OrdinaryITPostAd

দাঁত শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ

 




যেসব খাবারে দাঁতের ক্ষতি।

দাঁত শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। খাবার খেতে সাহায্য করার পাশাপাশি মুখের গড়ন এমনকি কথা বলায় সহায়তা করতেও দাঁতের আছে ভূমিকা। মাড়ি বা গাম, ক্রাউন এবং মাড়ির ভেতর থাকা রুট বা মূল ; এই তিন নিয়ে দাঁতের গড়ন। যার মধ্যে প্রত্যক্ষভাবে খাবার চিবাতে সাহায্য করে ক্রাউন অংশটি। দাঁতের যেকোন যন্ত্রণাই হতে পারে অসম্ভব কষ্টের কারণ। 

আমাদের প্রতিদিনের খাবারের মধ্যেই এমন সব উপাদান থাকে যা দাঁতের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে ভবিষ্যতে। তাই খাবার সম্পর্কেও থাকতে হবে সচেতন

মিষ্টিজাতীয় শরবত ,দীর্ঘদিনের অভ্যাস হলে তা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। প্ল্যাক ব্যাক্টেরিয়া চিনির সহায়তায় একধরণের অ্যাসিড তৈরি করে যা দাঁতের এনামেল অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। 

কার্বোনেটেডজাতীয় কোমল পানীয়, সোডা এগুলো অ্যাসিডিক বা অম্লীয় ধরণের হয়। কোলা, ক্যাফেইনজাতীয় পানীয় মুখগহবরকে শুষ্ক করে তোলে যা দাঁতের জন্য ভালো নয়। এসব পান করলে পাশাপাশি খাবার পানি পান করে নেয়া ভালো।

মুখরোচক চকলেট, বিশেষকরে হার্ডক্যান্ডি বলে পরিচিত যেগুলো সেগুলো দাঁতকে করে ফেলে দুর্বল এবং দাঁত ভেঙ্গে যাওয়ার কারণ পর্যন্ত হতে পারে । তাই এধরনের অতিরিক্ত সুগার সম্বলিত হার্ডক্যান্ডি
এড়িয়ে চলা ভালো।

গরমের সময় পানিতে বরফের শীতলতা পেলে প্রশান্তি আসে সবার প্রাণেই। কিন্তু এই বরফই হয়ে উঠে ক্ষতির কারণ যদি তা চিবিয়ে খাওয়া হয়। চিনি কিংবা ক্ষতিকর অন্য কিছু নেই! তবু পানির এই কঠিনরূপ থেকে দাঁতকে সুস্থ রাখতে বরফকে চিবিয়ে খাওয়া উচিত নয় মোটেই।

শুষ্ক ফল
 ,খাবার হিসেবে  যেমন কিসমিস ইত্যাদি অনেকেরই পছন্দের তালিকায় থাকে। এসব খাবার দাঁতে লেগে থাকে অনেকক্ষণ যা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। তাই এই ধরণের খাবার খেলে সঠিকভাবে ব্রাশ করা উচিত যাতে খাবারের অংশ দাঁতে লেগে না থাকে।

অ্যাসিডিক ধরনের খাবার, দাঁতের এনামেলকে ক্ষয় করে। তাই স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় ফলও কখনো কখনো দাঁতের সুরক্ষায় বাধার কারণ হয়। সাইট্রিক অ্যাসিডযুক্ত ফল যেমন লেবু, কমলা ইত্যাদি গ্রহণের সাথে সাথে তাই প্রচুর পানিও পান করতে হবে যাতে দাঁত থাকে সুস্থ।

মুখের শুষ্কতা ও ডিহাইড্রেশনের, আরেকটা কারণ অ্যালকোহল। অতিরিক্ত পরিমাণে ও নিয়মিত অ্যালকোহল গ্রহণ মুখের ভেতর স্যালিভা নিঃসরণের পরিমাণ কমিয়ে ফেলে যা দাঁতের ক্ষয় ও মাড়ি মুখের ভেতরের নানা ধরনের ইনফেকশনের কারণ হয়ে উঠে। 

খাবার গ্রহণকে সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যের করতে যে দাঁতের প্রয়োজন তা যদি হয় উল্টো ক্ষতির কারণ তাহলে মহাবিপত্তি। তাই দাঁতের যত্নে হতে হবে সচেতন, নিয়মিত যত্নের পাশাপাশি বছরে অন্তত দুইবার ডেন্টিস্টের সাথে পরামর্শও করা উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১