OrdinaryITPostAd

দেখা না দেখা book Review

 

দেখা না দেখা

হুমায়ূন আহমেদ

pic দেখা না দেখা 1
pic দেখা না দেখা

“দেখা না দেখা”-এর অধ্যায় সমূহঃ

  • মহান চীন ও কিছু ড্রাগন
  • প্রিয় পদরেখা
  • স্বর্গ, না অন্য কিছু
  • চন্দ্রযাত্রা
  • এলেম শ্যামদেশে

হুমায়ূন আহমেদকে এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলা যায়। এক সময় এমন ছিল, বুঁদ হয়ে থাকার তীব্র তৃষ্ণা টা হুমায়ুনের আজগুবি বই গুলোয় পেতাম। হাসতাম আবার কাঁদতাম। হাসিতে গড়াগড়ি খেতাম। কখনো দীর্ঘ সময় ধরে মন খারাপ করে থাকতাম। আবার কখনো ভিজতে ভিজতে ভাবতাম, এটাই জীবন… ছাতাহীন। পাশে কেউ থাকাটা সবার জন্যে সবসময় জরুরি না।

বহুদিন পর ‘দেখা না-দেখা’ পড়লাম। ভ্রমণ গপ্প। এই গল্পে আসলেই গল্প আছে৷ বিশাল ভৌগোলিক কেচ্চা-কাহিনি নেই মোটেই। অথচ সহজেই পুরো দেশটা রপ্ত করে ফেলা যাচ্ছে। আশেপাশের ছবি গুলো নিজ থেকেই ধরা দিচ্ছে। ভ্রমণ গল্প গুলো এমন হওয়াইতো উচিৎ।

নিরস মেড়মেড়ে ভ্রমণ বর্ণনা আপনি গুগলেও পাবেন। উইকিপিডিয়া একটা আছে। তামাম দুনিয়ার সব কিছু এখানে পাওয়া যাবে। আজিব এক জিনিস। কিন্তু একজন মধ্যভিত্তের অনন্য সাধারণ লেখকের চোখে নিমিষে কয়েকটা দেশ পড়ে ফেলা চাট্টিখানি কথা নয়।

‘দেখা না দেখা’ পড়ে ফেলা যায়

চীন থেকে শুরু করে লেখক আপনাকে ভারতের আগরতলা ঘুরিয়ে সুইজারল্যান্ডে পুলিশের দাবড়ানি খাইয়ে আমেরিকা হয়ে থাইল্যান্ডের পাতায়া ঘুরিয়ে আনবেন, আপনি যাগায় খুঁজে পাবেন নিজেকে। দারুণ না বিষয় টা?

আশ্চর্য, এই লোকটা বাংলাদেশকে কি তীব্র যাতনায় ভালোবাসেন এই বইটা না পড়লে বুঝা মুশকিল। নিজের মধ্যেও বিষিয়ে ওঠে এমন দেশপ্রেম। দেশের বাইরে গিয়ে থাকলে এই যাতনা ঠাহর করতে পারবেন আপনি, গিয়েছেন কোথাও?

অবশ্য একসময় না দেখেই ‘গুলতেকিন আহমেদ’ দেখতে দেখতে অদেখা গুলতেকিনের প্রেমে পড়ে যাওয়া আমার ভ্রম ভাঙ্গলো শাওনের সমযাত্রা দেখে৷ গুলের জন্যে মন খারাপ হবেই। একটা তথ্য দেয়া যাক শাওনের মা কিন্তু সরকারের ধনাঢ্য সংসদ সদস্য তাহুরা আলী।

‘দেখা না দেখা’ উৎসর্গ করা হয়েছে :

তিনি বইটি উৎসর্গ করেছিলেন শিশু নিশাদ হূমায়ুনকে। লেখকের ভাষ্যমতে, ” তুমি যখন বাবার লেখা এই ভ্রমন কাহিনী পড়তে শুরু করবে, তখন আমি হয়তোবা অন্য এক ভ্রমনে বের হয়েছি। অদ্ভূত সেই ভ্রমনের অভিজ্ঞতা কাউকেই জানাতে পারব না। আফসোস!”

সফর সঙ্গীদের নানা মজার ঘটনাকে তুলে ধরেছেন লেখক। মজার মানে মজার। অতি নিরস কুটখুটে গল্পগুলোও মনে হয়েছে অসাধারণ।

অবসর সময় থাকলে বইটা পড়ে ফেলতে পারেন। বিদেশ পড়লে আপনি দেশকে জানবেন। এটাই মোদ্দা কথা। সেটা যখন হয় আমেরিকার মতোন দেশে উচ্চ বিলাসী জীবন ফেলে ঢাকার জ্যামে বেঁচে থাকার জীবন বেছে নেয়া মানুষ হুমায়ুন আহমেদের লিখা হয়, তাহলেতো সোনায়সোহাগা ব্যপার।বইটি পিডিএফ না পড়ে কাগুজে ছাপা পড়ুন, আরাম পাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১