OrdinaryITPostAd

এলইডি এবং এলসিডি মনিটরে কি প্রযুক্তি ব্যবহার হয় ?


 

সাধারণত এলসিডি মনিটরে লাইটিং এর জন্য ব্যবহার করা হয় লাইটিং প্যানেল। এটি তৈরিতে দুইটি স্বচ্ছ পাতলা কাঁচের প্যানেলের মাঝখানে পোলারাইজড লিকুইড ক্রিস্টাল থাকে । যা ছবি তৈরি করে। অপরদিকে এলইডি মনিটর এ ব্যবহার করা হয় CCFL বা ( Cold Cathode Fluorescent Lamps) নামের এক ধরনের ব্যাক লাইটিং ডায়োড । এলইডি শব্দটির পূর্ণাঙ্গ মিনিং হচ্ছে Light Emitting Diode । এলইডি মনিটর এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এটি এলসিডি মনিটর থেকে ৪০% কম বিদ্যুৎ খরচ করে।

এলইডি মনিটর এর সুবিধা সমূহ

এলসিডি ও এলইডি মনিটর এর পার্থক্য তো জানলেন এবার জেনে নিন এলইডি মনিটরের বিশেষ কিছু সুবিধা ।

ডিসপ্লে গ্ৰাফিক্স
তুলনামূলকভাবে এলসিডি মনিটর থেকে এলইডি মনিটরের গ্রাফিক্স , বা ভিউ এঙ্গেল ভালো পাওয়া যায়। এলসিডি মনিটরের একটি বড় সমস্যা হচ্ছে কোন কণার থেকে দেখলে ভিডিও বা মনিটরের স্কিন কালো মনে হবে কিন্তু এলইডি মনিটরে এই সমস্যা প্রায় নেই বললেই চলে।
এছাড়া সূর্যের আলোতে এলসিডি মনিটর এর তুলনায় এলইডি মনিটরে ভিডিও ছবি বা গ্রাফিক্স তুলনামূলক ভালো দেখা যায়।

ভিডিওর কন্ট্রাস্ট

এলসিডি মনিটর এর তুলনায় এলইডি মনিটরে টিপিকাল এবং ডায়নামিক উভয় প্রকার কন্ট্রাস্টই ভালো ডিটেইলস সহ দেখা যায় মানে ইস কিনে ছবি বা ভিডিও ছোট ছোট অংশগুলো খুব ডিটেইলস সহকারে ক্লিয়ার দেখা যায় এলইডি মনিটরে। বিশেষ করে যারা গেমিং পছন্দ করেন এবং মুভি দেখতে পছন্দ করেন তাদেরকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা দেবে এলইডি মনিটর ।

চোখের জন্য আরামদায়ক

এলসিডি এবং এলইডি-র দুই প্রকারের মনিটর ওই পুরনো দিনের মনিটর গুলোর থেকে চোখের জন্য অনেক বেশি আরামদায়ক তবে নতুন প্রযুক্তির এলইডি মনিটর দীর্ঘ সময় ধরে মনিটরের সামনে তাকিয়ে থাকার ক্ষেত্রে চোখের জন্য বেশি আরামদায়ক। যারা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে থাকেন তাদের জন্য সবচাইতে ভালো এলইডি মনিটর ব্যবহার করা।

এলইডি ও এলসিডি মনিটর কতটা টেকসই ?

প্রথমে এলসিডি মনিটর এর ব্যাপারে কিছু ডিটেইলস জানা যাক এলসিডি মনিটর গুলো তৈরি করা হয় 60 হাজার ঘন্টা ক্যাপাসিটি দিয়ে মানে একটা এলসিডি মনিটর তার জীবদ্দশায় 60000 ঘণ্টা ( দিনে ১০ ঘন্টা করে ১৬ বছর) পর্যন্ত নরমালি চাল থেকে ঠিকভাবে কাজ করতে পারবে এর পরবর্তীতে যদি মনিটর ঠিক থাকে তখন এটার স্কীন ধীরে ধীরে ঘোলা হয়ে যাবে।

এলইডি মনিটর কতদিন টেকে ?

সাধারণভাবে এলইডি মনিটর তৈরি করা হয় 1 লাখ ঘণ্টা ক্যাপাসিটি দিয়ে মানে এই মনিটরটির যদি নরমালি আপনি অপারেট করতে থাকেন এটি এক লক্ষ ঘন্টা চলার পর যদি ঠিক থাকে তবে আস্তে আস্তে এর ব্রাইটনেস কমতে থাকবে। দিনে 10 ঘন্টা করে চললে এই সময়কাল প্রায় 27 বছর। আশাকরি এলইডি মনিটর কতদিন টেকে তা বুঝতে পারছেন।

এলইডি মনিটর কতটা পরিবেশবান্ধব ?

পুরনো দিনের বড় টিউব ওআলা মনিটর গুলো ব্যাপকভাবে পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী ছিল । কিন্তু সময়ের সাথে এলসিডি মনিটর আসার পর এটি অনেকাংশে কমে এসেছে। কিন্তু এলসিডি মনিটরের একটি বড় সমস্যা হচ্ছে এটি তৈরিতে পারদ ব্যবহার করা হয়। যেগুলো মনিটর নষ্ট হওয়ার পর পরিবেশের সাথে মিশে পরিবেশের জন্য ক্ষতি করতে পারে কিন্তু এলইডি মনিটরের একটি বড় সুবিধা হলো এখানে কোন রকম পারদ এর ব্যবহারের প্রয়োজনই নেই।

এলইডি মনিটরের দাম কত ?
তুলনামূলকভাবে ধরতে গেলে এলসিডি মনিটর থেকে এলইডি মনিটরের দাম কিছুটা বেশি। সর্বনিম্ন আট হাজার টাকা থেকে শুরু করে 200000 টাকা পর্যন্ত বা তার বেশি দামের মনিটর বাজারে রয়েছে যেগুলোর সবই এলইডি প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা। তবে এলইডি মনিটরের দাম এলসিডি মনিটরের দাম এর থেকে কিছুটা বেশি হলেও বিদ্যুৎ খরচ কম হবার কারণে এলইডি মনিটর ব্যবহার করাই বেশি লাভজনক।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১