একটি আগ্রা ভ্রমণের গল্প - নালব্লগারঃভ্রমন
দিল্লীতে বসে
বসে প্লান বানাচ্ছি । প্লান ছিল আগামীকাল সকাল সকাল আগ্রার উদ্দেশ্যে রওনা
দেব। ওখানেই কোন হোটেলে উঠবো। রাতে মোবাইল ইন্টারনেটে ( সুপার মার্কেটের
ওয়াইফাই দিয়ে মোবাইলে ) বিভিন্ন ভ্রমণ ফোরামে ও ব্লগ ঘুরে দেখলাম আগ্রার
হোটেল রেন্ট , খাওয়ার কস্ট সব বেশি। হাইলি টুরিস্ট এরিয়া। টুরিস্টে ভরপুর।
তো অনেক চিন্তা করে ৪০০ রুপিদিয়ে ‘রাজধানী ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস” এর আগ্রা
ঘুরানোর বাসের টিকেট কেটে ফেল্লাম। বাস কাল ভোর ৫ টায় আমাকে হোটেলের সামনে
থেকে নিয়ে যাবে আগ্রাই এবং রাত ১০-১১টার মধ্যে আবার নামিয়ে দেবে হোটেলর
সামনে। সব ঠিক ঠাক করে রাতের খাবার জুমা মসজিদের ২ নং গেটের গলি থেকে
খেলাম। আইটেম বিশাল বিশাল নান রুটি আর সুপ (ছাগলের নলা) খেয়ে ঘুমাতে গেলাম
খোশ মেজাজে। কাল যে আমি ভালবাসার শহর আগ্রায় যাবো। তাজমহল দেখবো। :D
[ নোট :-
দিল্লী থেকে আগ্রা অনেক ভাবেই যাওয়া যায় । টুরিস্ট বাস,নরমাল বাস,ট্রেন ।
ঝামেলা না চাইলে টুরিস্ট বাসই বেস্ট। কারণ সেটা আপনাকে দিল্লির হোটেল থেকে
তুলে নিয়ে রাতে আবার হোটেলে নামিয়ে দেবে। ভাড়া ৩৫০-৪০০ রুপি (নন এসি)। আর
যদি আপনি রাতে আগ্রায় থাকতে চান দিল্লি থেকে বিদায় নিয়ে তা হলে নরমাল একটা
বাসের টিকিট কাটতে পারেন। ]
------------------------------------------------------------------------------
সকালে ঘুম
থেকে উঠেই দৌড়া দৌড়ী পরে গেল। কারণ হাতে সময় কম। সকাল ৫ টায় বাস আসার কথা।
আমি লেট। কোনমতে দাত মেজে , প্যান্ট , শার্ট পড়ে ক্যামেরা টা পকেটে ঢুকিয়ে
পরি মরি করে হোটেলের নিচে নামলাম। হোটেলের নিচে যেখান থেকে টিকিট কাটসিলাম
সে কাউন্টারের সামনে গেলাম। ভোর তাই ওটা বন্ধ। আর কি করা সাইন বোর্ডের পাশে
দাড়িয়ে থাকলাম। সাইন বোর্ডটার একটা ছবি নিলাম।
ছবি :- সাইন বোর্ড। |
একটা টুরিস্ট
বাস সামনে এসে ব্রেক কসলো। আমি নিশ্চিত ছিলাম ওটা আমার বাস না। কারন
জানালা দিয়ে দেখা যাচ্ছে সব বিদেশী টুরিস্ট। সাদা চামড়ার টুরিস্টরা কেউ
বাইরে তাকিয়ে আছে কেউ ডিএসএলআর দিয়ে এটা সেটার ছবি তুলার চেস্টা
করতেছে। আমার ৪০০ রুপির টিকিটে নিশ্চয় এ হাই-ফাই বাস আশা করিনি। কিন্তু বাস
থেকে একজন ইন্ডিয়ান নেমে প্রশ্ন করলো আমি আগ্রার ট্রুরের বাসের টিকিট
কেটেছি কিনা। আমি বললাম “হা” সে যা বলল তা হলো , আমি যে বাসের টিকিট কেটেছি
