নবম-দশম শ্রেণি ইতিহাস ১০০% সাজেশন-১।।ছাত্রনেটওয়ার্ক।।
1.‘পার্ল’ বা ‘পার্লামেন্ট’ কী ?
উঃ- পার্লম ছিল বিপ্লবপূর্বফ্রান্সের রাজক্ষমতা নিয়ন্ত্রকারী উচ্চশ্রেণির আপিল আদালত, যেখানে নিম্নস্থ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা যেত। রাজকীয় কোনো আদেশ পার্লমে নিবন্ধভুক্ত না হলে তা আইন হিসেবে গণ্য করা হত না। অষ্টাদশ শতকের শেষে ফ্রান্সে এই আদালতের সংখ্যা ছিল মোট ১৩টি এবং এগুলির মধ্যে প্যারিসের পার্লম। ছিল সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী।
2.ফরাসি বিপ্লবের পূর্বে ফ্রান্সের কয়েকটি পরোক্ষ করের নাম উল্লেখ করো।
উঃ-১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি বিপ্লবের পূর্বে ফ্রান্সে যে সমস্ত পরোক্ষ কর প্রচলিত ছিল, সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল— ‘টাইথবা ধর্মকর। ‘গ্যাবেলা’ বা লবণ কর, করভি’ বা বেগারশ্রম প্রভৃতি।
3.বিপ্লব পূর্ববর্তী ফ্রান্সে কয়টি প্রত্যক্ষ কর ছিল? এগুলি কী কী ?
উঃ-বিপ্লব পূর্ববর্তী ফ্রান্সে তিনটি প্রত্যক্ষ কর ছিল।
এগুলি হল— 1.টেইলি বা ভূমিকর, 2.ক্যাপিটেশন বা উৎপাদন-কর, 3.ভিংটিয়েমে বা আয়কর।
4.‘টাইথ’ কী ?
উঃ- টাইথ হল ফ্রান্সে প্রচলিত ধর্মকর। ফ্রান্সের তৃতীয় সম্প্রদায় এই কর দিত চার্চ বা গির্জাকে। উৎপন্ন ফসলের ১০% ধর্মর্কর বা টাইথ হিসেবে দিতে হত।
5.ক্যাপিটেশন’ কী ?
উঃ- বিপ্লব পূর্ববর্তী ফ্রান্সে প্রচলিত একটি প্রত্যক্ষ করের নাম ক্যাপিটেশন। ক্যাপিটেশন হল উৎপাদনকর। ফরাসিদের উৎপাদনের উপর এই কর ধার্য করা হত। বাস্তবে যাজক ও অভিজাতরা এই কর প্রদান থেকে অব্যাহতি পেতেন এবং ফ্রান্সের সাধারণ জনগণকেই তা দিতে হত।
6.‘টেইলি’ কী ?
উঃ- বিপ্লব পূর্ববর্তী ফ্রান্সে প্রচলিত একটি প্রত্যক্ষ করের নাম টেইলি। টেইলি হল ভূমিকর বা সম্পত্তিকর। এই কর ফরাসিদের সম্পত্তি অনুসারে ধার্য করা হত। কিন্তু বাস্তবে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র কৃষকদের এই কর দিতে হত।
7.ভিংটিয়েমে’ কী ?
উঃ- বিপ্লব পূর্ববর্তী ফ্রান্সে প্রচলিত একটি প্রত্যক্ষ করের নাম। ভিংটিয়েমে বা ভাতিয়াম— স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির উপর ধার্য আয়কর, যা মূলত কৃষকরা প্রদান করত। মোট আয়ের ৫% আয়কর হিসেবে দিতে হত। অভিজাতরা এই করের কিছুটা প্রদান করলেও যাজকরা এই করপ্রদান থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত ছিলেন। ১৭৪৯ খ্রিস্টাব্দে এই কর ফ্রান্সে চালু হয়।
8.‘সস’ বা ‘সেন্স’ (Cens) ও ‘সপার’বা ‘স্যামপাট (Champart) কী?
উঃ-ম্যানরের জমি যেসব কৃষকরা চাষ করত তারা জমির মালিক সামন্তপ্রভুকে সঁসও সঁপার নামক কর দিতে বাধ্য ছিল। সঁস ছিল সাধারণ মুদ্রায় দেয় বাৎসরিক খাজনা এবং সঁপার (পার) ছিল উৎপন্ন ফসলের মাধ্যমে প্রদেয় কর।
9.কর্ভে বা করভি’কী?
