OrdinaryITPostAd

প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে টাইপোগ্রাফি জানতে হবে

 

টাইপোগ্রাফি কি,

Walt-Disney-Logo-in-Black-Metal-typographyটাইপোগ্রাফি (Typography) ধারণাটি একেবারে নতুন নয়। বহু যুগের পুরোনোই বলা চলে। আরবি ভাষায় টাইপোগ্রাফিকে আমরা বেশ ভালোই চিনি “ক্যালিগ্রাফি” নামে। তবে বাংলায় ক্যালিগ্রাফির বয়স খুব একটা বেশি নয়। টাইপোগ্রাফি ডিজাইনেরই অন্যতম একটি অংশ। টাইপোগ্রাফির সঠিক ব্যবহার করে ডিজাইনে পরিপূর্ণতা আনা সম্ভব। ডিজাইনের আউটলুক, মুড, ব্যাতিক্রমী মাত্রা কিংবা ক্রিয়েটিভিটি বাড়াতে টাইপোগ্রাফির বিকল্প নেই।

টাইপোগ্রাফি হল অক্ষর কে সাজানোর বিভিন্ন কলাকৌশল। বিভিন্ন ধরনের অক্ষরকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে সাজানোর বলে টাইপোগ্রাফি। ডিজাইনারদের কাছে খুবি পছন্দের একটি বিষয় হল এই টাইপোগ্রাফি। যেমন ধরুন আপনার নিজের নামটাকে লিখলেন। কিন্তু সোজা ভাবে না লিখে প্রথম অক্ষরটা একটু বড় করে লিখলেন, কিংবা প্রথম অক্ষর টার রং অন্যদের থেকে আলাদা করে দিলেন। কিংবা নামের প্রথম অক্ষরটা ঠিক রেখে বাকীগুলো পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে একটা কলমের আকৃতিতে লিখলেন। লেখার এই কৌশলগুলোকেই একত্রে টাইপোগ্রাফি বলা হয়|

Typography আধুনিক যুগের টাইপোগ্রাফির বৃত্তটা অনেক বড়। এক লাইনে ব্যাখ্যা করি। যেমন :

টাইপ ডিজাইনিং : টাইপ জিজাইনিং সম্পর্কে সবাই জানে। যেকোন রকমের অক্ষর সাজানোকেই টাইপ ডিজাইনিং বলে।

ক্যালিগ্রাফি : অক্ষর চিত্র। এটি প্রাচীন কাল থেকে চলে আসছে। এই পদ্ধতির জন্য দরকার হয় বিশেষ ধরনের তুলি ও কলম| বিশেষ করে চীন ও এরাবিয়ান দেশে বহুল প্রচলিত |

গ্রাফিটি : পশ্চিমী আর্ট। এর কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। কোনো মিডিয়াম ও নেই। যেভাবে খুশি দুমড়ে-মুচড়ে শব্দকে লেখা যায় । এটি পপ কালচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।

পোস্টার ডিজাইন : বিশেষ করে সিনেমার পোস্টার ডিজাইনে যে ধরনের ফন্ট নেওয়া হয় বা ব্যবহার করা হয় ।

টাইটেল এনিমেশন : সিনেমার প্রথমে বা শেষে কলা-কুশলীদের নাম দেখানোর জন্য এই ধরণের টাইপোগ্রাফিব্যবহার করা হয় ।

লোগো ডিজাইনিং – লোগো বা প্রতীক বানানোর জন্য ক্ষেত্রে টাইপোগ্রাফির ব্যবহার লক্ষণীয়।

anatomy_of_type_typography-999px

প্রায় বেশ প্রাচীন কাল থেকেই এই ধরনের গ্রাফের ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রাচীন গ্রিসের কিছু প্রিন্টিংয়ে এই ধরনের ডিজাইনের চিহ্ন পাওয়া যায়, এরপর থেকে আজ পর্যন্ত টাইপোগ্রাফের ব্যবহার দিন দিন জনপ্রিয়তার সাথে বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে প্রমোশনের জন্য ব্যবহৃত বিজ্ঞাপনগুলোতে বর্তমানে এর প্রচুর ব্যবহার হচ্ছে।
এখন অবশ্য টাইপোগ্রাফির জন্য বেশ কিছু টুলস পাওয়া যায়। যেমন : typetester.org, fontstruct.com, fonttester.com ইত্যাদি।
তবে ম্যানুয়াল জিজাইনগুলোর কোনো বিকল্প নেই। বিধায় কাজ জানা ডিজাইনারদের ব্যাপক চাহিদা আজও আছে।

শুধু টাইপোগ্রাফি দিয়েই অনেকে সুনাম কামিয়ে নিয়েছে। দু/একটা নামের সাথে পরিচয় করিয়ে দিই। যারা এই ধরনের কাজে বেশ প্রতিভাবান।

 


Martin Schmetzer : ইনি হাতে একে টাইপোগ্রাফির কাজ করে থাকেন। তার প্রায় সবগুলো কাজই চোখ ধাঁধানো হয়ে থাকে।
Hand Made Font : সংক্ষেপে HMF। এরা মূলত চকলেট সসের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন টাইপের ফন্ট তৈরি করে থাকে।
BMD Design : প্রায় ২০ বছর ধরে এই কাজের সাথে সম্পৃক্ত। অতএব বুঝতেই পারছেন, বেশ ডিমান্ড নিয়েই কাজ করছেন তারা।
এছাড়াও আরো অনেক অনেক ব্র্যান্ড বা ব্যক্তিত্ব আছেন যারা শুধু এই টাইপোগ্রাফি নিয়েই তাদের ক্যরিয়ার গড়েছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১