OrdinaryITPostAd

পঞ্চগড় ভ্রমনের - গাইডলাইন শেয়ার

 


 2021 সালের একদম শুরুতেই ঘুরে এসেছি দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড় থেকে, এই ব্লগে তার একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা প্রদান করা হয়েছে, এটি থেকে যারা পঞ্চগড় জেলা ভ্রমন করতে চান তারা উপকৃত হতে পারবেন বলে আশা করছি ।

এই ব্লগ থেকে আপনি আপনার পঞ্চগড় ভ্রমনের ব্যাপারে যেসব সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন-

  1. পঞ্চগড় এর কোথায় কোথায় ঘুরতে যেতে পারেন
  2. বাজেট কত রাখবেন
  3. রাত্রীযাপন 
  4. কতটা সময় লাগতে পারে
  5. খাবার দাবার (ইত্যাদি)
এই ব্লগটিতে সকল সঠিক এবং আবডেট ইনফরমেশন দেয়ার চেষ্ট করা হয়েছে এবং আমাদের পুরো টুর প্লান এখানে বর্ণনা করা হয়েছে । 


হিমালয়ের কন্যা খ্যাত পঞ্চগড় জেলা আমার হোমটাউন রংপুর জেলা থেকে খুব কাছে হওয়ায় এই জেলা ভ্রমন না করাটা এক ধরনের পীড়াদায়ক বলে মতে হতে লাগছিলো আর হিমালয়ের এত কাছের একটি জায়গা যা থেকে হিমালয়ের স্বাদ নেয়া যায়, এমন একটি যায়গায় ভ্রমন থেকে বাকি থাকবে যা যে কোন ভ্রমন প্রেমির কাছেই পীড়াদায়ক বলে আমি মনে করি ।

২০১৮ শেষ হলো বলে এমন সময়ই মনে হলো বন্ধুদের নিয়ে একটি ভ্রমন করলে কেমন হয় ? যেই কথা সেই কাজ বেছে বেছে ৬-৭ জন কে টেক্সট করলাম, যারা এর আগে বিভিন্ন জায়গায় আমার সাথে ভ্রমন করেছনে । সবাই পজেটিভ রিসপন্স করলো ।

শুরু হলো টুর প্লান-
যদিও সময়টা নির্ধারন করলাম বাংলাদেশ জাতীয় নির্বাচন এর পরে পরেই এবং দেশের অবস্থা কিছুটা অস্থিতিশীল থাকার আশংক্ষা থাকতে পারে বলে অনেকেই বলছিলো তবুও সাত পাঁচ ভেবে জানুয়ারির ২ তারিখ কেই আমাদের শুভ দিন বলে মনে হলো । তবুও একটি ব্যাকআপ প্লান রাখলাম যদি সত্যি সত্যি পরিস্থিতি ভ্রমনের উপযোগি না হয় ।

পঞ্চগড় যাবার ৪-৫ দিন আগেই সব কিছু ঠিক করে ফেললাম কোথায় কোথায় ঘুরবো এবং কখন কোথায় যাবো তার টোটাল একটা টাইমলাইন বানিয়ে ফেললাম ।


যেসব স্থান সিলেক্ট করেছিলাম-
  • পঞ্চগড় জেলা শহর
  • করতোয়া নদী
  • পাথরের জদুঘর
  • শাহী মসজিদ
  • বারো আউলিয়ার মাজার
  • ভিতরগড়
  • মহারাজার দীঘি
  • বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট
  • বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর
  • সমতলের চা বাগান
  • হিমালয়
  • মহানন্দা নদী



