Microtic routerমাইক্রোটিক রাউটার কি? কিভাবে MikroTik রাউটার ব্যবহার করবেন?
মাইক্রোটিক রাউটার কি? কিভাবে MikroTik রাউটার ব্যবহার করবেন?
MikroTik রাউটার অন্যান্য রাউটারের চেয়ে বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন ডিভাইস, যা ব্যবহার করে ইন্টারনেট শেয়ারিং ও ব্যান্ডউইডথ কন্ট্রোলসহ প্রচুর সুবিধা পাওয়া যায়। এটি সুইচ/রাউটারের মতো একটি ডিভাইস, যার আকার ছোট একটি বক্সের মতো থেকে শুরু করে বড় বক্স আকারের হয়ে থাকে। এর মধ্যে কিছু ডিভাইসে ওয়্যারলেস সুবিধাও যুক্ত রয়েছে।
যারা এই ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করতে চান না, তাদের জন্যও রয়েছে অন্য পদ্ধতি- মাইক্রোটিক আইএসও। এটি একটি অপারেটিং সিস্টেম, যা দিয়ে কমপিউটারে এই অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করে কমপিউটারকেই রাউটার হিসেবে কাজ করানো যাবে। এই দুটি পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগে জেনে নেই মাইক্রোটিক রাউটার ব্যবহার করে কী কী সুবিধা পাওয়া সম্ভব।
MikroTik রাউটারের সুবিধা
মাইক্রোটিক একটি শক্তিশালী রাউটার, যা ব্যবহার করে যেসব সুবিধা পাবেন তা হলো:
১. ব্যান্ডউইডথ কন্ট্রোল ও ডিস্ট্রিবিউশন,
২. শক্তিশালী QoS কন্ট্রোল,
৩. অটো সিস্টেম ব্যাকআপ,
৪. আইপি-ম্যাক অ্যাড্রেস বন্ডিং সিস্টেম,
৫. ফিল্টারিং,
৬. ফায়ারওয়্যাল,
৭. HotSpot,
৮. RIP, OSPF, BGP, MPLS রাউটিং,
৯. রিমোট উইনবক্স গ্রাফিকেল ইন্টারফেস,
১০. টেলনেট/ম্যাক-টেলনেট/এসএসএইচ সার্ভিস
১১. ভিপিএন,
১২. লোড ব্যালান্সিংসহ নানা ধরনের সুবিধা।
মাইক্রোটিকের এসব সুবিধা ডিভাইস ও অপারেটিং সিস্টেমের দুটিতেই পাবেন। নিচে পদ্ধতি দুটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
মাইক্রোটিক ডিভাইস বা রাউটার বোর্ড:
মাইক্রোটিক
রাউটার বোর্ডটি দেখতে অনেকটা অন্যান্য রাউটার বা সুইচের মতোই। এই ডিভাইসে
ইন্টারনেটের সংযোগ দেয়ার জন্য ওয়ান পোর্ট ও লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের জন্য
রয়েছে ল্যান পোর্ট। তবে একাধিক পোর্টও থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে আপনাকে
কনফিগার করে নিতে হবে কোন পোর্ট কোন কাজে ব্যবহার করবেন।
এই রাউটারটি ইন্টারনেট শেয়ারিং সার্ভার হিসেবেই কাজ করবে এবং এই ডিভাইস ব্যবহার করে একাধিক ইন্টারনেটকে একই নেটওয়ার্কে ব্যবহার করা সম্ভব। আপনার প্রয়োজনীয় ফিচারগুলো সঠিকভাবে কনফিগার করে নিতে হবে। মাইক্রোটিক রাউটার বোর্ডের দাম ৬ হাজার থেকে শুরু করে লাখ টাকার ওপর আছে। তবে দাম নির্ভর করবে ডিভাইসের ফিচার, লাইসেন্সের ধরন ও রাউটারের সাইজের ওপর।
ইন্টারনেট থেকে রাউটার বোর্ডেও মডেল অনুযায়ী ফিচারগুলো দেখে নিতে পারেন। মডেল অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের রাউটার বোর্ড রয়েছে। যেমন: RB 750, RB 750G, RB 751 (wireless), RB 951 (wireless), RB 450G , RB 1100, RB 1100AH X2 ইত্যাদি।
