আজকের আর্টিকেল এর বিষয় হচ্ছে অ্যাপস থেকে টাকা ইনকাম করা যায় কি না।অ্যাপস থেকে টাকা ইনকাম করা গেলেও তা কিভাবে করে?আমাদের কোন অ্যাপস দিয়ে টাকা ইনকাম করবো?কোন অ্যাপ টি সঠিক?আপনাদের এই সব প্রশ্নের উত্তর আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে দিবো।
তো আপনাদের এখন আমাদের এই আর্টিকেল পরেন তাহলে পুরো বিষয় টি পরিষ্কার হয়ে যাবেন।
মোবাইল দিয়ে কিভাবে টাকা আয় করা যায়?
আমাদের মধ্যে অনেকে আছে অ্যাপস ডাউনলোড করে সেখান থেকে ক্লিক করে বা ওই কাজের নিয়ম মেনে কাজ করে বা গেম খেলে টাকা আয় করছে।টাকা ইনকাম করা যায় ক্লিক করার মাধ্যমে বা ভিডিও দেখার মাধ্যমে বা গেম খেলার মাধ্যমে এই বিষয়টি অনেক আগের থেকেই শুরু হয়েছে।বলা যেতে পারে ১০ বছর বা ১২ বছর আগে অনলাইনে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে।২০০৮ সালে বা ২০০৯ সালে অনেক অনলাইনে ওয়েবসাইট আসে।এগুলোর মধ্যে একটি ওয়েবসাইট হচ্ছে পি টি সি অথবা পেইড টু ক্লিক এর অর্থ প্রতিটি ক্লিকে ইনকাম করা।এই ওয়েবসাইটের কাজ হচ্ছে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ক্লিক করলে সেই প্রতিটি ক্লিকে তারা টাকা সেট করে রাখতো কাজটি সম্পূর্ণ হলে তারা সেই ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতো।এই সব ওয়েবসাইটের মধ্যে কিছু ওয়েবসাইট আছে আসল আবার কিছু ওয়েবসাইট আছে নকল বা বলা যায় যদি আপনি সেই ওয়েবসাইটে কাজ করেন সেই কাজের এমাউন্ট ঠিক করা থাকে আপনি যদি সেই অনুযায়ী কাজ পূর্ণ করেন তারপরেও আপনাকে কোনো টাকা দেয়া হবেনা কারণ এগুলো নকল।আপনি একটু যদি ভেবে দেখেন আপনি কোনো কাজ করলেন অনেক কষ্ট করে কিন্তু দিন শেষে কোনো টাকা পেলেন না তখন আপনার কেমন মাথা গরম হবে তার উপর।কিন্তু অনলাইনে কাজ করে আপনি যদি টাকা না পান তখন আপনি কার উপর মাথা গরম করবেন?কিন্তু কিছু কিছু আসল ওয়েবসাইট আছে যারা কাজ শেষে পেমেন্ট দিত।এখন আপনার প্রশ্ন হতে পারে কেমন কাজ করলে কত টাকা দিত।
চলুন সংক্ষেপে একটি উদাহরণ দেখে আসা যাক:
উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে আপনি যে ওয়েবসাইতে কাজ করেন সেই ওয়েবসাইটের একটি কাজ হলো এক হাজার টি বিজ্ঞাপন দেখলে আপনাকে ১ ডলার পেমেন্ট দেয়া হবে।কিন্তু আপনি এক দিনে এতগুলা বিজ্ঞাপন দেখতে পারবেন না।আপনি একদিনে ম্যাক্সিমাম ২০ টা বিজ্ঞাপন থেকে ২৫ টা বিজ্ঞাপন দেখতে পারবেন।তার মানে আপনার এক ডলার টাকা জমতে জমতে ২০ দিন বা ২৫ দিন আবার ১ মাস লেগে যেতে পারে।