সে বাস আগে থেকে ফুল হয়ে গেছে। আমাকে সে একই দামে এই বাসের একটা সিট
দিচ্ছে। আমি মনে মনে খুশি হলাম এই ভেবে না যে , সে আমাকে একটা লাক্সারী
বাসের টিকেট দিয়েছে বা আমি বিদেশি টুরিস্টদের সাথে ঘুরতে পারবো। আমি এ ভেবে
হাসি পেল যে বেটা আমার সাথে হিন্দিতে কথা বলছে , আমিও হিন্দিতে কথা বলছি
সে বুঝতে পারেনি আমি ইন্ডিয়ান না। বাস চলতে লাগলো ... সকাল তাই দিল্লি শহর
তখনো জেগে উঠেনি। তার মাঝখান দিয়ে আমাদের বাস চলতে লাগলো। আমি একদল বিদেশী (
জার্মানি , কানাডা , আমেরিকান ) টুরিস্ট ভর্তি বাসে করে রওনা দিলাম। আমার
পাশের সিটেই একজন জার্মানির টুরিস্ট ছিল। বিশেষ কথা হলোনা। হাই হেলো নাম
ধাম এই।
এরি মাঝে যে
আমার টিকিট আছে কিনা প্রশ্ন করেছিল , দেখলাম সেই আমাদের গাইড! সে তার বকর
বকর শুরু করলো। বলল আমরা এখন যে রাস্তাদিয়ে পার হচ্ছি সেটা রাস্ট্রপতি ভবন
রোড , ওই প্রধান মন্ত্রীর ঘর। এই সেই , ওই সেই.. ব্লা ব্লা। বাস কিন্তু
দাড়ালোনা কোন স্পটে। এতো গুলা ক্যামেরা ক্লিক ক্লিক করছিল যে আমি আর
ক্যামেরাটা বের করলামনা। কানে হেডফোন ডুকিয়ে দিলাম। কারণ গাড়ী এখন লং একটা
হাইওয়ে ঘরে আগ্রার দিকে যাচ্ছে। ঘন্টা খানেকতো লাগবেই।
বাস প্রথমে
যখন আগ্রার কাছা কাছি আসলো আমরা অনেক পুরান পুরান মন্দির দেখতে লাগলাম। এক
জায়গায় তো দখেলাম বিশাল একটা গনেশের মুর্তি , ৭০-৮০ ফিটতো হবেই । বাসের
ভেতর থেকে মাথাটা দেখা যাচ্ছিলনা সহজে। এত্ত বড়। শেষ মেষ পোছালাম আমরা
আগ্রা ফোর্ট। বাস থামলো। আমি নেমে টিকিট কাটলাম। অবশ্যই ইন্ডিয়ানটা , খরচ
কম। সাথে বাসের গাইড ছিল । সে ইতিহাস বলতে লাগলো। আরো বলতে লাগলো যে পুরা
ফোর্টের মাত্র ৩০% টুরিস্টের জন্য ওপেন আর বাকিটা ইন্ডিয়ান আর্মি ব্যাবহার
করে। ওই ৩০% দেখতেই নাকি পুরা ২ দিন লেগে যাবে। বুঝলাম গাইডের পুরা দুর্গ
দেখানোর কোন ইচ্ছা নেই। সে ইতিহাস দিয়ে ভুলিয়া ভালিয়ে সময় নষ্ট করেবে। আমি
তাই তার থেকে কতক্ষন তারা এ দুর্গে থাকবে জেনে নিয়ে পুরা দুর্গটা চক্কর
দিলাম। ছবি নিচে পাবেন।
ছবি:- এই আগ্রা ফোর্টের ঢুকার গেট। |
ছবি:- রিসার্স মেকাও জাতের বনর দেখতে পাবেন পুরা ফোর্টে। |
ছবি:- বিশাল আগ্রা ফোর্টের খুদ্র একাংশ। |
আগ্রা ফোর্টের কাছেই
তাজমহল বানানো হয়েছে। যাতে বাদশা যখন খুশিতা দেখতে পারেন। শত হোক ভালোবাসার
মানুষটা যে শুয়ে আছে ওই মহলে। দিনে একবার না দেখলে হয় ?
