OrdinaryITPostAd

Nullblogger Guide - কিভাবে নিজের একটি Android অ্যাপ তৈরি করবেন?

 

এমনিতে আমাদের কাছে অনলাইন থেকে টাকা আয় করার প্রচুর উপায় রয়েছে৷ এমন অনেক উপায় রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আমরা ঘরে বসে অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারি৷

কিন্তু এগুলোর মধ্যে এপস তৈরি করে ইনকাম করাটা অনেক লাভজনক একটি উপায়৷ কেননা বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা রয়েছেন এবং এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়তেই থাকছে৷

সকলেই তাদের এন্ড্রয়েড স্মার্টফোনে নিজেদের প্রয়োজনীয় কিছু এপস বা এপ্লিকেশনগুলো ব্যবহার করছেন৷

তাই বর্তমানে একটি মোবাইল এপ তৈরি করে ইনকাম করাটা একটি লাভজনক উপায় হয়ে দাড়িয়েছে৷

বন্ধুরা আমরা যখন আমাদের যেকোন প্রয়োজনে কোন একটি মোবাইল এপ ওপেন করে ব্যবহার করি তখন আমরা কিছু বিজ্ঞাপন বা advertisements দেখে থাকি৷

এই advertisement গুলো দেখানোর মাধ্যমে এপের মালিক টাকা ইনকাম করে থাকেন৷

আর এজন্য আপনি যদি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করে টাকা আয় করতে চাইছেন তাহলে একটি মোবাইল এপ থেকে আয় করাটা কতটা লাভজনক তা নিচে একটি উদাহরণ দিয়ে আমি বুঝিয়ে দিচ্ছি৷

ধরুন আপনি একটি এপ তৈরি করছেন যা প্রতিদিন 30 জন মানুষ ব্যবহার করে আসছেন তাহলে আপনি যদি প্রত্যেকদিন 30 জনের জন্য 5 টাকা করে মোট 150 টাকা পেয়ে থাকেন তাহলে ভেবে দেখুন মাসে আপনি মোট 4500 টাকা পাচ্ছেন৷

এটি একটি সাধারণ উদাহরণের মাধ্যমে আমি বিষয়টি আপনাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি৷

একটি এন্ড্রয়েড এপ যখন প্রচুর পরিমাণে ব্যবহারকারীরা ব্যবহার করে থাকেন তেমনি প্রচুর পরিমাণে টাকা এপসের মালিক ইনকাম করে থাকেন৷

কেবল এপস তৈরির সময় পরিশ্রম করে পরবর্তীতে কেবল বসে বসে টাকা ইনকাম করা সম্ভব৷

আপনি যদি এপস তোইরি করে অনেক সহজে টাকা ইনকাম করতে চাইছেন তাহলে অনেক উপায় রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি ফ্রিতে একটি এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করে নিতে পারবেন৷


 

তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে অ্যাপ তৈরি করবেন এবং অ্যাপ তৈরি করে আয় করার উপায়৷ 

কি কি শিখব

  • 1 কিভাবে নিজের একটি এন্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি করবেন?
    • 1.1 অ্যাপ Google Play Store এ পাবলিশ করুন
  • 2 অ্যাপ তৈরি করে কিভাবে আয় করা যায়? সেরা ৫ টি ইনকামের উপায়
    • 2.1 ১. Advertisements
    • 2.2 ২. Subscriptions
    • 2.3 ৩. In-App Purchases
    • 2.4 ৪. Sponsorship
    • 2.5 ৫. Affiliate Marketing
    • 2.6 App ডাউনলোড বা ইন্সটল করার জন্য কি টাকা দেবে?
      • 2.6.1 আজকে আমরা কি কি জানলাম

Nullblogger Guide - কিভাবে নিজের একটি Android অ্যাপ তৈরি করবেন?