উত্তর বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সে বাধ্যতামূলক বা জবরদস্তিমূলক শ্রমদান অভিহিত হত কর্ভে বা করভি নামে। এই পরোক্ষ করের জন্য কৃষকরা বিনা পারিশ্রমিকে রাজাকে রাজপথ নির্মাণের জন্য এবং সামন্তপ্রভুকে সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনগুলিতে শ্রমদান করতে বাধ্য হত।
10.রাজনৈতিক কারাগার’ (Political Prison) কাকে বলা হয় ? এবং কেন ?
উঃ-১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি বিপ্লবের পূর্বে বাস্তিল দুর্গ রাজনৈতিক কারাগার হিসেবে পরিচিত ছিল।বিপ্লবের পূর্বে ফ্রান্সে ‘লেতর দ্য ক্যাশে’ নামক গ্রেফতারি পরোয়ানার সাহায্যে রাজকীয় কর্মচারীরা যে-কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বিনা বিচারে বাস্তিল দুর্গে আটক করে রাখত বলে একে রাজনৈতিক কারাগার’ বলা হয়। রাজতন্ত্রবিরোধী মনোভাব প্রকাশ করার অপরাধে দার্শনিক ভলতেয়ার-কেও বাস্তিল দুর্গে আটক করে রাখা হয়।
11.ফরাসি সমাজে বুর্জোয়া’ কাদের বলা হত?
উঃ- ফরাসি সমাজে বুর্জোয়া বলা হত তৃতীয় সম্প্রদায়ভুক্ত মধ্যবিত্তদের। এরা ছিলেন বিদ্যা, বুদ্ধি ও ধনবলে বলীয়ান; কিন্তু বংশকৌলীন্যের অভাবে তারা সমাজ ও রাষ্ট্রে বিশেষ মর্যাদা পেতেন এরা ছিলেন অধিকারহীন শ্রেণি। বুর্জোয়াদের মধ্যেও তিনটি স্তর ছিল—1.উচ্চ বুর্জোয়া, 2.মধ্য বুর্জোয়া ও 3. নিম্ন বুর্জোয়া।
12.কে ফ্রান্সকে ভ্রান্ত অর্থনীতির জাদুঘর’বলেছে? কেন বলেছেন?
উঃ-বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথ ফ্রান্সকে ভ্রান্ত অর্থনীতির জাদুঘর’ বলেছেন।
ফ্রান্সকে ভ্রান্ত অর্থনীতির জাদুঘর বলা হয় কারণ— 1, ফ্রান্সে প্রচলিত করব্যবস্থা ছিল বৈষম্যমূলক ও দুর্নীতিগ্রস্ত। 2, ফরাসি সমাজের অধিকারভোগী শ্রেণি যাজক ও অভিজাতরা ছিলেন অধিকাংশ জমির মালিক; কিন্তু এজন্য তারা কোনো কর দিতেন না। অপরদিকে অধিকারহীন শ্রেণির দরিদ্র কৃষকদের সমস্ত কর দিতে হত।
13.ফরাসি সমাজে ‘সাকুলোৎকাদের বলা হত?
উঃ- ফরাসি সমাজে সাকুলোৎ বলতে বোঝাত শহরবাসী খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষদের। এর মধ্যে ছিল দিনমজুর, কুলি, মালি, ভিস্তি (জলবাহক), কাঠুরে, চাকর (গৃহভৃত্য) প্রভৃতি। ফরাসি বিপ্লবে সাকুলোৎদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
14.‘অভিজাত বিদ্রোহ’কী ?
উঃ- অর্থনৈতিক সংকট দূর করার উদ্দেশ্যে ফরাসি রাজা যযাড়শ লুই ১৭৮৮ খ্রিস্টাব্দে দেশের সমস্ত প্রাদেশিক পার্লামেন্ট মুলতুবি করেন এবং সকল সম্প্রদায়ের থেকে কর আদায়ের উদ্যোগ নেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সুবিধাভোগী অভিজাতশ্রেণি রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে। এই ঘটনা অভিজাত বিদ্রোহ’ বা অভিজাত বিপ্লব’ নামে পরিচিত।
15.‘আঁসিয়া রেজিম' বলতে কী বোঝায় ?
