OrdinaryITPostAd

গবেষণা কাকে বলে তথ্য সংগ্রহের কৌশল কি: বিস্তারিত জানুন

গবেষণা হলো জ্ঞান অর্জনের একটি প্রক্রিয়া। এতে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়। গবেষণা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ। এটি নতুন তথ্য ও জ্ঞান উন্মোচনের মাধ্যম। তথ্য সংগ্রহের কৌশল বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। প্রতিটি কৌশল নির্ভর করে গবেষণার উদ্দেশ্য ও ধরন অনুযায়ী। তথ্য সংগ্রহের প্রাথমিক পদক্ষেপগুলি সঠিকভাবে জানা জরুরি। এতে গবেষণার ফলাফল সঠিক ও নির্ভুল হয়। গবেষণা কেন এবং কীভাবে করতে হয়, তা বোঝা আবশ্যক। এই ব্লগে আমরা গবেষণার সংজ্ঞা, প্রয়োজনীয়তা এবং তথ্য সংগ্রহের বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। আশা করি এটি আপনার গবেষণার কাজে সহায়ক হবে।

গবেষণা কি

গবেষণা কি? গবেষণা হলো একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে নতুন তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়। এটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় যেমন বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, মানবিকতা ইত্যাদি। গবেষণা করতে বিভিন্ন পদ্ধতি ও কৌশল প্রয়োগ করা হয় যা গবেষণার উদ্দেশ্য ও ধরন অনুসারে পরিবর্তিত হয়।

গবেষণার সংজ্ঞা

গবেষণা (Research) শব্দটি এসেছে ফরাসি শব্দ "rechercher" থেকে, যার অর্থ খোঁজা বা অনুসন্ধান করা। গবেষণা হলো একটি সুসংগঠিত এবং পদ্ধতিগত প্রক্রিয়া যেখানে কোন একটি বিষয়ে নতুন তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করা হয়। গবেষণার মাধ্যমে আমরা নতুন জ্ঞান অর্জন করি এবং পুরোনো ধারণাকে যাচাই করি।

গবেষণার প্রকারভেদ

গবেষণার বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। প্রতিটি প্রকারের গবেষণার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য এবং কৌশল থাকে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার প্রকারভেদ তুলে ধরা হলো:

  • মৌলিক গবেষণা: এটি একেবারে নতুন জ্ঞান অর্জনের জন্য করা হয়।
  • প্রয়োগিক গবেষণা: এটি নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য করা হয়।
  • বর্ণনামূলক গবেষণা: এটি কোনো বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে।
  • প্রায়োগিক গবেষণা: এটি গবেষণার মাধ্যমে তত্ত্বের বাস্তব প্রয়োগ পরীক্ষা করে দেখা হয়।

গবেষণার এই প্রকারভেদগুলির মধ্যে কয়েকটি সাধারণত একসাথে ব্যবহৃত হয়। যেমন, মৌলিক গবেষণা এবং প্রয়োগিক গবেষণা একসাথে করা হতে পারে।

গবেষণার প্রকারভেদ বৈশিষ্ট্য
মৌলিক গবেষণা নতুন জ্ঞান অর্জন
প্রয়োগিক গবেষণা সমস্যা সমাধান
বর্ণনামূলক গবেষণা বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ
প্রায়োগিক গবেষণা তত্ত্বের বাস্তব প্রয়োগ

গবেষণার গুরুত্ব

গবেষণা একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন তথ্য এবং জ্ঞান আহরণে সহায়ক। এটি আমাদেরকে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান এবং উন্নয়নের পথ খুঁজে পেতে সহায়তা করে। গবেষণার মাধ্যমে আমরা নতুন ধারণা এবং প্রযুক্তি আবিষ্কার করতে পারি যা আমাদের জীবনকে সহজ এবং উন্নত করে।