বর্তমানে ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার যেমন অনেক উপায় রয়েছে তেমন ফ্রিতে একটি এন্ড্রয়েড এপ তৈরি করারও প্রচুর উপায় রয়েছে৷

এখনকার সময়ে একটি এপ তৈরি করাটা অনেক সহজ কাজ।

এমনকি আপনি চাইলে মোবাইল দিয়েই এটি তৈরি করতে পারেন।

এন্ড্রয়েড এপ থেকে আয় করতে হলে আপনার নিজের একটি এন্ড্রয়েড এপ তৈরি করতে হবে।

তাহলে আপনি যদি চিন্তায় আছেন যে এপ কিভাবে তৈরি করবেন তাহলে আপনার কোন চিন্তা করার দরকার নাই।

আপনি যদি গুগলে free android app creator websites লিখে সার্চ করেন তাহলে অনেক ওয়েবসাইট আপনি পেয়ে যেতে পারবেন যেগুলোর মাধ্যমে আপনি একটি এন্ড্রয়েড এপ সহজে এবং ফ্রিতে তৈরি করে নিতে পারবেন।

তাছাড়া ইউটিউবে Android app making এর বিষয়ে প্রচুর ভিডিও টিউটোরিয়াল আপনি পেয়ে যাবেন যেগুলোর মাধ্যমে আপনি নিজেই একটি এপ বানিয়ে নিতে পারবেন।

আর এখানে কিছু বিষয় অবশ্যই থাকছে যেমন আপনি যদি সম্পূর্ণ প্রফেশনাল এবং ভালো মানের কোন এপ তৈরি করতে চাইছেন যার দ্বারা আপনি ভবিষ্যতে ভালো কোন planing করছেন তাহলে আপনাকে একজন ভালো এপ ডেভেলপার (App developer) এর সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ আমি দিবো।

তাদের কাছ থেকে আপনি সম্পূর্ণ প্রফেশনাল এপ তৈরি করে নিতে পারবেন।

এর পাশাপাশি আপনাদের সুবিধার জন্য নিচে আমি কিছু সেরা এবং ফ্রি এন্ড্রয়েড এপ বিল্ডার ওয়েবসাইটের বিষয়ে বলে দিচ্ছি যেগুলো ব্যবহার করে আপনি নিজেই এপ বানাতে পারবেন।

এজন্য কোন ধরণের প্রোগ্রামিং বা কোডিং জ্ঞান থাকা লাগবে না।

এগুলোতে প্রবেশ করে আপনি আপনার প্রয়োজন মতো এপস বানাতে পারবেন।

অ্যাপ Google Play Store এ পাবলিশ করবেন কেন?

মোবাইল এপ ডাউনলোড করার জন্য গুগল প্লে স্টোর সেরা একটি এপ স্টোর হিসেবে পরিচিত।

কারণ সকল এন্ড্রয়েড ইউজাররা প্লে স্টোরে তাদের প্রয়োজনীয় এপ খুজে থাকেন এবং ডাউনলোড করে ব্যবহার করেন।

তাই একটি এন্ড্রয়েড এপ তৈরি করার পর সেটি প্লে স্টোরে পাবলিশ করা খুবই জরুরি।

সেখানে আপনার এপটি থাকলে লোকেরা আপনার এপ সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং ডাউনলোড করার সুযোগ অনেক থাকবে।

আর কেবল একটি এপ তৈরি করে সেটা নিজের কাছে রাখলে ব্যবহারকারীরা জানতে পারবেন না এবং ডাউনলোড করার সুযোগ খুবই কম।

তাই আপনার এপস গুগল প্লে স্টোরে সর্বপ্রথম পাবলিশ করুন। এরপর মার্কেটিং শুরু করতে পারেন।

Android apps Creat করে কিভাবে আয় করা যায়? আমার জানামতে পাঁচটি উপায়

যদি আপনার একটি এপ তৈরি হয়ে গেছে তাহলে এখন আপনার এপস থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে।

তাই আমি কিছু নিচে কিছু সেরা এবং জনপ্রিয় উপায়গুলো আপনাদের বলে দিচ্ছি।

মোবাইল এপ বানিয়ে টাকা আয় করার সেরা ৫ টি উপায় সম্পর্কে জেনে নিন।

 