উঃ- আঁসিয়া রেজিম’বা Anción Regime কথার তাথ হল প্রাটিন আমল। ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি বিপ্লবের পূর্বে ফ্রান্সে বুরবো রাজাদের আমলকে ‘আঁসিয়া রেজিম’ বলা হয়। এই সময় রাজনৈতিক তাবস্থা ছিল স্বৈরাচারী, সামাজিক অবস্থা ছিল বৈষম্যমূলক, অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল ত্রুটিপূর্ণ। ফরাসি বিপ্লব এই পুরাতনতন্ত্রের অবসান ঘটিয়েছিল।
16.ফ্রান্সে ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি জনগণের বিদ্রোহকে ফরাসি বিপ্লব’ বলা হয় কেন?
উঃ- বিপ্লব কথার অর্থ হল কোনো প্রচলিত ব্যবস্থার অতি দ্রুত ও কার্যকরী পরিবর্তন। ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি জনগণ ফ্রান্সের প্রচলিত সমাজ, রাষ্ট্রনীতি ও অর্থনীতিক ক্ষেত্রে এক ব্যাপক ও সর্বাত্মক পরিবর্তন সাধন করেছিল বলে এই বিদ্রোহকে ফরাসি বিপ্লব’ বলা হয়।
17.ফরাসি বিপ্লবকে ‘বুর্জোয়া বিপ্লব’ বলা হয় কেন?
উঃ-টেনিস কোর্টের শপথগ্রহণের সময় যাজক ও অভিজাত সম্প্রদায়ের কিছু সদস্য তৃতীয় শ্রেণি অর্থাৎ বুর্জোয়াদের সঙ্গে যোগ দেন। রাজা ষোড়শ লুই তাদের দাবির কাছে নতিস্বীকার করেন এবং মাথাপিছু ভোটাধিকারের দাবি মেনে নেন। এইভাবে ফ্রান্সে তৃতীয় সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত বুর্জোয়ারা বিপ্লবের ক্ষেত্রে এগিয়ে আসে ও নেতৃত্ব দেয়। এই ঘটনাই বুর্জোয়া বিপ্লব’ নামে পরিচিত।
18.ফরাসি সমাজে ‘সাকুলোৎকাদের বলা হত?
উঃ- ফরাসি সমাজে সাকুলোৎ বলতে বোঝাত শহরবাসী খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষদের। এর মধ্যে ছিল দিনমজুর, কুলি, মালি, ভিস্তি (জলবাহক), কাঠুরে, চাকর (গৃহভৃত্য) প্রভৃতি। ফরাসি বিপ্লবে সাকুলোৎদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
19.ফরাসি সমাজে বুর্জোয়া’ কাদের বলা হত?
উঃ- ফরাসি সমাজে বুর্জোয়া বলা হত তৃতীয় সম্প্রদায়ভুক্ত মধ্যবিত্তদের। এরা ছিলেন বিদ্যা, বুদ্ধি ও ধনবলে বলীয়ান কিন্তু বংশকৌলীন্যের অভাবে তারা সমাজ ও রাষ্ট্রে বিশেষ মর্যাদা পেতেন এরা ছিলেন অধিকারহীন শ্রেণি। বুর্জোয়াদের মধ্যেও তিনটি স্তর ছিল— 1.উচ্চ বুর্জোয়া, 2.মধ্য বুর্জোয়া ও 3.নিম্ন বুর্জোয়া।
20.‘আঁসিয়া রেজিম' বলতে কী বোঝায় ?
উঃ- আঁসিয়া রেজিম’ বা Anción Regime কথার তাথ হল প্রাটিন আমল। ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি বিপ্লবের পূর্বে ফ্রান্সে বুরবো রাজাদের আমলকে ‘আঁসিয়া রেজিম’ বলা হয়। এই সময় রাজনৈতিক তাবস্থা ছিল স্বৈরাচারী, সামাজিক অবস্থা ছিল বৈষম্যমূলক, অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল ত্রুটিপূর্ণ। ফরাসি বিপ্লব এই পুরাতনতন্ত্রের অবসান ঘটিয়েছিল।
21.ফরাসি বিপ্লবকে ‘বুর্জোয়া বিপ্লব’ বলা হয় কেন?
