OrdinaryITPostAd

প্রোফেশানাল/সফল ফ্রিল্যান্সার প্রোফাইল তৈরি -Nullblogger

 


দিন দিন অসংখ্য মানুষ ফ্রিল্যান্সিংকে প্রাইমারী এমপ্লয়মেন্ট হিসেবে বেছে নিচ্ছেন, তাই কম্পিটিশনও বাড়ছে। এক্ষেত্রে, কম্পিটিশন এ টিকে থাকতে হলে সফল ফ্রিল্যান্সার প্রোফাইল তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্লগে সফল ফ্রিল্যান্সার প্রোফাইল তৈরি করার সেরা উপায়গুলো আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।

আসুন দেখে নেওয়া যাক এমন ৭টি উপায় যা আপনার প্রোফাইলটিকে সেরা করে তুলবে।

  • প্রোফেশানাল প্রোফাইল পিকচার:
    • আপনার প্রোফাইল এ প্রোফেশানাল প্রোফাইল পিকচার মাস্ট থাকতেই হবে।
    • আপনার প্রোফাইল এ ল্যান্ড করার প্রথমেই ক্লাইন্টের যেটা চোখে পরবে তা হল আপনার ছবি। তাই সঠিক ছবি বেছে নেওয়া অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ।
    • খেয়াল রাখবেন, ছবিটিতে আপনার অ্যাপিয়ারেন্স যেন পরিস্কার আর পরিপাটি থাকে।
    • আপনার অ্যাপিয়ারেন্স বন্ধুত্বপূর্ণ হলে যে কেউ আপনার সাথে কাজ করতে উৎসাহী হবেন।
  • নির্দিষ্ট হেডলাইন:
    • আপনার স্কিলের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই হেডলাইনটি লিখুন।
    • আপনার হেডলাইনটিই আপনার ফ্রিল্যান্সার প্রোফাইলের সবচেয়ে শক্তিশালী সেকশান।
    • বেশিরভাগ সময়ে এটাই ক্লাইন্টের কাছে আপনার ফার্স্ট ইম্প্রেশন তৈরি করে।
    • আপনার হেডলাইনটি তথ্যপূর্ণ এবং ফোকাসড হওয়া উচিৎ।
    • আপনি যত বেশী ফোকাসড হেডলাইন ব্যবহার করবেন, সংশ্লিষ্ট ক্লাইন্টের আপনাকে খুঁজে পেতে ততই সুবিধা হবে।

     

  • ফার্স্ট পার্সনে লিখুন:
    • আপনার লিখাগুলো ফার্স্ট পার্সনেলিখার চেষ্টা করুন।
    • ফার্স্ট পারসনে বায়ো লিখলে ক্লাইন্ট সহজেই আপনার সম্পর্কে ধারনা করতে পারবেন।
    • ব্যাক্তিগত তথ্য যেমন আপনার জীবনের লক্ষ্য বা হবি এসব শেয়ার না করাই ভাল।
    • আপনার প্রোফাইলটি আসলে আপনার অনলাইন সিভি। আপনার বায়ো সর্বাধিক ২০০ শব্দের মধ্যেরাখার চেষ্টা করুন।
  • পোর্ট-ফোলিও তৈরি:
    • সাধারণ অর্থে পোর্ট-ফোলিও হল আপনার কাজের সেম্পল।
    • আপনার প্রথম ফ্রিল্যান্স কাজটি পাওয়ার জন্য পোর্ট-ফোলিও অনেক ভূমিকা পালন করতে পারে।
    • ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মটি আপনার পুর্বে করা কাজ শেয়ার করার সুযোগ দিলে একটি আকর্ষণীয় পোর্ট-ফোলিওর মাধ্যমে সেগুলি উপস্থাপন করুন।
    • এতে সহজেই ক্লাইন্ট আপনার প্রোফাইলের প্রতি আকৃষ্ট হবেন।
  • আপনার বিশেষত্ব:
    • আপনার বিশেষত্ব ফুটিয়ে তুলার চেষ্টা করুন।
    • আপনার প্রোফাইলে আপনার বিশেষত্বগুলো সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখুন।
    • আপনার কাজগুলোর পারদর্শিতার কথা উল্লেখ করুন।
    • আপনার বিশেষত্বগুলোই অসংখ্য ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে আপনি কিসে কিসে আলাদা সেটা ক্লায়েন্টদের বুঝতে সাহায্য করবে।
  • এক্সপেরিয়েন্স আর কোয়ালিফিকেশন:
    • ক্লায়েন্ট আপনার এক্সপেরিয়েন্স আর কোয়ালিফিকেশনগুলো পরখ করে দেখতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক।
    • আপনার প্রোফাইলে আপনার এক্সপেরিয়েন্স আর কোয়ালিফিকেশন শেয়ার করা খুবই জরুরি।
    • শিক্ষা ছাড়াও অন্যান্য এক্সপেরিয়েন্স এখানে সমান গুরুত্বপূর্ণ। এগুলি ক্লাইন্টদের আপনার সম্পর্কে একটা সুস্পষ্ট ধারণা দেবে।
  • প্রুফরিড:
    • আপনার লিখাগুলো আপনাকে মাস্ট প্রুফরিড করতে হবে।
    • ক্লাইন্টদের সাথে শেয়ার করার আগে প্রোফাইলটি বারবার প্রুফরিড করে নিন। এতেই আপনার মঙ্গল হবে।
    • সমস্ত ফিল্ড যেন কমপ্লিট থাকে, সব ইনফর্মেশন এবং বানান যেন সঠিক হয় সেদিকে বিশেষ নজর দিন।
  • আপডেটেড প্রোফাইল:
    • আপনার প্রোফাইল সবসময় আপডেটেড থাকা বাঞ্চনীয়।
    • সময়ের সাথে আপনার এক্সপেরিয়েন্সও বাড়বে।
    • তাই নিয়মিত প্রোফাইলটি আপডেট করুন।
    • নতুন এক্সপেরিয়েন্স প্রোফাইলে যুক্ত করে আপনার ফ্রিল্যান্সিং এর সুযোগ আরও বাড়িয়ে তুলুন।

     

  • অ্যাক্টিভিটি:
    • আপনার অ্যাক্টিভিটি আর প্রেজেন্স বাড়ানোর চেষ্টা করুন।
    • বেশিসময় অনলাইনে অ্যাক্টিভ থাকার চেষ্টা করুন।
    • মেসেজ আসার সাথে সাথেই ক্লাইন্টকে রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করুন।

একটি সফল ফ্রিল্যান্সার প্রোফাইলের জন্যে ওপরের সবকটি পয়েন্ট অত্যন্ত জরুরি। আপনি উপরে উল্লেখিত উপায়গুলো ফলো করে ফ্রিল্যান্স প্রোফাইল তৈরি করলে আপনার ক্লায়েন্ট পাওয়ার হার বেড়ে যাবে এটা বলা যায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১