অ্যাকাডেমিক ক্ষেত্রে

অ্যাকাডেমিক ক্ষেত্রে গবেষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীরা গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান অর্জন করে এবং তাদের পড়াশোনার মান বৃদ্ধি পায়। গবেষণা শিক্ষার্থীদেরকে বিশ্লেষণ, সমালোচনা এবং সমস্যার সমাধান করার দক্ষতা অর্জন করতে সহায়তা করে।

  • নতুন তথ্য এবং তত্ত্ব আবিষ্কার
  • প্রকল্প এবং পরীক্ষণ
  • প্রবন্ধ এবং থিসিস রচনা

বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে

বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে গবেষণা ব্যবসার উন্নয়নে বড় ভূমিকা পালন করে। এটি বাজারের প্রয়োজন এবং গ্রাহকের চাহিদা বুঝতে সহায়তা করে। গবেষণার মাধ্যমে ব্যবসাগুলি তাদের পণ্য এবং পরিষেবার মান উন্নত করতে পারে।

  1. বাজার বিশ্লেষণ
  2. প্রোডাক্ট উন্নয়ন
  3. গ্রাহক সন্তুষ্টি যাচাই

গবেষণার গুরুত্ব অপরিসীম। এটি আমাদেরকে নতুন দিগন্তের পথে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচিত করে।

তথ্য সংগ্রহের কৌশল

গবেষণার ক্ষেত্রে, তথ্য সংগ্রহের কৌশল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে গবেষণার মান উন্নত হয়। নীচে প্রাথমিক এবং দ্বিতীয়িক তথ্য সংগ্রহের কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হলো।

প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ

প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ বলতে বোঝায় নতুন তথ্য সংগ্রহ করা। এই তথ্য সরাসরি সূত্র থেকে সংগ্রহ করা হয়। কিছু প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের কৌশল নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • সাক্ষাৎকার: ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
  • সার্ভে: প্রশ্নমালার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
  • পর্যবেক্ষণ: সরাসরি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
  • গবেষণাগার পরীক্ষা: গবেষণাগারে পরীক্ষা করে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

দ্বিতীয়িক তথ্য সংগ্রহ

দ্বিতীয়িক তথ্য সংগ্রহ বলতে বোঝায় পূর্বে সংগৃহীত তথ্য ব্যবহার করা। এই তথ্য সাধারণত বিভিন্ন উৎস থেকে সংগৃহীত হয়। কিছু দ্বিতীয়িক তথ্য সংগ্রহের কৌশল নিচে উল্লেখ করা হলো:

  1. গ্রন্থাগার: বই, পত্রিকা, এবং গবেষণাপত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
  2. ইন্টারনেট: বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং অনলাইন ডাটাবেস থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
  3. সরকারি প্রতিবেদন: সরকারি সংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
  4. স্ট্যাটিস্টিক্যাল ডাটা: বিভিন্ন পরিসংখ্যান তথ্য ব্যবহার করা হয়।
গবেষণা কাকে বলে তথ্য সংগ্রহের কৌশল কি: বিস্তারিত জানুন

Credit: www.skincancer.org

প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতি

গবেষণায় প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি গবেষণার মূল ভিত্তি গঠন করে। প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো।

সার্ভে

সার্ভে একটি প্রচলিত প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতি। এতে একটি নির্দিষ্ট গ্রুপের মানুষের মতামত বা তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সার্ভে বিভিন্ন উপায়ে পরিচালিত হতে পারে। যেমনঃ অনলাইন সার্ভে, কাগজপত্রের সার্ভে, টেলিফোন সার্ভে ইত্যাদি।

  • অনলাইন সার্ভে: সহজ এবং দ্রুত তথ্য সংগ্রহের উপায়।
  • কাগজপত্রের সার্ভে: ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতি, গ্রামীণ এলাকায় কার্যকর।
  • টেলিফোন সার্ভে: সংক্ষিপ্ত সময়ে বেশি তথ্য সংগ্রহ করা যায়।

ইন্টারভিউ

ইন্টারভিউ আরও গভীর এবং বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি। এতে সরাসরি ব্যক্তির সাথে কথা বলা হয়।