ছবি:- এ প্লেসটা অসাম ছিল। দুর্গ থেকে তাজমহল। |
ছবি:- সবাই আগ্রা ফোর্ট দেখছে। আরে ভাই একটু পর তো ওখানেই যাবেন। এতো দেখার কি আছে? :P
|
ছবি:- বাদশার আসন। এখানে বসে বিচার করতেন। আর বিবির সমাধী দেখতেন। |
ছবি:- বারান্দা। |
ছবি:- দুর্গের ভেতর এরকম দর্গা মনে হয় কয়েকটা আছে। |
আমি অনকের
রিকোয়েস্ট রাখতে গিয়ে অনেকের ছবি তুলে দিলাম। এদিকে যায় তো কেউ বলে “ ভাই
সাব ইয়ে ক্যামেরা লেকার এক ফটো খিচিয়া না। “ আবার এক সাদা চামড়ার টুরিস্টও
রিকোয়েস্ট করে বলল তার ছবি তুলে দিতে। আরে ভাই আমি কি ক্যামেরা ম্যান
নাকি? তাই আমি আরেকজনকে রকোয়েস্ট করে একটা ছবি তুললাম নিজের।
ছবি:- দুর্গের একটা অ্যালিতে। পেছনে দুরে তাজমহল। |
আগ্রা ফোর্ট
দেখা শেষ । বাসে ফেরত আসলাম। পাশের একটা হকার থেকে কিছু লেইস চিপর্স আর
বিস্কিট কিনলাম। যদিও তখন প্রায় দুপুর তার পরেও আমি মাত্র সকালের নাস্তা
সারলাম। বাসে টুরিস্টরা আসতে লাগলো একে একে। বাস ছাড়লো। যদিও সিস্টেম
অনুযায়ী এখন আমাদের কোন রেস্টুরেন্টে নেওয়ার কথা এবং তারপর তাজ মহল দেখতে
যাওয়ার কথা। কিন্তু ভারতে টুরিস্ট বাস গুলায় এবং এর গাইড দের একটা টুরিস্ট
ট্রাপ ( ফাঁদ ) থাকে। তারা প্রথমে আমাদের একটা জুতার দোকানে নিয়ে গেল।
নাগড়া দেখালো। আনেক কেনার অনুরোধ করলো। আমিও দেখে গেলাম। কিনলামনা। বেশির
ভাগ টুরিস্টরাও কিনলোনা। আমি বাসে ফেরত এসে পাশের সিটের জনকে প্রশ্ন করলাম
কিছু কিনলো কিনা। সে বলল “ আমি এধরনের ট্রাপ সম্পর্কে আগে থেকেই ওয়েব
(ইন্টারনেট) থেকে জেনে এসেছি , কিনার কোন মানে হয়না। “ কথাটা ইংলিশে বলে
মুচকি একটা হাসি দিল।
এরপরও বেটা
গাইড আমাদের তার পরিচিত হোটেলে খেতে নিয়ে গেল। ঠিক জুতার দোকান থেকে সে
যেমন কমিশন নিয়েছে তেমনি এখান থেকেও নেবে। আমি আমার বাসের সিট মেটকে বললাম
চলো আমরা বাইরে গিয়ে কিছু খাই। এখানেতো সব মেনুর দাম অনেক বেশি। সে যেন
একটু খুশিই হলো। বের হতে হতে বলল “ একলা দেখে বের হচ্ছিলামনা। আর যানি এখান
থেকেও গাইড কমিশন নেবে।“ তবে তার সাথে বের হয়ে লসই হলো যেন। স্ট্রিট
ফুডের দোকান থেকে সে শুধু একটা সেনডুইচ খেল আর কিছুনা সাথে থাকাই আমিও এর
বেশি কিছু খেলামনা একই অর্ডার দিলাম। তাকে তো আর বলতে পারলামনা যে আমার এই