আরো দেখুন: 

 

. Advertisements

বন্ধুরা একটি এন্ড্রয়েড এপ বানিয়ে টাকা ইনকাম করার সবথেকে জনপ্রিয় উপায় হলো বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম।

যদি আপনার তৈরি করা এপ প্রচুর পরিমাণে ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করে নিয়ে প্রতিদিন ব্যবহার করছেন তাহলে আপনি তাদেরকে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে টাকা ইনকাম শুরু করতে পারবেন।

বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য আপনার একটি advertisements programme বা company ব্যবহার করতে হবে।

বিজ্ঞাপন দেখিয়ে এপস থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য সবচেয়ে সেরা advertising programme হলো Google AdMob.

আপনাকে একটি গুগল এডমব একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে।

কিছু ঘন্টার মধ্যেই আপনার একাউন্ট এক্টিভ হয়ে যাবে এবং এপসের ভিতর এড বসাতে পারবেন।

আর এই বিজ্ঞাপনগুলোর উপর যখন ব্যবহারকারীরা ক্লিক করবে তখন এর বিনিময়ে গুগল এডমব একাউন্টে আপনার টাকা যোগ হয়ে যাবে।

আবার ad impression বা আপনার দেখানো বিজ্ঞাপনে যদি ব্যবহারকারীরা ক্লিক না করে তারপরও কেবল বিজ্ঞাপন দেখানোর বিনিময়ে টাকা আয় করতে পারবেন।

এপসে গুগল এডমবের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করাটা খুবই জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। যার মাধ্যমে প্রত্যেকটি এপসের মালিক টাকা আয় করছেন।

২. Subscriptions

আপনি হয়ত learning, tutorial অথবা online courses এর এপসগুলো ব্যবহার করছেন।

তো এগুলোর কিছু কনটেন্ট আমাদের ফ্রীতে দেখতে দেওয়া হয় আবার কিছু কনটেন্ট ফ্রীতে দেখতে দেওয়া হয় না।

অর্থাৎ এই এপসগুলোতে সম্পূর্ণ কন্টেন্টগুলো দেখার জন্য আমাদের টাকা দিয়ে সাবস্ক্রিপশন করতে বলা হয়ে থাকে।

অর্থাৎ সহজভাবে বলতে গেলে ধরুন আপনি একটি অনলাইন কোর্সের (online coures) এপ্স ব্যবহার করছেন।

এখানে আপনি কিছু কোর্স ফ্রীতে করতে পেলেন, এরপর আপনার ইচ্ছা হলো বাকি কোর্সগুলো করার। অর্থাৎ কনটেন্টগুলো আপনার ভালো লাগলো। আর সেই বাকি কনটেন্টগুলোকে এক্সেস করানোর জন্য আপনার কাছে কিছু টাকা চাওয়া হলো যার বিনিময়ে আপনাকে সেই কনটেন্টগুলোকে দেখানো হবে।

সেই টাকা এপসের মালিক পেয়ে থাকেন।

আপনিও চাইলে এভাবে এপস থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন অর্থাৎ আপনার ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে পারেন।

৩. In-App Purchases

এই পদ্ধতিতে প্রচুর পরিমাণে এপ ডেভেলপাররা টাকা ইনকাম করে থাকেন।

আপনি হয়ত এরকম কতগুলো এপস ব্যবহার করছেন যেগুলোতে কিছু free features থাকে অর্থাৎ আপনি যদি সেই এপসের ফ্রি ভার্সন ব্যবহার করেন তাহলে ফ্রিতে যে features বা ফাংশনগুলো abailable রয়েছে কেবল সেগুলোই আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।

আর কিছু ভালো এক্সট্রা ফিচারস (extra features) দেওয়া থাকে যেগুলো ব্যবহারের জন্য আপনার কাছ থেকে কিছু টাকা চাওয়া হয়ে থাকে যা সেই এপসের মালিক আপনার কাছ থেকে নিয়ে থাকে। এভাবে আপনি এপ থেকে আয় করতে পারেন।

