OrdinaryITPostAd

কিভাবে ডিলিট হওয়া ভিডিও ফিরে পাওয়ার যাবে ;উপায় খুজুন

 


স্মার্টফোন বর্তমানে আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা আমাদের প্রায়  সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্যই স্মার্টফোনে সংরক্ষণ করে থাকি।কিন্তু বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয় তখনই যখন প্রয়োজনের সময় তথ্যগুলো খুঁজে পাওয়া যায় না অথবা ভুলবশত ডিলিট হয়ে যায়।

ভিডিও ফাইল স্মার্টফোনে সংরক্ষণ যোগ্য এমনি একটি তথ্যের ধরন।আগে এক সময় টেপ আকারে অথবা সিডি-ডিভিডি তে ভিডিও ফাইল সংরক্ষিত থাকতো,ফলে তা যথাস্থানে সংরক্ষণ করে রাখা যেতো।ছিলোনা ডিলিট হয়ে যাওয়ার ভয়।

কিন্তু বর্তমানে আমরা স্মার্টফোনে ভিডিও সংরক্ষণ করি বলে অনেক সময় ভিডিও ফাইল ডিলিট হয়ে যাওয়ার সংকা থাকে।ভুলবশত ডিলিট তো হতেই পারে আবার অনেক সময় ইচ্ছাকৃত ভাবে ডিলিট হয়ে যাওয়া ভিডিও ফাইল ও পরে প্রয়োজন হতে পারে।

এ বিষয়ে চিন্তা করে কপালে ভাঁজ ফেলার ও দরার নেই আবার প্রয়োজনীয় ভিডিও ডিলিট করে দিয়ে আপসোস করার ও প্রয়োজন নেই।কারন বর্তমানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডিলিট হয়ে যাওয়া ভিডিও ফাইল পুনরুদ্ধার করা বা ফিরে পাওয়া সম্ভব।সাধারণত স্মার্টফোনে আই ক্লাউড অথবা গুগল ফটো এক্টিভ থাকলে খুব সহজেই ডিলিট হয়ে যাওয়া ভিডিও পুনরুদ্ধার করা যায়।

 

ডিলিট হয়ে যাওয়া ভিডিও ফিরে পাওয়ার উপায়:

চলুন এবার জেনে নেয়া যাক কয়েকটি কার্যকর ভিডিও রিকভারি অ্যাপ সম্পর্কে:

 

1.Dumpster Bin File Recovery :

এই অ্যাপটি ভিডিও ফাইল রিকভারির জন্য যেমন দারুন কাজ করে একি ভাবে ছবি ও অন্যান্য ফাইল ও খুব ভালো ভাবেই রিকভার করা যায়।১৪এমবি সাইজের ছোট্ট অ্যাপটি গুগল প্লেস্টোর থেকে ৪৫মিলিয়ন বারেরো বেশি ডাউনলোড হয়েছে।

 

অ্যাপটি ব্যবহার সুবিধা সমূহ:

  •  ডিলেট হয়ে যাওয়া ভিডিও ফাইল, অডিও ফাইল এবং ছবি সম্পূর্ণ  ফ্রিতে পুনরুদ্ধার করতে পারবেন।
  • অ্যাপসটি  ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই ব্যবহার করা যায়।
  • Dumpster Bin File Recovery অ্যাপসটি আপনার স্মার্টফোন রুট করা ছাড়াই ব্যাবহার করতে পারবেন।
  • খুব সহজেই ভিডিও ফাইল,অডিও ফাইল,ছবি,অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন এবং গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস ব্যাকআপ করে রাখা যায়।

 

এই অ্যাপটির কিছু বাড়তি সুবিধা রয়েছে যা শুধুমাত্র প্রিমিয়াম ভার্সনেই পাওয়া যাবে।অ্যাপটি ব্যবহারের অসুবিধার কথা বলতে গেলে প্রথমেই আসবে বিরক্তিকর এড এর কথা।প্রতিটি ডিলিট হয়ে যাওয়া ফাইল রিকভারি করার সময় দেখতে হবে বিজ্ঞাপন।এই অ্যাপ্লিকেশনটির আরেকটি অসুবিধা হলো এটি দিয়ে অ্যাপ রিকভার করা যায় না।

 

2.EaseUS MobiSaver -Recover Files, SMS & Contacts :

৬.৪এমবি সাইজের এই অ্যাপটি গুগল প্লেস্টোর থেকে ৫মিলিয়ন এর বেশি বার ডাউনলোড হয়েছে।এই অ্যাপটির সাহায্যে ভিডিও ফাইল এবং একি সাথে ছবি,অডিও,কন্টাক্ট,হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি রিকভার করা যায়।

