OrdinaryITPostAd

Nullblogger ask - ব্লগিং থেকে টাকা আয় কি হালাল?

 ব্লগিং থেকে টাকা আয় কি হালাল? 

ব্লগিং থেকে আয় কি হালাল কি না। তা যদি সাধারণ দৃষ্টিকোণ থেকে দেয়া হয় তাহলে হারাম। কেননা আমাদের ব্লগিং থেকে আয় মূলত হয়ে থাকে গুগল অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে। যার কারণে অনেক হারাম অ্যাড প্রদর্শিত হয়। অপরদিকে একটু ব্যতিক্রম করে ভাবলে তা কিন্তু হালালও হয়। 
যেমন ধরুন আপনি অ্যাডসেন্স বাদ দিলেন। আপনি বাকি তিনটী পন্থার মাধ্যমে আয় করলে তা হালাল হবে। এ ভাবে আপনি হালাল উপার্জন করতে পারবেন। 
 
আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা আজ জানলাম কিভাবে আপনি ব্লগিং করে আয় করবেন, সেই ব্লগিং এর খুঁটিনাটি বিষয় সমূহ। ব্লগিং করে আয় করার উপায় সমূহ এখানে বর্ণিত হয়েছে। ব্লগিং থেকে আয় করা হালাল কিনা তা সমন্ধেও একটু বলা হয়েছে। সর্বোপরি আশা করি এটা আপনার কাজে আসবে।

একটি পন্থা হলো আপনি কোনো ওয়েব ডেভলপার এর শরণাপন্ন হতে পারেন আপনার জন্য একটি সাইট তৈরি করতে। ওয়েব ডেভলপারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা এবং টাকা দিয়ে আপনি একটি ব্লগ বানাতে পারবেন। এবং সেখানে নিজের আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করতে পারবেন। এটি গেল প্রথম। 

দ্বিতীয় ক্ষেত্রে আপনি যে কাজটি করতে পারবেন তা হলো ফ্রি ওয়েবসাইট বিল্ডার ব্যবহার করে ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি। এক্ষেত্রে আপনি হাতের কাছে বিভিন্ন মাধ্যম পেয়ে যাবেন। জনপ্রিয় কিছু ওয়েবসাইট বিল্ডার সম্পর্কে আপনার কাছে তুলে ধরছি- 

ব্লগারঃ ব্লগিং করে অনলাইনে আয়ের উপায়, আর ব্লগিং এর জন্য ব্লগ তৈরি করার ক্ষেত্রে সেরা একটি ফ্রি মাধ্যম হলো গুগল এর ব্লগার। ব্লগার ব্যবহার করে আপনি নিজের জন্য একটি ফ্রি ব্লগ তৈরি করতে পারবেন। এবং ডিজাইন এর জন্য বিভিন্ন ফ্রি টেমপ্লেট ব্যবহার করতে পারবেন।

ওয়ার্ডপ্রেসঃ ব্লগার এর মতোই আরেকটি ওয়েবসাইট বিল্ডার হল ওয়ার্ডপ্রেস এখান থেকেও ফ্রি ডোমাইন এবং হোস্টিং এর মাধ্যমে সাইট রান করতে পারবেন। সেই সাথে নিজের ওয়েবসাইটের জন্যও পেয়ে যাবেন নানা টেমপ্লেট। 

উইক্সঃ নতুন একটি ব্লগ বিল্ডার এসেছে অনলাইনে আর তা হলো উইক্স। ব্লগার ওয়ার্ডপ্রেস এর মতোই সেব পাবেন আপনি এখান থেকে। 

উপরোক্ত মাধ্যমগুলোর মধ্যে আমি আপনাকে দ্বিতীয় মাধ্যমটিই সাজেস্ট করব কেননা আপনাকে যাত্রা শুরু করতে হবে ইনভেস্ট ছাড়া। আর তে কেবল দ্বিতীয় মাধ্যম দ্বারাই সম্ভব। 


 

ব্লগিং এর জন্য নিশ নির্বাচন করা- 

নিশ বলতে মূল ব্লগের মূল বিষয় বোঝায়। অর্থাৎ আপনি নিজের ব্লগটি কি নিয়ে করতে যাচ্ছেন তা আপনাকে আগে থেকেই ঠিক করে নিতে হবে। আপনি অনলাইনে একটা বিষয় খেয়াল করবেন যে, সব ব্লগ কিন্তু যেকোন একটি বিষয় নিয়ে গড়ে উঠে। কেউ হয়তো বা কাজ করে টেকনোলজি নিয়ে, আবার কেউ কাজ করে ফ্যাশন নিয়ে। এই একেকটি বিষয়কে মূলত নিশ বলা হয়। আপনার ব্লগের নিশ সিলেক্ট করা অত্যন্ত জরুরি। আর এক্ষেত্রে আপনি নিশ দুটি বিষয়কে মাথায় রেখে করতে পারবেন। তা হলোঃ 

