OrdinaryITPostAd

Android Apps তৈরী ও তার মার্কেটিং করার পদ্ধতি

 

মোবাইল এ তৈরী ও তার মার্কেটিং করার পদ্ধতি (A to Z)

android-app-development_zps1558e9d9বর্তমান সময়ে সকল প্রকার প্রযুক্তি পণ্য গুলু একদম মানুষের দোর গোঁড়ায় চলে গেছে । আর এর মধ্যে সব থেকে বেশি যে প্রযুক্তি পণ্য টা মানুষের কাছে আছে সেটা হল স্মার্ট ফোন । মানুষ তার নিত্য প্রয়োজনীয় সকল কাজে এই স্মার্ট ফোন টাকে বেশি ব্যাবহার করছে । দৈনন্দিন প্রায় সকল কাজেই আমরা স্মার্ট ফোন ব্যাবহার করে থাকি । যেহেতু বিপুল সংখ্যক হারে স্মার্ট ফোন ব্যাবহার হচ্ছে তাই স্মার্ট ফোন কোম্পানি গুলু তাদের ফোন গুলুকে এতটাই ব্যাবহার উপযোগী করে তুলছে যে একজন ব্যাবহারকারী সহজেই তাদের ফোন দিয়ে তার কাজ করতে পারে । সেই সাথে স্মার্ট ফোন অ্যাপস ডেভেলপাররা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অ্যাপস তৈরি করছে যাতে একজন স্মার্ট ফোন ব্যাবহার কারী তাদের সেই অ্যাপস ব্যাবহার করে সহজেই এবং দ্রুত তার কাজ সম্পন্ন করতে পারে ।

android-application-development

বাজারে যেহেতু প্রতিদিনই অনেক অ্যাপস আসছে সেহেতু ভাল অ্যাপস ছাড়া ব্যাবহার কারীরা অ্যাপস ব্যাবহার করছে না । গ্রাহক সব সময় এমন ধরনের অ্যাপস চায় যেটা দিয়ে সে সহজেই তার কাজ গুলু করতে পারে । তো মনে করেন আপনি একজন অ্যাপস ডেভেলপার তো আপনি একটি অ্যাপস অনেক কষ্ট করে তৈরি করলেন কিন্তু আপনার তৈরি করা সেই অ্যাপস মার্কেট সফল হল না । এইযে আপনি এত কষ্ট করে একটা অ্যাপস তৈরি করলেন সেটা পুরো টাই লস প্রোজেক্টে চলে গেল । একটি মার্কেট সফল অ্যাপস এর জন্য আপনাকে মূল যে ১০ বিষয় মাথায় রাখতে হবে তা নিয়ে আমি আজকে আলোচনা করবো । তাহলে চলুন মূল বিষয়ে যাওয়া যাক ।

অ্যাপস ইউএসপি, প্লাটফ্রম ও নগদীকরণ কৌশল



সবার প্রথমে আপনাকে যে জিনিসটা ঠিক করতে হবে তাহল অ্যাপস এর একটি সহজ এবং সুন্দর নাম । নামটি যদি সহজ এবং সুন্দর হয় তাহলে গ্রাহক আপনার অ্যাপস এর নাম সহজেই মনে রাখতে পারবে । যেটা অফলাইন মার্কেটিং এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ । এখন আপনাকে ডিভাইস নির্বাচন করতে হবে । আপনি যে ডিভাইস গুলুর জন্য অ্যাপস করতে চান সে ডিভাইস গুলু নির্বাচন করতে হবে । ডিভাইস নির্বাচনের পরে এখন আপনাকে নির্বাচন করতে হবে যে অ্যাপস টা কি আপনি ফ্রীতে দিবেন নাকি পেইড ।