৪. Sponsorship

আপনি যদি একটি এপসকে অনেক জনপ্রিয় করে তুলতে পারেন এবং প্রচুর পরিমাণে ইউজার রয়েছে তাহলে স্পন্সরশীপের মাধ্যমে অবশ্যই টাকা আয় করতে পারবেন।

তবে এজন্য আপনার অ্যাপস এর ভিতরে কিছু ভালো এবং ইউনিক ফিচারস থাকা লাগবে।

তাহলে বড় কোম্পানিগুলো কাছ থেকে স্পনসর্শিপ পেয়ে যেতে পারেন এবং সেখান থেকে monthly subscription হিসেবে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

স্পনসর্শিপ (Sponsorship) সম্পর্কে যদি আপনি আরো ভালো ভাবে জেনে নিতে চান তাহলে গুগোল কিংবা ইউটিউবে সার্চ করে জেনে নিতে পারেন।

৫. Affiliate Marketing

আমরা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যে রকম ভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকি যেমন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস এর মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

বর্তমানে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করাটা প্রচুর জনপ্রিয়।

এর মাধ্যমে আপনি অন্যান্য কোম্পানির প্রোডাক্ট ও সার্ভিস গুলো বিক্রি করে দেওয়ার মাধ্যমে কমিশন পেতে পারবেন।

তবে এ জন্য দরকার প্রচুর অডিয়েন্স (Audiences). আপনার অ্যাপস এর যদি প্রচুর ইউজার রয়েছেন, তাহলে এফিলিয়েট লিংক (Affiliate link) এর মাধ্যমে আপনার টাকা আয় করার সুযোগ অবশ্যই থাকছে।

আপনাকে প্রথমে একটি কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ রেজিস্টার করতে হবে।

এরপর সেই কোম্পানির বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট এফিলিয়েট লিংক দেওয়া হবে।

এই লিংক এপ্সে আপনারা অডিয়েন্সের সাথে শেয়ার করতে পারবেন।

App ডাউনলোড বা ইন্সটল করার জন্য কি টাকা দেবে?

অনেকেই মনে করে থাকেন যে, একটি এপস ইউজাররা ডাউনলোড করলে এর বিনিময়ে টাকা পাওয়া যাবে।

কিন্তু এটি একটি ভুল ধারণা। এপস ডাউনলোড এবং ইন্সটল এর বিনিময়ে আপনাকে কোন টাকা দেওয়া হবে না।

অর্থাৎ আপনার এপস যদি লাখ লাখ বার ডাউনলোড করা হয়ে থাকে তারপরও আপনি এক টাকাও পাবেন না।

আমি উপরে যে ৫ টি উপায়গুলোর কথা বলেছি কেবল সেগুলোর মাধ্যমেই অ্যাপ থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

অর্থাৎ কোন ইউজার এপ ডাউনলোড করার পর ব্যবহার করার সময় যদি কোন এড দেখে থাকে তাহলে আপনি টাকা পাবেন।

আজকে আমরা কি কি জানলাম

বন্ধুরা অ্যাপ তৈরি করে কিভাবে আয় করা যায় এ বিষয়ে বিস্তারিত আমি আর্টিকেলে বলে দিয়েছি। অ্যাপ ডেভেলপাররা এই পদ্ধতিতে সাধারণত টাকা আয় করে থাকেন।

সবশেষে আমার কথা হলো, গুগোল এডমব এর মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস থেকে আয় করার পদ্ধতি সবচেয়ে জনপ্রিয়।

এ বিষয়ে আমি আগেই একবার বলেছি তাই আপনি গুগল এডমোব এর ব্যবহার করতে পারেন, এটা আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ।

কারণ এর মাধ্যমে অধিকাংশ অ্যাপ ডেভলপার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ থেকে টাকা ইনকাম করছেন।

আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১