  1. স্ট্রাকচারড ইন্টারভিউ: নির্দিষ্ট প্রশ্নমালা অনুসারে পরিচালিত হয়।
  2. আনস্ট্রাকচারড ইন্টারভিউ: প্রশ্নমালার নির্দিষ্ট কাঠামো থাকে না।
  3. সেমি-স্ট্রাকচারড ইন্টারভিউ: আংশিক কাঠামো অনুসরণ করা হয়।

পর্যবেক্ষণ

পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিতে সরাসরি ঘটনা বা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হয়। এটি বাস্তবতার সাথে মিল রেখে তথ্য সংগ্রহের উপায়।

  • প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ: সরাসরি ক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা থেকে তথ্য সংগ্রহ।
  • অপ্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ: অন্যের অভিজ্ঞতা বা তথ্যের উপর ভিত্তি করে সংগ্রহ।

দ্বিতীয়িক তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতি

গবেষণায় তথ্য সংগ্রহের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। এর মধ্যে দ্বিতীয়িক তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দ্বিতীয়িক তথ্য হলো পূর্বে সংগৃহীত ও প্রকাশিত তথ্য যা গবেষণার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। নিম্নে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দ্বিতীয়িক তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি আলোচনা করা হলো।

লাইব্রেরি রিসার্চ

লাইব্রেরি রিসার্চ হলো গবেষণার একটি প্রচলিত পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে লাইব্রেরির বিভিন্ন বই, জার্নাল, ম্যাগাজিন এবং অন্যান্য প্রকাশনা ব্যবহার করা হয়। লাইব্রেরির সংরক্ষিত তথ্য গবেষণার জন্য অমূল্য সম্পদ হতে পারে।

অনলাইন ডাটাবেস

অনলাইন ডাটাবেস বর্তমানে তথ্য সংগ্রহের একটি আধুনিক পদ্ধতি। বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং ডাটাবেস থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যায়। যেমন, গুগল স্কলার, জেস্টোর, প্রোকুয়েস্ট ইত্যাদি। এই পদ্ধতিতে সহজেই প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যায় এবং সময় সাশ্রয় হয়।

আর্কাইভস

আর্কাইভস তথ্য সংগ্রহের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। আর্কাইভসে পুরনো নথি, চিঠি, রিপোর্ট এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট সংরক্ষিত থাকে। গবেষণা কাজে এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

পদ্ধতি বর্ণনা
লাইব্রেরি রিসার্চ বই, জার্নাল, ম্যাগাজিন থেকে তথ্য সংগ্রহ
অনলাইন ডাটাবেস ওয়েবসাইট এবং ডাটাবেস থেকে তথ্য সংগ্রহ
আর্কাইভস পুরনো নথি ও ডকুমেন্ট থেকে তথ্য সংগ্রহ

তথ্য বিশ্লেষণের কৌশল

তথ্য বিশ্লেষণের কৌশল হলো সেই প্রক্রিয়া যা তথ্যকে অর্থপূর্ণ করে তোলে। এটি গবেষণার অপরিহার্য অংশ। সঠিক তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি। তথ্য বিশ্লেষণের বিভিন্ন কৌশল আছে যা গবেষণায় প্রয়োগ করা হয়।

গুণগত বিশ্লেষণ

গুণগত বিশ্লেষণ একটি গবেষণা পদ্ধতি যা তথ্যের গভীরতা ও ব্যাখ্যার উপর নির্ভর করে। এটি সাধারণত বর্ণনামূলক তথ্য সংগ্রহ করে যেমন সাক্ষাৎকার, পর্যবেক্ষণ, এবং ডায়েরি। এই পদ্ধতিতে তথ্য বিশ্লেষণ করতে নিচের পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করা হয়:

  • থিম্যাটিক এনালাইসিস: প্রধান থিম ও প্যাটার্ন খুঁজে বের করা।
  • কন্টেন্ট এনালাইসিস: তথ্যের বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করা।
  • ন্যারেটিভ এনালাইসিস: ব্যক্তিগত গল্প ও অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করা।