প্রতিযোগিতামূলক বিশ্লেষণ


একটি অ্যাপস এর জন্য তার কন্টেন্ট অনেক গুরুত্ব পূর্ণ । আপনার অ্যাপস এর ভিতরে যে কন্টেন্ট গুলু ব্যাবহার করবেন সে গুলু অবশ্যই পূর্ণমানের হতে হবে । যে অ্যাপসটি তৈরি করবেন সেটা যেন খুব সহজে গ্রাহক ব্যাবহার করতে পারে । ন্যাভিগেশনাল কন্ট্রোল ব্যাবহার করবেন এবং প্রথম অবস্থায় অ্যাপসটি ফ্রী রাখার চেষ্টা করবেন । প্রথম অবস্থায় যদি আপনার অ্যাপসটি পেইড দেন তাহলে গ্রাহক আপনার অ্যাপস ডাউনলোড করবে না । সে তখন চিন্তা করবে যে একেবারে নতুন একটি অ্যাপস টাকা কিনব কেমন না কেমন হয় তাই সে কিনবে না । এখন আপনি মনে করতে পারেন যে আমি এত কষ্ট করে একটা অ্যাপস তৈরি করলাম সেটা মানুষ কে ফ্রীতে দিয়ে দিব এটা কি করে হয় ? আপনার লাভের জন্যই আপনাকে দিতে হবে প্রথমে যদি আপনার অ্যাপস টি ফ্রী দেন তাহলে গ্রাহক আপনার অ্যাপসটি বেশি ডাউনলোড করবে আর যদি তার কাছে আপনার অ্যাপসটি ভাল লেগে যায় তাহলে সে আপনার অ্যাপস রেটিং প্রদান করবে এবং আপনার অ্যাপস সম্পর্কে সে তার মন্তব্য প্রদান করবে ভাল হলে ভাল মন্তব্য করবে আর খারাপ হলে খারাপ মন্তব্য করবে । ভাল মন্তব্য করলে তো ভালই হল আর যদি খারপ মন্তব্য করে তাহলেও ভাল কারন টা বলছি, খারাপ মন্তব্য করলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার অ্যাপস এর বর্তমান অবস্থা । গ্রাহক আর কি কি চায় বা আর কি কি ফিউচার থাকলে অ্যাপস টা আরওভাল হত সেটা জানালে আপনি সেই অনুযায়ী অ্যাপসটা কে আপডেট করে নিতে পারবেন । এভাবে যখন আপনার অ্যাপস এর মোটামুটি একটা অবস্থান চলে আসবে তখন যদি আপনি বুঝেন যে আপনার অ্যাপসটা কে পেইড করলেও গ্রাহক আপনার অ্যাপস ব্যাবহার করবে তখন আপনি সেটা কে পেইড করে দিবেন ।


 

ওয়েবসাইট


আপনার তৈরি করা অ্যাপস টির জন্য একটি ওয়েব সাইট রেডি করেন যাতে করে আপনি আপনার অ্যাপস টিকে সারা পৃথিবীর মানুষ সামনে তুলে ধরতে পারেন । আপনার অ্যাপস সম্পর্কিত সকল তথ্য আপনার ওয়েব সাইটটিতে যোগ করে দিন । যাতে করে কোন গ্রাহক যদি আপনার ওয়েব সাইটে আসে তাহলে যেন সে অ্যাপস সম্পর্কিত সকল তথ্য পেয়ে যায় । সব থেকে ভাল হয় যদি আপনি আপনার অ্যাপস এর বিভিন্ন ইন্টারফেসের স্ক্রিনশট নিয়ে আপনার ওয়েব সাইটে যোগ করে দেন । এতে হবে কি গ্রাহক আপনার অ্যাপসের ইন্টারফেসের স্ক্রিনশট দেখে অ্যাপস টির প্রতি আকর্ষিত হবে ।

তৈরি করুন সঠিক ভাবে


 


আপনি যখন একটি অ্যাপস তৈরি করবেন তখন আপনাকে অ্যাপস ষ্টোরের কিছু নিয়ম কানুন মেনে তৈরি করতে হবে । আপনি যদি নিয়ম কানুন মেনে অ্যাপস না তৈরি করেন তাহলে অ্যাপস ষ্টোর আপনার অ্যাপস টিকে অনুমোদনকরবে না । তাই আপনাকে অ্যাপস ষ্টোরের নিয়ম মেনে অ্যাপস তৈরি করতে হবে । আপনার অ্যাপস এর ডিজাইনটি যেন ইউজার ফ্রেন্ডলি হয় এই বিষয় টার দিকে বেশি খেয়াল রাখবেন । আপনার অ্যাপস যতই ভাল হোক না কেন সেটা যদি ইউজার ফ্রেন্ডলি না হয় তাহলে গ্রাহক আপনার অ্যাপস ব্যাবহার করবে না । ইউজার ফ্রেন্ডলি ডিজাইন হলে সেটা ইউজার এর কাছে বেশি আকর্ষিত হয় । এখন আপনি যে ডিভাইসএর জন্য অ্যাপসটি তৈরি করেছেন সেই ডিভাইসএর জন্য অ্যাপসটি উপযুক্ত কিনা তা দেখুন । আপনার অ্যাপস ভিতরে অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়া অপশন যোগ করবেন । একটি কল টু অ্যাকশান বাটন রাখবেন যেন সহজেই কোন ইউজার আপনার অ্যাপসএর রেটিং প্রদান করতে পারে ।