তাইলে আপনি ১ টি ক্লিকে বাংলাদেশী টাকায় ১০ পয়সা করে পাচ্ছেন মানে ১০ টি ক্লিকে বাংলাদেশী টাকায় তা দাড়ায় ১ টাকা।তার মানে আপনি এবাবে ২০ দিনে বা ২৫ দিনে এক হাজার টা ক্লিকে ১০০ টাকার মতো পাবেন।এছাড়া আপনি সেই ওয়েবসাইটে রেফারাল কমিশন বলে একটি অপশন থাকবে।এই অপশনের কাজ হলো আপনি যদি এই রেফারাল কমিশনে কাজ করতে হলে আপনাকে একটি লিংক দেয়া হবে সেই লিংক আপনি আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করবেন যদি আপনার পরিচিতরা সেই লিংক বেবহার করে ওয়েবসাইটে একাউন্ট খুলে কাজ করে তাহলে আপনি তাদের কাজ গুলোর ১% থেকে ৫% কমিশন পাবেন।তো আপনার ইনকাম বাড়াতে হলে আপনাকে রেফার করতে হবে।আমরা আগে ভাবতাম আমরা যে নেটের বিল দেই সেই নেটের বিল বড়ার জন্য আমরা যদি প্রতিদিন ১০ থেকে ২০ টা বিজ্ঞাপন এ ক্লিক করে টাকা আয় করি তবে মাস শেষে সেই নেট বিল আমরা এই কাজের টাকার মাধ্যমে পূরণ করতে পারি।এখন তো প্রতিটি অ্যাপেই রেফার সিস্টেম অ্যাড করেছে সেই অ্যাপ কর্টিপক্ষরা।যেমন দরেন আপনি বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমেও এখন আপনি রেফার করতে পারবেন।তো আপনারা বুজে গেছেন অনলাইনে ইনকাম করতে কত কষ্টের।কিন্তু আপনাকে বলি এর থেকে আপনি ওয়েব ডিজাইন বা গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ গুলো শিখে কাজ করবেন তখন আপনি একটা এমাউন্ট পাবেন। তখন আপনার এই অনলাইনে ওয়েবসাইটে থেকে ইনকাম বিষয়টি মাথা থেকে চলে যাবে।
আপনদের একটা প্রশ্ন হতে পারে ওয়েবসাইট থেকে টাকা নেয়ার সময় জে ওরা টাকাটা কিভাবে দেই?
আর্নিং অ্যাপ এর পিছনের গল্প কি?
তো যারা এই ওয়েবসাইট গুলো মেইনটেইন করে তাদের কাছে দুই ধরনের একাউন্ট থাকে একটি হলো বিজ্ঞাপনদাতা একাউন্ট আর আরেকটি হলো ইউজার একাউন্ট।এখন বিজ্ঞাপনদাতা একাউন্ট টা কি?এটা হলো যারা খুব বেশি টাকা দিয়ে অল্প কিছু লোককে অ্যাড দেখানোর জন্য এখানে অ্যাডবেটাইজিং করে।উদারণ হিসেবে বলা যায় তাকে অফার দেয়া হলো ১ ডলার দিলে আপনার ওই বিজ্ঞাপনটা আমরা ১০০ জনকে দেখাবো।তখন সে ১০ ডলারের মতো দেই তখন তারা তার বিজ্ঞাপনটা এক হাজারের এর মত লোক দেখবে।
আর এখন ইউজার কারা?
মনে করেন আপনাকে কাজ দেয়া হলো আপনি যদি এক হাজার টা বিজ্ঞাপন দেখেন তাহলে আপনাকে ১ ডলার দেয়া হবে।তাহলে এখান থেকে বলা যায় ৯০ শতাংশ টাকা বিজ্ঞাপনদাতার অ্যাকাউন্টে যাচ্ছে আর বাকি ১০ শতাংশ টাকা যাচ্ছে ইউজার একাউন্ট যারা তাদের কাছে।তাহলে বুজা যাচ্ছে যে ওদের কাছ থেকে ১০% টাকা নেয়া কোনো ব্যাপারই না।
এখন প্রশ্ন হতে পারে বিজ্ঞাপন কেনো দেই তারা?
বিভিন্ন কোম্পানি কেনো বিজ্ঞাপন দেয়?