উঃ-টেনিস কোর্টের শপথগ্রহণের সময় যাজক ও অভিজাত সম্প্রদায়ের কিছু সদস্য তৃতীয় শ্রেণি অর্থাৎ বুর্জোয়াদের সঙ্গে যোগ দেন। রাজা ষোড়শ লুই তাদের দাবির কাছে নতিস্বীকার করেন এবং মাথাপিছু ভোটাধিকারের দাবি মেনে নেন। এইভাবে ফ্রান্সে তৃতীয় সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত বুর্জোয়ারা বিপ্লবের ক্ষেত্রে এগিয়ে আসে ও নেতৃত্ব দেয়। এই ঘটনাই বুর্জোয়া বিপ্লব’ নামে পরিচিত।
22.‘অভিজাত বিদ্রোহ’ কী ?
উঃ-অর্থনৈতিক সংকট দূর করার উদ্দেশ্যে ফরাসি রাজা যযাড়শ লুই ১৭৮৮ খ্রিস্টাব্দে দেশের সমস্ত প্রাদেশিক পার্লামেন্ট মুলতুবি করেন এবং সকল সম্প্রদায়ের থেকে কর আদায়ের উদ্যোগ নেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সুবিধাভোগী অভিজাতশ্রেণি রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে। এই ঘটনা অভিজাত বিদ্রোহ’ বা অভিজাত বিপ্লব’ নামে পরিচিত।
23.ফ্রান্সে ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি জনগণের বিদ্রোহকে ফরাসি বিপ্লব’ বলা হয় কেন?
উঃ-বিপ্লব কথার অর্থ হল কোনো প্রচলিত ব্যবস্থার অতি দ্রুত ও কার্যকরী পরিবর্তন। ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি জনগণ ফ্রান্সের প্রচলিত সমাজ, রাষ্ট্রনীতি ও অর্থনীতিক ক্ষেত্রে এক ব্যাপক ও সর্বাত্মক পরিবর্তন সাধন করেছিল বলে এই বিদ্রোহকে ফরাসি বিপ্লব’ বলা হয়।
24.দার্শনিকদের রচনা ফরাসিদের উদ্বুদ্ধ হতে কীভাব সাহায্য করেছিল ?
উঃ-দার্শনিকদের প্রভাব : প্রাক-বিপ্লব ফ্রান্সে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন ছিল না। সেই অভাব পূরণ করেছিলেন বুদ্ধিজীবী ও দার্শনিকরা। এঁরা বক্তৃতা ও লেখনীর মধ্য দিয়ে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও বিক্ষোভকে ভাষা জোগান। ফ্রান্সে দার্শনিকদের লেখা নানান পুস্তক-পুস্তিকা, পত্রপত্রিকা প্রকাশিত হত। কাফে, রেস্তোঁরা ও সালোঁতে দার্শনিকদের মতবাদ নিয়ে আলোচনা হত। ফলে সাধারণ অশিক্ষিত মানুষও এই সমস্ত আলোচনা শুনে রাজতন্ত্র, অভিজাততই ও যাজকতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলেছিলেন। তারা চার্চের দুর্নীতি ও নৈতিক অধঃপতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন।
25.ফরাসি বিপ্লবে দার্শনিকদের ভূমিকা কী ছিল?
উঃ- মন্তেস্কু, ভলতেয়ার, রুশো প্রমুখ ফরাসি দার্শনিকগণ প্রাক্-বিপ্লব ফ্রান্সের সমাজ, অর্থনীতি ও রাষ্ট্রনীতির প্রকৃত স্বরূপ জনগণের সামনে উন্মোচন করেছিলেন। এর ফলে জনগণের মধ্যে বিপ্লবমনস্কতা তৈরি হয়েছিল।
26.রুশো বিখ্যাত কেন? তাঁর রচিত দুটি গ্রন্থের নাম লেখো।
উঃ-রুশো ছিলেন ফরাসি বিপ্লবের প্রাক্কালে সর্বশ্রেষ্ঠ দার্শনিক। তাঁর রচিত দুটি গ্রন্থের নাম হল— 1, সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট (সামাজিক চুক্তি) এবং 2, অরিজিন অফ ইনইকুয়ালিটি (অসাম্যের উৎস)।
27.ফরাসি বিপ্লবের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন দার্শনিকের নাম লেখো।
উঃ- ফরাসি বিপ্লবেরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- মন্তেস্কু, রুশো, ভলতেয়ার, দেনিস দিদেররা, দ্য এলেমবার্ট প্রমুখ।
28.ফরাসি বিপ্লবের জনক' কাকে বলা হয় ? কোন্ গ্রন্থকে ফরাসি বিপ্লবের বাইবেল’ বলা হয় ?