অ্যাপসের ইউজার টেস্টিং


আপনি যে অ্যাপস তৈরি করেছেন সেটা যে ডিভাইসের জন্য করেছেন সেই ডিভাইসে ইন্সটল করে দেখুন যে অ্যাপস সুন্দর স্বজ্ঞাত ভাবে নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে কিনা । কোন সমস্যা থাকলে সেটা সলভ করুন । আর যদি সমস্যা না থাকে তাহলে তো ভালই । এরপর দেখুন আপনার অ্যাপসএর ইউজার ইন্টারফেসটা কে কি আরও উন্নতকরার প্রয়োজন আছে কিনা ? আর চিহ্নিত ব্যাবহারকারীদের কে বেটা ভার্শন থেকে বের করে নিয়ে আসেন । অ্যাপসএর ভিতরে ইউজার ফিডব্যাক অপশন যোগ করে দিন । যাতে করে সহজেই একজন ব্যাবহার কারী আপনার অ্যাপসএর ফিডব্যাক দিতে পারে ।

অ্যাপ ষ্টোরের জন্য অপটিমাইজ করুন


আপনার অ্যাপসএর টাইটেল এবং কি ওয়ার্ড নির্বাচন করুন । টাইটেল এবং কি ওয়ার্ড অবশ্যই ভাল মানের হতে হবে । এরপর আপনার অ্যাপসের কিছুটা বিবরণ লিখে দিতে হবে । আপনার অ্যাপসের আইকন সেট করতে হবে , স্ক্রিন শট দিতে হবে, অ্যাপসের বিভাগ দিতে হবে এবং অ্যাপসের সাইজ টা দিয়ে দিতে হবে ।

মার্কেটিং এ সৃজনশীলতা


আপনার অ্যাপসের মার্কেটিং এর জন্য অ্যাপস এর রিভিউ এর একটি ভিডিও তৈরি করুন । আপনার তৈরি কৃত ভিডিও টি এখন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া গুলুতে শেয়ার করুন । সাথে আরও কিছু করে পারেন যেমন অ্যাপস এর ইন্টারফেসএর স্ক্রিন শট নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় শেয়ার করতে পারেন, ইনফোগ্রাফিক্স তৈরি করে শেয়ার করতে পারেন ইত্যাদি ।

সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিটিস


একটি সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেল তৈরি করুন এবং সেখানে আপনার অ্যাপসএর ভিডিও শেয়ার করুন এবং আপনার অ্যাপস এর ফিউচার সম্বলিত বিভিন্ন কন্টেন্ট সেখানে শেয়ার করুন । আর আপনার টার্গেটেড গ্রাহকদের জন্য একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করুন যাতে তারা আপনার অ্যাপস ব্যাবহার করতে আগ্রহী হয় ।

প্রেস রিলিজ


একটি প্রেস রিলিজ করুন এবং আপনার অ্যাপসএর আইকন , স্ক্রিন শট শেয়ার করুন । একটি শক্তিশালী কোম্পানি প্রোফাইল তৈরি করুন । আপনার অ্যাপস টাকে বিভিন্ন ওয়েব সাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া গুলুতে লিঙ্ক করে দিন ।

মার্কেটিং বাজেট

 


 


অনলাইন পেজ রাঙ্ক করতে পারেন । মোবাইল অ্যাডভাটিজিং করতে পারেন । অফ লাইন মার্কেটিং করতে পারেন এবং ব্লগিং এর মাধ্যমে প্রচার করতে পারেন । আর এই গুলুর প্রায় সবই পেইড মার্কেটিং ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১