ভুড়ীটা বাংলাদেশি ভুড়ী , চাউল ( ভাত ) ছাড়া চলেনা।
তো আমরা ২:৩০
এর দিকে তাজমহলের দিকে গেলাম। তাজমহলের এখন দুটা গেইট। একটা পুর্ব গেইট
অন্যটা পশ্চিম গেইট। আমাদের বাস আমাদেরকে পশ্চিম গেটে নিয়ে গেল। এখান থেকে
তাজমহলে ঢুকার গেট আরো প্রায় ১.৫ কি:মি। কিন্ত আপনি চাইলে হেটে যেতে পারেন
বা সরকারি টুরিস্ট গাড়ি করে। টুরিস্ট গাড়ি করে গেলে ৫ রুপি দিতে হবে।
ছবি:- এই সেই টুরিস্ট গাড়ি for ১.৫ কি: মি অনলি। |
গাড়ি করে সুন্দর একটা
রাস্তা দিয়ে টিকিট বুথের কাছে নামলাম। টিকিট কেটে লাইনে দাড়ালাম। পুরুষ দের
আর মহিলা দের আলাদা আলাদা লাইন। না অন্য কোন কারণ না যাস্ট পুরুষদের পুরুষ
গার্ড আর মহিলাদের মহিলা গার্ডরা চেকিং করে তাই এ ব্যাবস্থা।
লম্বা লাইন ধরে অবশেষে লোক লোকারণ্য তাজমহলের বাগানে ডুকলাম। বাগান হয়ে তাজমহলে এন্ট্রি । ছবি নিচে দিলাম :-
ছবি:- ওই দেখা যায় তাজ। কিন্তু মানুষের জন্য কি ছবি তুলতাম। |
ছবি:- মানুষ কমার পর একটা ছবি নিলাম। |
ভেতরে ঢুকে মনটা খারাপ হয়ে
গেল। এত মানুষ । হাউ কাউ । কয়েকটা ছবি তুলে তাজ মহলের উপরে উঠার জন্য তৈরী
হলাম। তাজ মহলে উঠার আগে জুতা খুলতে হয়। জুতা চুরি যাওয়ার কোন ভয় নেই ,
কিন্তু সবার সাথে মিলে যাওয়ার ভয় থাকে। তাই কোথাই জুতা রাখছেন ভাল ভাবে মনে
করে রাখুন। এমনটা আমাদের গাইডে বলে দিয়েছিল।
ছবি:- তাজ মহল। ক্লোজ আপ শট। |
ছবি:- ৪টা মিনারের একটা। |
ছবি:- তাজ মহলের উপরে। |
ছবি:- এক পাশে যমুনা (Yamuna) নদী অন্য পাশে তাজমহল।
|
সন্ধ্যা হওয়া
পর্যন্ত ঘুরলাম। সন্ধ্যা হতেই আবার সেই পশ্চিম গেটে ফরেত আসলাম। আমার
বাসটাকে খুজে বের করলাম। প্রচন্ড টায়ার্ড গত কিছু দিনের ঘুরা ঘুরিতে। বাস
এরপর একটা মাজারে নিয়ে গেল। কার মাজার জানি , নামটা ভুলে গেছি। দেখতে এবং
জিয়ারত করতে নামলাম। আমার পেছন পেছন দেখি সেই জার্মানটাও আসতেছে। আমি এগিয়ে
গেলাম। হটাৎ শুনি পেছনে তর্কাতর্কি। দেখলাম এক টুপিওয়ালা আমার পাশের সিটের
জার্মান টাকে টুপি বিক্রি করার জন্য ধরছে। টুপি ছাড়া বলে ভেতরে ঢুকা
যায়না। আমি সাহস করে জার্মানটাকে বললাম যে "ভেতরে ঢুকতে টুপি লাগেনা। তুমি
না কিনে চলে আসো।" কি বললাম তা ভারতীয় দোকানদারটা বুঝলোনা। কারণ ইংরেজিতে