 

  • ১। নিজের পছন্দকে প্রাধান্য দিনঃ নিশ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে প্রথমেই যে বিষয়টী আপনি করতে পারেন তা হলো নিজের ইন্টারেস্টকে গুরুত্ব দিন। আপনি টেকনোলজি ভালোবাসেন। তাহলে ব্লগকে টেকনোলজি কেন্দ্রিক করে গড়ে তুলুন। এ ক্ষেত্রে একটি সুবিধা আপনি পাবেন নিজের আগ্রহ নিয়ে লেখার একটা সুযোগ তৈরি হবে। কাজ এর উন্নতিও সেক্ষেত্রে বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • ২। অনলাইনে যার চাহিদা বেশি তা নিয়ে কাজ করুনঃ আপনার যদি পছন্দের কোনো বিষয় না থেকে থাকে তবে আপনি এবার নজড় দিন অনলাইনে কিসের চাহিদা বেশি। অনলাইনে যে বিষয়গুলো ভাইরাল তা নিয়ে কাজ করুন। এক্ষেত্রে আপনি খুব তাড়াতাড়ি সাফল্যের মুখ দেখতে পারবেন। 

ব্লগিং করার ক্ষেত্রে নিশ নির্বাচন করা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আপনি যদি ভালোভাবে এই নিশ নির্বাচন করতে পারেন তবে আপনার সাফল্যের ৩০% অগ্রীম হয়ে যাবে বলা যায়। 

ওয়েবসাইটের জন্য কন্টেন্ট লিখতে হবে-  

আপনার ওয়েবসাইট তৈরি এবং নিশ নির্বাচন এর পর আপনার যে জিনিস এর সবচেয়ে বেশি দরকার পড়বে তা হলো লেখা বা আর্টিকেলের। কেননা একটি ওয়েবসাইট ভালো কি খারাপ তার ৯০% নির্ভর করে তার কন্টেন্ট এর উপরে। আপনি কেবল একটি ভালো সাইট ডেভলপ করে দেখে দিলেই তা থেকে আয় হবে না। 

বা শুধু লিখে দিলেন আমাদের নিশ এটা তাতেই আয় হবে না। ব্লগিং থেকে আয় এর জন্য ব্লগে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে কন্টেন্ট বা আর্টিকেল থাকতে হবে। 

 

ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট লিখার বা দেয়ার ক্ষেত্রে আপনি দুইটি রাস্তায় যেতে পারেন। তা হলোঃ 

 

১। নিজে থেকেই লিখাঃ ওয়েবসাইট এর জন্য কন্টেন্ট লেখার ক্ষেত্রে আপনি শুরুতেই যে পন্থাটী অবলম্বন করতে পারেন তা হলো নিজেই লিখতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে যা যা জানতে হবে তা হলোঃ 

 

এসইও অপ্টিমাইজড আর্টিকেল লেখার কলাকৌশলঃ হ্যাঁ। একটি ওয়েবসাইট এর মূল প্রাণ কন্টেন্ট হলেও এসইও অপ্টিমাইজড না হলে তা অচল। আর তাই ওয়েবসাইটকে প্রাণবন্ত করতে আপনার প্রয়োজন এসইও অপ্টিমাইজড আর্টিকেল। এর জন্য নিজে থেকেই লেখার কোর্স করতে পারেন। 

লেখার স্ট্রাকচার সমন্ধে ধারণাঃ ওয়েব কন্টেন্ট কিন্তু সাহিত্যের মতো নয়। তাই ঢালাও উপন্যাস আপনি এখানে লিখতে পারবেন না। আপনাকে একটি স্ট্রাকচার বা গঠন ফলো করতে হবে নিজের লেখায়। 

২। কন্টেন্ট রাইটার দিয়ে লেখানোঃ দ্বিতীয়ত যে বিষয়টির কথা আপনাকে বলব তা হলো কোনো কন্টেন্ট রাইটার দিয়ে নিজের ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট লেখান। কাউকে দিয়ে লেখালে এতে ভালো মানের লেখার নিশ্চয়তা আপনি পাবেন আশা করি। তবে কন্টেন্ট রাইটার হায়ার করার ক্ষেত্রেও কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। তার মধ্যে অন্যতম হলোঃ প্রথমেই আপনাকে দেখে নিতে হবে সে আসলেই লিখতে পারে কিনা। এর জন্য আপনি তার কাছে পোর্টফলিও সমন্ধে জানতে চান। 

 

বা পোর্টফলিও যদি নাও থাকে তবে পূর্ববর্তী কোনো আর্টিকেলের নমুনা আপনি চান তার কাছে। এতে করে আপনার রাইটার নির্বাচন প্রসেসটি ভালো হবে। এবং একটি ভালো রাইটার এর নিশ্চয়তা আমি আপনাকে দিতে পারি। 