 

অ্যাপটি ব্যবহার সুবিধা সমূহ:

  • ফোনের ইন্টারনাল মেমরি এবং এক্সটার্নাল মাইক্রোএসডি কার্ড থেকে মুছে ফেলা ছবি, ভিডিও, কন্টাক্ট, হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ এবং কথোপকথন পুনরুদ্ধার করা যায়।
  • JPG/JPEG, PNG, GIF, BMP, TIF/TIFF ফরমেট এর ছবি সমূহ সাপোর্ট করে।
  •  MP4, 3GP, AVI, MOV ফরমেটের ভিডিওসমূহ সাপোর্ট করে।
  • রিকভারির জন্য খুব দ্রুত স্ক্যান সম্পন্ন করে।
  • স্ক্যান চলার সময়ই প্রাপ্ত ফাইল সমূহের প্রিভিউ দেখা যায়।
  • অ্যাপটি ব্যবহার করার জন্য স্মার্টফোন রুট করার প্রয়োজন নেই,তবে ফোন রুট করা থাকলে এই অ্যাপটি ব্যবহারে কিছু বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে।

 

এই অ্যাপটির পূর্ণ সুবিধা পেতে হলে এটির প্রিমিয়াম ভার্শন ক্রয় করতে হবে।ভিডিও রিকভারির জন্য এই অ্যাপটি একটি কার্যকরী অ্যাপ হলেও এটির কিছু অসুবিধা রয়েছে,যার জন্য গুগল প্লেস্টোরে এর রেটিং ২.৯ স্টার।

 

3.UltData:

Tenorshare কোম্পানির UltData অ্যাপটির সাইজ গুগল প্লেস্টোর শুধু ১৭এমবি হলেও এর রেটিং ৪.০ স্টার।এটি এখন পর্যন্ত গুগল প্লেস্টোর থেকে ১ লক্ষ বারেরো বেশি ডাউনলোড হয়েছে।এই অ্যাপ দিয়ে ভিডিও ফাইল,অডিও ফাইল,ছবি,হোয়াটসঅ্যাপ ফাইল এবং মেসেজ রিকভারি করা যায়।

 

অ্যাপটি ব্যবহার সুবিধা সমূহ:

  • হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ এবং এটাচমেন্ট  ফটো, ভিডিও এবং অডিও ফাইল সহ আপনার প্রয়োজনীয় যে কোনও ফাইল পুনরুদ্ধার করতে পারবেন।
  • আপনি যেভাবেই ফাইল হারান না কেন, আপনি যতক্ষণ না হারিয়ে যাওয়া অ্যান্ড্রয়েড ফাইলগুলি নতুন ডেটা দ্বারা ওভাররাইট না করবেন ততক্ষণ আপনি ফিরে পেতে পারেন।
  • স্ক্যান করার পরে, আপনি ফাইলের আকার, ফাইলের ধরন এবং তারিখ অনুসারে ফাইলগুলি ফিল্টার করতে পারবেন এবং শুধুমাত্র মুছে ফেলা আইটেমগুলি সিলেক্ট করতে পারেন।
  • পুনরুদ্ধারের আগে স্ক্যান করা ফাইলগুলির প্রিভিউ দেখতে পারবেন এবং প্লে করেও দেখতে পারবেন।
  • ডিলিট হয়ে যাওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডেটা সরাসরি পুনরুদ্ধার করতে পারবেন।
  • UltData রুট ছাড়াই আপনার ফোনে সম্পূর্ণ অ্যাক্সেস পাবে এবং হারানো ডেটা পুনরুদ্ধার করতে পারবে।সুতরাং রুট প্রয়োজন নেই।

 

তবে এই অ্যাপটির ফ্রি ভার্শন দিয়ে শুধুমাত্র ডিলিট হওয়া ফাইল গুলোর প্রিভিউ দেখা যাবে।ফাইল রিকভার করতে হলে কিনে নিতে হবে এর প্রিমিয়াম ভার্শনটি।এর আরেকটি অসুবিধা হলো অনেক আগে ডিলিট হওয়া ভিডিও ঠিক ভাবে রিকভার করতে পারেনা।

গুগল প্লেস্টোরে ভিডিও রিকভারি অ্যাপ লিখে  সার্চ দিলে অনেকগুলো ফলাফলই পাওয়া যায়,কিন্ত বেশিরভাগ ই ইন্সটল করার পর ঠিকঠাক ভাবে কাজ করে না।আশাকরি উপরে উল্লেখ করে টুল গুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার কাংখিত ভিডিও ফাইল ফিরেপেতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১