক্রান্ত কোর্সে এটা বেশ কার্যকর।

এক বা দুই ধরনের কন্টেন্ট মিলিয়ে আপনার কাজ শুরু করতে পারেন।

৯। আপনার কন্টেন্ট শিক্ষার্থীদের কাছে যথেষ্ট আকর্ষনীয় কিনা খেয়াল রাখুনঃ

ই-লার্নিং প্লাটফর্মে সফল হতে হলে আপনাকে অবশ্যই এমন কন্টেন্ট তৈরী করতে হবে যা যথেষ্ট এঙ্গেজিং অর্থাৎ যা শিক্ষার্থীদেরকে আপনার কার্যক্রমের সাথে সবসময় যুক্ত রাখবে।

এমন কন্টেন্ট তৈরী করতে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো খেয়াল রাখুনঃ

  • আপনার কন্টেন্টের ফোকাস সবসময় ঠিক রাখুনঃ
    • শিক্ষক হিসেবে আপনার দায়িত্ব শুধু তথ্য আওড়িয়ে যাওয়া নয়, বরং শিক্ষার্থীদেরকে কন্টেন্ট বুঝিয়ে দেওয়া, তাদের ভুল গুলো শুধরে দেওয়া। তাই ফোকাসটি ঠিক রাখুন আর কন্টেন্টে জোড় দিন।
  • দ্রুত ছাত্রদের ফিডব্যাক দিনঃ
    • অনলাইন কোর্সের ক্ষেত্রে অনেকসময়ই শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে কোর্সের সাথে যুক্ত রাখতে পারে না, তাও দ্রুত তারা ঝরে পড়ে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের যুক্ত রাখার সবচে ভালো উপায় তাদের দ্রুত ফিডব্যাক দিন, যাতে তারা কি শিখল, কতটুকু শিখল তা বুঝতে পারে।
  • লক্ষ্য স্থির করুনঃ
    • শিক্ষার্থীরা যাতে কতটুকু স্কিল অর্জন করল তা বুঝতে পারে, সেজন্য পাযেল বা কুইজের ব্যবস্থা করুন। এতে তারা বুঝতে পারবে আদৌ তারা কতটুকু শিখতে পারল। ফলে তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

১০। আপনার অনলাইন কোর্সটির একটি কমিউনিটি তৈরী করুনঃ

মানুষ সামাজিক জীব। আর যখন কোনও লার্নিং এনভায়রনমেন্ট তৈরী করা হয়, সেখানে যারা সাধারণত ইন্ট্রোভার্ট তারাও কিছুটা যোগাযোগ রক্ষা করতে চায়। আর অনলাইন কোর্সও এর বাইরে নয়। টেকনোলজি ব্যবহার করে সহজেই এটি করা সম্ভব।

এজন্য ব্যবহার করতে পারেন Facebook group, Discord channel, Slack channel অথবা আপনার পছন্দের অন্য কোনো মাধ্যম।
একটি কমিউনিটি তৈরী হলে শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে ডিসকাশন করেও অনেক কিছু শিখতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ, ধরুন আপনার কোনো ছাত্র কোনো বিষয় বুঝতে পারছে না। কিন্তু সে আপনাকে কথাটা বুঝিয়ে বলতে পারছে না। কিন্তু কমিউনিটিতে যদি তার বন্ধু তৈরী হয়, সে তাদের থেকে সহজেই সমস্যাটির সমাধান জেনে নিতে পারবে।

এছাড়াও সোশ্যাল প্লাটফর্মের সাহায্যে আপনি জানতে পারবেন, কোন ছাত্রের পারফর্মেন্স কেমন। কে এগিয়ে যাচ্ছে, আর কে পিছিয়ে পড়ছে। এতে আপনি চাইলে পিছিয়ে পড়া ছাত্রদের সহায়তা করতে পারবেন।

১১। আপনার অনলাইন কোর্সটি থেকে ফিডব্যাক নিনঃ

অনলাইন কোর্স সফলভাবে পরিচালনার পূর্বশর্ত হল আপনাকে শুধু পড়িয়ে গেলেই হবে না, বরং ছাত্রদের থেকে ফিডব্যাক নিতে হবে। এতে করে আপনার ভুলগুলো আপনি শুধরে নিতে পারবেন। পরের ব্যাচ পড়ানোর সময় আপনি আরও সুন্দর ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন।

প্রথমে যদি ফিডব্যাকের জন্য যথেষ্ট শিক্ষার্থী না পান, তাহলে একটি ফ্রি ট্রায়াল কিছুদিনের জন্য পরিচালনা করে দেখতে পারেন। এতে আপনি কিছু রিভিউ পাবেন, আর কোর্সটি শুরু করতে আপনার সুবিধা হবে।

প্রথম দিকে আপনার কিছু ভুলভ্রান্তি থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেগুলো আস্তে আস্তে আপনার নিজেকেই দূর করতে হবে। তাই ফিডব্যাক গ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ।

 

১২। এডাপ্ট, ইম্প্রুভ এন্ড আপডেটঃ

অনলাইন ক্লাস তৈরী করতে প্রচুর সময় আর এফোর্টের দরকার। তাই এটি হতে হবে ফ্লেক্সিবল। কারণ পরবর্তীতে বিভিন্ন কারণে আপনার কোর্সটিতে নানা ধরনের পরিবর্তন আনতে হতে পারে। এমনকি আপনার টিচিং মেথডেও আনতে হতে পারে পরিবর্তন। তাই মনে রাখবেন একটি সফল কোর্স তৈরী মুখের কথা নয়।

প্রথমেই একটি পার্ফেক্ট কোর্স তৈরী প্রায় অসম্ভব। কিন্তু ফিডব্যাক নিয়ে ভুলগুলো শুধরে আপনার কোর্সটিকে পার্ফেক্ট করে তুলতে পারেন। আর যদি নেগেটিভ ফিডব্যাক পান, সেটাকে পারসোনালি নিবেন না। বরং আপনার কোথাও ভুল আছে কি না তা শুধরে নিতে চেষ্টা করবেন।

আরেকটি বিষয় হচ্ছে, সময়ের সাথে কোর্সসম্পর্কিত অনেক বিষয়েই পরিবর্তন আসে। তাই আপনার লক্ষ্য হবে এমন ভাবে কোর্সটি তৈরি করা যাতে আপনি সেগুলো আপডেট করে নিতে পারেন।

পরিশেষে বলব, সময়ের সাথে এডাপ্ট করা, কন্টেন্ট ইম্প্রুভ করা, আর আপডেট করা একজন ভালো কোর্স টিচার হিসেবে আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১