ব্লগিং করে অনলাইনে আয়ের উপায়ঃ

উপরোক্ত আলোচনায় আমরা দেখেছি যে ব্লগিং করতে আপনার কি কি প্রয়োজন হবে। সেই সাথে ব্লগিং এর শুরু আগের কিছু টিপস যেমনঃ নিশ নির্বাচন, কন্টেন্ট লিখা ইত্যাদি। উপরোক্ত জিনিসগুলো যদি আপনি সেরে থাকেন অথবা বুঝে থাকেন তবে নিচে অগ্রসর হতে পারবেন। এ পর্যায়ে আমরা আলোচনা করব ব্লগিং করে অনলাইনে আয়ের উপায় নিয়ে। অর্থাৎ কি ক মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। চলুন শুরু করা যাক। 

১. গুগল অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে ব্লগিং করে আয়ঃ

প্রথম যে পদ্ধতিতে আপনি ব্লগিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন তা হলো গুগল  অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয়।

গুগল অ্যাডসেন্স মূলত সার্চ ইঞ্জিন গুগল এর অ্যাড পরিচালনা কারী একটি প্রতিষ্ঠান। গুগল অ্যাডসেন্স এর দ্বারা বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান যাদের খ্যাতি ছড়িয়ে পুরো বিশ্ব জুড়ে তারা সার্চ ইঞ্জিন গুগলের ডাটা বেসে অবস্থিত ওয়েবসাইটগুলোতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে থাকে। তাদের কাছে এটি মূলত হলো একটি মার্কেটিং কৌশল। 

আর গুগল তাদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য এদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকে। আর অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে আপনি যে ইনকাম করবেন তাও এরই অংশ। গুগল সার্চ ইঞ্জিন যে টাকাটি পেলো তা থেকে খুবই কম দেয়া হবে আপনাকে।

 আর আপনার ইনকামটি হবে গুগল অ্যাডসেন্স যদি আপনার সাইট পরিচালিত থাকে তাহলে। অর্থাৎ সাইট খুলেই টাকা আসবে নাম টাকার জন্য গুগল অ্যাডসেন্স এর অনুমোদনও পেতে হবে। 

গুগল অ্যাডসেন্সপাওয়ার জন্য আপনাকে যা যা করতে হবে তা হলোঃ 

  • ১। ব্লগে কপিরাইট ফ্রি কন্টেন্ট রাখাঃ আপনার ওয়েবসাইট এর ভিতরে কোনো আর্টিকেল যদি কপি করা হয় তাহলে তা কপিরাইট বলে গণ্য হবে। এর ফলে আপনি গুগল অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন না। তাই আপনার উচিত কপি রাইট ফ্রি আর্টিকেল ব্লগে বা ওয়েবসাইটে রাখা। 
  • ২। ব্লগের গুরুত্বপূর্ণ পেজ রাখাঃ ব্লগে যদি অ্যাডসেন্স পেতেই চান তাহলে আপনাকে বিভিন্ন পেজ যেমন কন্টাক, টার্মস এন্ড কন্ডিশন এবং কপিরাইট নীতিমালা থাকতে হবে। এই পেজগুলো একটি ওয়েবসাইট এর জন্য অত্যন্ত জরুরি। তাই চেষ্টা করবেন এই পেজ রাখার। সেই সাথে ডিস্ক্লেইমার পেজটিও রাখতে পারেন। 
    আর এই পেজগুলো আপনি খুব সহজেই পেয়ে যাবেন অনলাইনেই। 

উপরোক্ত নীতিমালা মানলেই আপনি ব্লগে অ্যাডসেন্স চালাতে পারবেন খুব সহজেই। 

তবে এখানে একটু জানানোর প্রয়োজন বোধ করছি আপনি যদি একজন মুসলিম হয়ে থাকেন। গুগল অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে অনেক খারাপ অ্যাডও ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত হয়ে যার কারণে দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক সমস্যা হবে। এটা নিয়ে পরে আলোচনা করব। 

২. লোকাল অ্যাড দেখিয়ে ব্লগিং করে আয়ঃ 

গুগল অ্যাড যদি আপনার ব্লগে নাও থাকে। তাহলেও আপনি আয় করতে পারবেন নিজের ব্লগ থেকে। আর এই কার্যকরী উপায়টি হলো লোকাল অ্যাড দেখিয়ে আয়। 