মাইক্রোটিক অপারেটিং সিস্টেম (আইএসও):
এই রাউটারটি ইন্টারনেট শেয়ারিং সার্ভার হিসেবেই কাজ করবে এবং এই ডিভাইস ব্যবহার করে একাধিক ইন্টারনেটকে একই নেটওয়ার্কে ব্যবহার করা সম্ভব। আপনার প্রয়োজনীয় ফিচারগুলো সঠিকভাবে কনফিগার করে নিতে হবে। মাইক্রোটিক রাউটার বোর্ডের দাম ৬ হাজার থেকে শুরু করে লাখ টাকার ওপর আছে। তবে দাম নির্ভর করবে ডিভাইসের ফিচার, লাইসেন্সের ধরন ও রাউটারের সাইজের ওপর।
ইন্টারনেট থেকে রাউটার বোর্ডেও মডেল অনুযায়ী ফিচারগুলো দেখে নিতে পারেন। মডেল অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের রাউটার বোর্ড রয়েছে। যেমন: RB 750, RB 750G, RB 751 (wireless), RB 951 (wireless), RB 450G , RB 1100, RB 1100AH X2 ইত্যাদি।
মাইক্রোটিক অপারেটিং সিস্টেম (আইএসও):
মাইক্রোটিক
রাউটার প্রস্ত্ততকারকেরা এটি অপারেটিং সিস্টেম হিসেবেও তৈরি করেছেন। একে
ব্যবহার করার জন্য একটি কমপিউটার প্রয়োজন হবে এবং রাউটার অপারেটিং
সিস্টেমটি উক্ত কমপিউটারে ইনস্টল করে ব্যবহার করতে হবে। তখন কমপিউটারটিই
একটি রাউটার হিসেবে কাজ করবে। এর জন্য দুটি ল্যানকার্ড প্রয়োজন হবে। একটি
ওয়ান পোর্ট ও একটি ল্যান পোর্ট হিসেবে ব্যবহার হবে। ৪ হাজার থেকে ২১ হাজার
টাকার মধ্যে রাউটার অপারেটিং সিস্টেমটি পেতে পারেন। লাইসেন্স ও রাউটারের
লেভেল অনুযায়ী দামের তারতম্য হতে পারে।
তাই অপারেটিং সিস্টেমটি কেনার আগে সব কিছু জেনে নিন। মাইক্রোটিক ওয়েবসাইট থেকে ২৪ ঘণ্টার একটি ফ্রি আইওএস অপারেটিং সিস্টেম ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন। প্রয়োজনে এর লাইসেন্স কিনে একে ফুল ভার্সনে কনভার্ট করে ব্যবহার করতে পারেন। লাইসেন্স ভার্সনের আইএসওগুলোর কোনো টাইম লিমিট থাকে না।
মাইক্রোটিক রাউটার যেভাবে ব্যবহার করবেন:
তাই অপারেটিং সিস্টেমটি কেনার আগে সব কিছু জেনে নিন। মাইক্রোটিক ওয়েবসাইট থেকে ২৪ ঘণ্টার একটি ফ্রি আইওএস অপারেটিং সিস্টেম ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন। প্রয়োজনে এর লাইসেন্স কিনে একে ফুল ভার্সনে কনভার্ট করে ব্যবহার করতে পারেন। লাইসেন্স ভার্সনের আইএসওগুলোর কোনো টাইম লিমিট থাকে না।
মাইক্রোটিক রাউটার যেভাবে ব্যবহার করবেন:
যেমন: MTCNA- MikroTik Certified Network Associate, MTCRE- MikroTik Certified Routing Engineer, MTCWE- MikroTik Certified Wireless Engineer, MTCTCE- MikroTik Certified Traffic Control Engineer, MTCUME- MikroTik Certified User Management Engineer, MTCINE- MikroTik Certified Inter-networking Engineer।
যেসব ট্রেনিং প্রতিষ্ঠান থেকে ট্রেনিং করবেন তাদের মাধ্যমেই জানতে পারবেন কারা ভেন্ডর সার্টিফিকেশন কোথা থেকে নিতে পারবেন অথবা গুগলে এ বিষয়ে সার্চ করলে জানতে পারবেন কারা সার্টিফিকেশন পরীক্ষার আয়োজন করে থাকে তাদের নাম ও ঠিকানা।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url