উঃ- ফরাসি বিপ্লবের জনক : ফরাসি দার্শনিক রুশো-কে ফরাসি বিপ্লবের জনকস’ বলা হয়। ফরাসি বিপ্লবের বাইবেল : ফরাসি দার্শনিক রুশো রচিত ‘সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট’ গ্রন্থটিকে ফরাসি বিপ্লবের বাইবেল’ বলা হয়।
29.মন্তেস্কু কে ছিলেন? মন্তেস্কু রচিত দুটি গ্রন্থের নাম লেখো।
উঃ-মন্তেস্কু ছিলেন একজন বিশিষ্ট ফরাসি দার্শনিক। তিনি ছিলেন নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রের সমর্থক এবং রাজার ঐশ্বরিক ক্ষমতার ধারণার বিরোধী। ফরাসি বিপ্লবের পূর্বে তাঁর মতবাদ ফরাসিদের প্রভাবিত করেছিল। মন্তেস্কু রচিত দুটি বিখ্যাত গ্রন্থ হল— 1, দ্য স্পিরিট অফ লজ এবং 2, দ্য পার্সিয়ান লেটারস।
30.ভলতেয়ার কে ছিলেন? ভলতেয়ার রচিত দুটি গ্রন্থের নাম লেখো।
উঃ-ভলতেয়ার ছিলেন একজন বিখ্যাত ফরাসি সাহিত্যিক ও দার্শনিক। তার রচিত দুটি গ্রন্থের নাম হল—
1,কাদিদ এবং 2, লেতর ফিলজফিক।
31.দেনিস দিদেরো ও দ্য এলেমবার্ট কেন বিখ্যাত?
উঃ- দেনিস দিদেরো ও দ্য এলেমবার্ট ছিলেন বিপ্লব পূর্ববর্তী সময়ের বিখ্যাত দুই পণ্ডিত। এঁরা সমকালীন পণ্ডিতদের সহযোগিতায় ৩৫ খণ্ডের বিশ্বকোশ (Encyclopedia) রচনা করেন।
32.স্টেট জেনারেল কী? ফ্রান্সের রাজা ষোড়শ লুই কেনন স্টেট জেনারেলের অধিবেশন আহ্বান করেছিলেন?
উঃ- স্টেট জেনারেল : স্টেটস্ জেনারেল হল ফ্রান্সের জাতীয় সভা। স্টেট জেনারেলের অধিবেশন আহ্বানের কারণ : রাজা ষোড়শ লুই স্টেটস্ জেনারেলের অধিবেশন ডেকে জনগণের উপর বাড়তি কর ধার্য করতে চেয়েছিলেন। ফ্রান্সের তৎকালীন অর্থসংকট থেকে মুক্তিলাভের জন্য তিনি স্টেটস্ জেনারেলের অধিবেশন আহ্বান করেছিলেন।
33.স্টেট জেনারেলের অধিবেশনে তৃতীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা কী কী দাবি করেছিলেন?
উঃ-১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত স্টেট জেনারেলের অধিবেশনে তৃতীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা দুটি প্রধান দাবি করেছিলেন। দাবিগুলি ছিল— যৌথ অধিবেশন : 1.প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে যৌথ অধিবেশন করতে হবে। 2. মাথাপিছু ভোট কৃষকদের মধ্যে যে অন্যতম প্রবণতাটি লক্ষ করেছিলেন, তা ছিল বিরাট আশা বা Great Hope।কৃষকেরা ন্যায় ও সাম্যের উপর প্রতিষ্ঠিত নতুন সমাজের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল। তারা আশা করেছিল ওপরতলার মানুষেরা দুর্বিষহ অবস্থা থেকে তাদের মুক্তি দিতে এগিয়ে আসবেন।
34.‘লেতর-দ্য-ক্যাশে’ (Lettres de Cachatt) কী ?
উঃ- ‘লেতর-দ্য-ক্যাশে’ হল ফ্রান্সে প্রচলিত একপ্রকার রাজকীয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। এই পরোয়ানার ভিত্তিতে রাজকর্মচারীরা যে-কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বিনা বিচারে দীর্ঘদিন আটক করে রাখতে পারতেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url