লোকাল অ্যাড বলতে এখানে জিনিসটা একটু ক্লিয়ার করি। গুগল অ্যাড এর ক্ষেত্রে কাদের অ্যাড আপনার ওয়েবসাইটে দেখানো হবে তা কিন্তু আপনার জানা নেই। তবে লোকাল অ্যাড এর ক্ষেত্রে আপনি আগে থেকেই জানছেন কাদের অ্যাড আপনার ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত হবে। আর লোকাল অ্যাড দেখানোর ক্ষেত্রে আপনি নিজেই তো যোগযোগ করে তা দেখাবেন। 

গুগল অ্যাড এর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটি ভালো মানের ভিজিটর হলেই হয় এবং কপিরাইট ফ্রি কন্টেন্ট। তবে লোকাল অ্যাড এর ক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম কিছু জিনিস রয়েছে। লোকাল অ্যাড দেখারনোর জন্য আপনার যে সব জিনিস এর প্রয়োজন পড়বে তা একটু আলোচনা করা হলোঃ 

 আরো পড়ুনঃ

 

১। কিভাবে নিজের একটি Android অ্যাপ তৈরি করবেন? 

২।ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয় করার সেরা কিছু উপায় 

৩।ফ্রি অনলাইন প্রুফরিডিং টুলস যা গ্রামার ও বানান চেক করার জন্যে ব্যবহার করা হয়

৪। ডায়নামিক রাউটিং (OSPF) কি এবং কিভাবে কাজ করে জানুন

  • ১। ব্লগে ভালো মানের ভিজিটর থাকতে হবে, তা না হলে কেউ এই চুক্তিতে রাজি হবে না। 
  • ২। লোকাল অ্যাড এর ক্ষেত্রে কোনো খারাপ জিনিসকে ওয়েবসাইটে দেয়া যাবে না। এতে করে ভিজিটর কমে যাবে। 

আশা করি উপরোক্ত বিষয় যদি ঠিক থাকে তবে আপনি লোকাল অ্যাড দেখিয়ে ভালো মানের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

প্রোডাক্ট রিভিউ লিখে ব্লগিং করে আয়ঃ 

প্রোডাক্ট রিভিউ করা নিয়ে অনেকেরইর শখ থাকে। আর সেই শখকে আপনি বাস্তবে রূপ দিতে পারবেন এই ব্লগে। ব্লগে আপনার পছন্দের প্রোডাক্টগুলোর রিভিউ লিখে কিন্তু আপনি আয় করতেও পারবেন। 

ব্লগিং করে আয় করার উপায় সমূহের মধ্যে এটী একটি। প্রোডাক্ট রিভিউ এখন এতটা জরুরি যে যে কেউই হোক না কেন মোবাইল বা ল্যাপটপ কেনার আগে অনলাইনে তার সম্পর্কে জানতে চায়। এক্ষেত্রে আপনি কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি বদ্ধ হয়ে যদি তাদের প্রোডাক্ট রিভিউ লিখেন তাহলে কিন্তু একটা ভালো অ্যামাউন্টের টাকা উপার্জন করতে পারবেন। 

প্রোডাক্ট রিভিউ ব্লগ থেকে আয় করার একটি কার্যকরী উপায় হিসাবে আমার কাছে পছন্দ। আপনিও করতে পারেন তা। আসলে এই জিনিসটা জ্রুরি যদি আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল না থাকে। এবং যদি আপনি মুসলিম হোন। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ব্লগিং করে আয়ঃ 

আপনার যদি একটি ব্লগ থাকে তাহলে আপনি সেখান থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন। প্রোডাক্ট রিভিউ এর পয়েন্ট এর সাথে এটা ওতপ্রোতভাবে জড়িত বলা যায়। 
 
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সমন্ধে একটু জেনে নিই। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত এমন একটা মার্কেটিং যেখানে প্রোডাক্ট এর বিক্রয়মূল্যের কিছু অংশের বিনিমইয়ে প্রচার করা হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ ধরুন আপনি বিডিশপ থেকে কোনো প্রোডাক্ট এর প্রচারণা করলেন। এবং কেউ আপনার সেই প্রচারণা থেকে তা কিনলো। এখন এই যে কিনলো তার বিনিময়ে আপনি একটি অ্যামাউন্ট এর টাকা পাবেন। তার পরিমাণ হতে পারে বিক্রয়মূল্যের ৩% বা ৫%। 
 
প্রোডাক্ট রিভিউ এর সাথে এটি কিভাবে জড়িত বলি। আপনি তো প্রোডাক্ট রিভিউ করলেনই। এখন একেবারে লাস্টে যদি আপনার পাঠককে বলেন যে তিনি এখান থেকে কিনতে পারবেন এবং লিংক দিয়ে দেন। তাহলে ১০০ জনের মাঝে যদি ১ জনও কিনে সেখান থেকে একটি পরিমাণ আপনার ট্যাকে আসবে। 
 
আর ব্লগিং এর মাধ্যমে এভাবেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন। 
 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১