পরিমাণগত বিশ্লেষণ

পরিমাণগত বিশ্লেষণ হলো সংখ্যার মাধ্যমে তথ্য বিশ্লেষণ করার একটি পদ্ধতি। এতে তথ্যকে পরিসংখ্যানগত পদ্ধতিতে বিশ্লেষণ করা হয়। এই পদ্ধতিতে তথ্য বিশ্লেষণ করতে নিচের কৌশলগুলি ব্যবহার করা হয়:

  1. ডেস্ক্রিপটিভ স্ট্যাটিস্টিক্স: তথ্যের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি বর্ণনা করা।
  2. ইনফারেনশিয়াল স্ট্যাটিস্টিক্স: তথ্যের উপর ভিত্তি করে উপসংহার টানা।
  3. রিগ্রেশন অ্যানালাইসিস: পরিবর্তনশীলগুলির মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণ করা।

এগুলো হলো গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণের প্রধান দুটি কৌশল।

গবেষণার চ্যালেঞ্জ

গবেষণা একটি জটিল প্রক্রিয়া যেখানে বিভিন্ন ধরণের তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। গবেষণার চ্যালেঞ্জগুলি মূলত তথ্যের নির্ভুলতা এবং প্রবণতা ও পক্ষপাতের সাথে সম্পর্কিত।

তথ্যের নির্ভুলতা

গবেষণার ক্ষেত্রে তথ্যের নির্ভুলতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তথ্য সংগ্রহের সময় ত্রুটি বা ভুল তথ্য গবেষণার ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে। তথ্যের উৎস নির্ভরযোগ্য না হলে বা তথ্য ভুলভাবে সংগ্রহ করা হলে গবেষণার মান কমে যায়।

তথ্যের নির্ভুলতা নিশ্চিত করতে সঠিক পদ্ধতি এবং যথাযথ সরঞ্জাম ব্যবহার করা উচিত। বিশ্বস্ত উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ এবং তথ্য যাচাই করা প্রয়োজন। এছাড়াও, তথ্যের বিশ্লেষণ করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

প্রবণতা ও পক্ষপাত

গবেষণার ক্ষেত্রে প্রবণতা ও পক্ষপাত একটি বড় চ্যালেঞ্জ। গবেষক বা তথ্য সংগ্রাহকের ব্যক্তিগত মতামত বা পূর্বধারণা গবেষণার ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে। এটি গবেষণার নিরপেক্ষতা নষ্ট করতে পারে।

প্রবণতা ও পক্ষপাত এড়ানোর জন্য গবেষণায় নিরপেক্ষতা বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণার সময় বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করা এবং বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত। এছাড়া, গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণের সময় বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োগ করা উচিত।

চ্যালেঞ্জ সমাধান
তথ্যের নির্ভুলতা বিশ্বস্ত উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ, সঠিক পদ্ধতি ব্যবহার
প্রবণতা ও পক্ষপাত নিরপেক্ষতা বজায় রাখা, বিভিন্ন উৎস ও পদ্ধতি ব্যবহার

গবেষণার চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করার জন্য সতর্কতা এবং সঠিক পরিকল্পনা প্রয়োজন। তথ্যের নির্ভুলতা এবং প্রবণতা ও পক্ষপাত এড়িয়ে গবেষণার মান বৃদ্ধি করা সম্ভব।

গবেষণা কাকে বলে তথ্য সংগ্রহের কৌশল কি: বিস্তারিত জানুন

Credit: www.instagram.com

গবেষণা প্রতিবেদন রচনা

গবেষণা প্রতিবেদন রচনা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা গবেষণার ফলাফল এবং তথ্য সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে সাহায্য করে। সঠিক কাঠামো এবং লেখার কৌশল অনুসরণ করে গবেষণা প্রতিবেদন রচনা করলে পাঠক সহজেই গবেষণার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন।