দুটি কারণে বিজ্ঞাপন দেয়া হতো।একটি হলো এস ই ও সাপোর্টের জন্য আর আরেকটি হলো সেলস বাড়ানোর জন্য।তখনকার সময়ে এইযে ক্লিক টু পেইড ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দিয়ে যদি ওয়েবসাইটে ভিসিটর নিয়ে আসা হতো সেটা কিন্তু গুগল অ্যাপস সার্চ রাঙ্কিং এ ভালো পজিশনে থাকতো।কারণ গুগল তখন এতো বুদ্ধিমান ছিল না বা উন্নত ছিল না।গুগল যখন দেখতো যে ওয়েবসাইটে এক হাজারের মতো ভিসিটর হতো তখন গুগল ওই ওয়েবসাইট কে ভালো রাঙ্কিং দিত।কিন্তু গুগল এখন অনেক উন্নত হয়েছে।এখন গুগল সহজে এই চিটিং ধরতে পারে এবং তাদের ভালো রাঙ্কিং করা তো দূরের কথা তাদের রাঙ্কিং আরো নিচে নামিয়ে দেই।সেই হিসাবে এখন আর এই বিজ্ঞাপন চলেনা।
এখন সেলস বাড়ানোর জন্যে মনে করেন আমি আমার একটা বিজ্ঞাপন একটা পত্রিকায় দিলাম।যাদের বিজ্ঞাপনটির উপর আগ্রহ আসে তারা খালি এটি পড়বে।কিন্তু জে অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম করতেছে সে তো আর এই বিজ্ঞাপন দেখে প্রোডাক্ট টা কিনবে না।বর্তমানে আমার কাছে মনে হচ্ছে যে সেলস বাড়ানোর জন্য এটি একেবারে অর্থহীন হয়ে গেছে।এখন কথা হচ্ছে
যেসব অ্যাপস মার্কেটে চলতেছে সেই অ্যাপ গুলোর পলিসি কি?
বর্তমানে আর্নিং অ্যাপস এর পলিসি কি?
এদের পলিসি হলো আপনাকে ১০ ডলার বা ১০০ ডলার দিয়ে আপনাকে ওদের অ্যাকাউন্টটি কিনে নিতে হবে তারপর আপনাকে ওদের প্রতিটি ভিডিও দেখতে হবে প্রতিটি ভিডিও দেখার জন্য আপনি ২ টাকা করে পাবেন।দেখেন আপনি অন্য ওয়েবসাইটে কাজ করে ১০ পয়সা করে পেতেন কিন্তু আপনাকে এই ওয়েবসাইটে ২ টাকা করে দেয়া হচ্ছে তাদের ভিডিও দেখার জন্য এটা একবারে অসম্ভব।কারণ একটার জন্য আপনি এত টাকা পাচ্ছেন তাহলে আপনি যে তাদের ইউটিউব ভিডিও দেখছেন ইউটিউব ওদেরকে এত টাকা দিচ্ছেনা।এটা মিথ্যে ওয়েবসাইট।এখানে রেফার করেও টাকা আয় করতে পারবেন আপনি।এটা খারাপ না।এই রেফার আন্তর্জাতিক মার্কেটে অনেক স্বীকৃতি পেয়েছে।
এখন প্রশ্ন হতে পরে এই সব সাইটে মানুষ কেনো ইনভেস্ট করে?
বিভিন্ন মানুষ কেনো আর্নিং অ্যাপস এ ইনভেস্ট করে?
অনেক কারণে মানুষ ইনভেস্ট করে।প্রথম কারণ হলো আমার পরিচিত একজন তো পেমেন্ট পেয়েছে এটা দেখে আরো ৫ বা ৬ জন ইনভেস্ট করে।আরেকটি হলো আপনার টাকাটা উঠে আসার পর অ্যাপ বন্ধ হয়ে গেলেও আপনার লস নেই।যেমন বলা যেতে পারে আমি যদি আট হাজার টাকা ইনভেস্ট করি তাহলে আমি যদি কোনো মতে ৪ মাসে অতিরিক্ত ২০০০ টাকা পাই তারপর যদি তারা চলে যায় তাহলে আপনার কোনো সমস্যা নেই।কিন্তু আপনার এই চিন্তার মাধ্যমেই ওরা এই বিজনেস করতেসে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url