বললাম। কিন্তু ভ্রু কুচকে তাকিয়ে থাকলো আমার দিকে। জার্মানটা খুশি হলো।
থ্যাংকস দিয়ে আমার সাথে ভেতরে ঢুকলো। আমরা একসাথেই ঘুরে দেখে বাসে ফেরত
আসলাম। এর পররে যাত্রা “মাতাহুরা” । হিন্দু ধর্মের মানুষের খুবই প্রিয় এবং
পবিত্র স্থান। একটা বিশাল এলাকা এবং মন্দির। ক্যামেরার ব্যাটারি প্রায় শেষ
এবং ভেতরে ছবি তুলা নিষেধ। তাই কোন ছবি নেই ওখানের। রাত ১০টার দিকে আমরা
আবার দিল্লির দিকে রওনা দিলাম। পথে খেয়ে নিলাম “ধাবায়’ থালি সিস্টেমে।
ছবি:- রাতের ধাবা। |
আমি যখন
হোটেল এ নামলাম তখন ঘড়িতে রাত প্রায় একটা। তারাতারি চাবি নিয়ে রুমে গিয়ে
ঘুমাতে গেলাম। কাল টিকিট কাটতে হবে। আমাকে রাজস্থান যেতে হবে। অনেক কাজ ,
অনেক ঘুরাঘুরি বাকি।
রাজস্থানের গল্প আরেকদিন লিখবো।
[ নোট:- যখন
আপনি সাইট সিইং এ যাবেন ব্যাগ-ট্যাগ সাথে না নেওয়াই ভাল। কারণ বেশির ভাগ
স্থানে ব্যাগ সমেত ঢুকতে দেয়না। ভারতীয়রা এখন বোমা হামলায় সারাক্ষন ভীত
থাকে সব জায়গায় কড়া চেকিং হয়। আর যেখানে সেখানে ক্যামেরা দিয়ে ছবিও
তুলবেননা। সব জায়গায় ছবি তুলার অনুমতি নেই। আগে আশে পাশে দেখুন “ফটোগ্রাফি
প্রোহেবিটেট” সাইনটা আছে কিনা। সাইন থাকলে ক্যামেরা বের করার দরকার নেই।
বাসের গাইডই আপনাকে সব বলে দেবে কোথায় ব্যাগ নিতে পারবেন , কোথায় ব্যাগ
পারবেননা। সব। গাইডরা বিভিন্ন টুরিস্ট ট্রাপ ফেলে পা দেবেননা। ভারতের আপনি
যে চিপায় যান , টুরিস্ট পাবেনই। গলি , গ্রাম কোথাও বাদ নেই যেখানে সাদা
চামড়ার টুরিস্ট নেই। তাই স্থানীয় সবাই ধান্দায় থাকে। তাই ওরা নিয়ে যাওয়া
রেস্টুরেন্টে না খেলেই পারেন। ওরা অনেক প্রকার সপে নেবে জিনিস কেনার জন্য।
বলবে জিনিস গুলা অসাধারণ , এক নম্বর। এসব কথায় ভিজবেননা।
আপনি
যে টুরিস্ট বাসে উঠবেন অবশ্যই তার নাম্বার টুকে রাখবেন। গাইডের ফোন নং
নিয়ে রাখবেন। কারণ গাড়ী গুলো যেখানে পার্ক করে এসে হয়তো দেখবেন অন্য কোথাও
পার্ক করেছে আবার। আর টুরিস্ট সব গাড়ী দেখতে একরকম। তাই গাড়ির নাম্বারটা
লিখে রাখুন। আর যে কোন স্পটে ওরা সাধরণত নিদৃষ্ট টাইম বেধে দেয় দেখার জন্য।
তাই গাইড থেকে টাইম টেবল গুলা যেনে নিন। ]
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url