প্রতিবেদনের গঠন

গবেষণা প্রতিবেদন সাধারণত নিম্নলিখিত অংশগুলিতে বিভক্ত থাকে:

  • শিরোনাম: সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম যা গবেষণার মূল বিষয়বস্তু প্রতিফলিত করে।
  • সারাংশ: গবেষণার মূল পয়েন্টগুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ।
  • ভূমিকা: গবেষণার প্রেক্ষাপট এবং উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করা হয়।
  • পদ্ধতি: গবেষণার পদ্ধতি এবং তথ্য সংগ্রহের কৌশল বর্ণনা করা হয়।
  • ফলাফল: গবেষণার ফলাফল এবং তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
  • আলোচনা: ফলাফল বিশ্লেষণ এবং গবেষণার সীমাবদ্ধতা আলোচনা করা হয়।
  • উপসংহার: গবেষণার সারমর্ম এবং ভবিষ্যতের গবেষণার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।
  • তালিকা: সমস্ত উল্লেখিত তথ্য এবং উৎসের তালিকা প্রদান করা হয়।

লেখার কৌশল

গবেষণা প্রতিবেদন লেখার সময় কিছু বিশেষ কৌশল অনুসরণ করা প্রয়োজন:

  • সহজ ভাষা: জটিল ভাষা পরিহার করে সহজ এবং সরল ভাষা ব্যবহার করুন।
  • সংক্ষিপ্ত বাক্য: দীর্ঘ বাক্যের পরিবর্তে সংক্ষিপ্ত বাক্য ব্যবহার করুন।
  • অনুচ্ছেদ বিভাজন: বড় অনুচ্ছেদগুলিকে ছোট ছোট অংশে বিভক্ত করুন।
  • উদাহরণ: প্রয়োজনীয় উদাহরণ এবং চিত্র ব্যবহার করে তথ্য পরিষ্কার করুন।
  • মার্জিত শৈলী: মার্জিত এবং প্রাসঙ্গিক শৈলী ব্যবহার করে লেখার মান উন্নত করুন।

সঠিক কাঠামো এবং কৌশল অনুসরণ করে গবেষণা প্রতিবেদন রচনা করলে এটি পাঠকদের জন্য আরও সহজবোধ্য এবং আকর্ষণীয় হয়।

গবেষণা কাকে বলে তথ্য সংগ্রহের কৌশল কি: বিস্তারিত জানুন

Credit: www.facebook.com

Frequently Asked Questions

গবেষণা কাকে বলে?

গবেষণা হলো একটি প্রক্রিয়া যেখানে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়।

তথ্য সংগ্রহের কৌশলগুলি কি কি?

তথ্য সংগ্রহের কৌশলগুলির মধ্যে সাক্ষাৎকার, জরিপ, পর্যবেক্ষণ এবং ডকুমেন্ট বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্ত।

গবেষণার গুরুত্ব কি?

গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করে এবং সমস্যার সমাধান প্রদান করে।

তথ্য সংগ্রহের সময় কোন উপকরণগুলি প্রয়োজন?

তথ্য সংগ্রহের জন্য নোটবুক, রেকর্ডার, ক্যামেরা এবং প্রশ্নমালা প্রয়োজন।

Conclusion

তথ্য সংগ্রহের কৌশলগুলি গবেষণার মূল ভিত্তি। সঠিক কৌশল বেছে নিন। সফল গবেষণার জন্য তথ্যের সঠিক বিশ্লেষণ দরকার। তথ্য সংগ্রহের বিভিন্ন পদ্ধতি আপনাকে সাহায্য করবে। সঠিক তথ্য সংগ্রহ আপনাকে গঠনমূলক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। গবেষণার মান উন্নত হবে। তথ্য সংগ্রহের কৌশলগুলি যথাযথভাবে অনুসরণ করুন। গবেষণার ফলাফল আরও ফলপ্রসূ হবে। সঠিক কৌশল আপনাকে সঠিক পথে পরিচালিত করবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১