টুরের শুরুতেই ৫-৬ জন কে ভেবে সকল প্লান করছি, যদিও সবাই থাকবে না পূর্ব অভিজ্ঞতা তাই বলে, তবুও সবার থাকবার জায়গা নিয়ে চিন্তা করলাম, তেতুলিয়া ডাকবাংলোতে থাকা যায় কিনা, যদিও বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ট বন্ধু এবং বড় ভাই ছিলো যাদের বাসা পঞ্চগড় জেলা শহরেই । এত জন কে নিয়ে তো আর আসা যায় না তাই তেতুলিয়া ডাকবাংলো তে ফোন দিলাম, নির্বাচনের পরে ডাকবাংলো খোলা থাকলেও তারা আমাদের বুকিং নিতে রাজি হলো না । কি আর করার আবাসিক এ খবর নিলাম-
পঞ্চগড় জেলায় বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল হোটেল রয়েছে, শহরে ঠুকলেই পাওয়া যাবে তাদের মধ্যে একটি হলো "এইচ কে প্যালেস" আমরা এটিতেই  থাকবার সিন্ধান্ত নিয়েছিলাম বেশ কয়েকটি কারনে যেমন-
হোটেলটি বাজেটের মধ্যেছিলো, মুল সড়কের কাছেই, হোটেলটির নিচে ব্যাংক থাকায় এটি আমাদের কাছে বেশি নিরাপদ মনে হয়েছে ।

ভাবছেন যাতায়াতের ব্যাবস্থা না করেই ঘোরার আর থাকার চিন্তাই আমরা ব্যাস্ত কিনা ! আসলে আমরা রংপুর শহর থেকে যাবো তাই এ নিয়ে আমাদের তেমন কোন পরিকল্পনা নেই কারন রংপুরের মেডিকেল মোড় থেকে আপনি পঞ্চগড় যাবার সব ধরনে বাসই পাবেন । আমরা মোটামুটি স্বাধীন ভাবে চলা ফেরা করতে পছন্দ করি তাই যখন যেখানে যে ভাবে যাওয়া যাবে তা নিয়ে তেমন চিন্তা নেই, এটাকে অ্যাডভেন্সার বলা যায় ।

৯৯৯ সেবা চালু হবার পর থেকে আর তেমন কষ্ট করে পুলিশ, এমবুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস এর নম্বর কালেক্ট করতে হয় না, তাই আর এ ব্যাপারে কষ্ট করলাম না ।

চলে এলো প্রায় ভ্রমনের দিন-
সবে নির্বাচন শেষ হলো, এখনো শপথই হয়নি এবং নির্বাচন নিয়ে কিছুটা সংশয় লেগেই আছে, তাতেই একজন তার ভার্সিটিতে ফিরে গেলো কারন তার পরিক্ষা ছিলো, বাকিদের মধ্যে দুইজন সিরিয়াস প্রবলেম এ পড়ে গেলে তাই তাদের টুরে যেতে বারন করে দেই, এবং বাকিদের মধ্যে একজন কে তার পরিবারের চাপের মুখে পড়তে হয় নির্বাচনের পরবর্তী খারাপ পরিবেশের আশংক্ষায়, যদিও সেই বেশি টুর করে এবং টুরকে বেশি আনন্দঘন করে । যাই হোক কি আর করার শেষ মেশ আমরা দুই জন সিদ্ধান্ত নিলাম আমাদের প্লান আমরা সাকসেস করেই আসবো ।
কথা মতই সব হলো, সকাল ৯ টার মধ্যে আমরা রংপুর মেডিকেল মোড় এ পৌছে গেলাম ।

যাত্রা শুরু-
আমাদের যাত্রা হবে বিআরটিসি বাসে ভাড়া মাত্র ১৮০ টাকা (রংপুর টু পঞ্চগড়) এর আগেই আমরা আমাদের সকল চাহিদা এবং প্রয়োজন শেষ করে দীর্ঘ ৩ ঘন্টা যাত্রার প্রস্তুতি নিলাম । যাত্রা পথকে ভুলে থাকার জন্য আমাদের গল্পের অভাব হবে না ভেবে দুই জনেই হাসা হাসি করছিলাম ।

নির্ধারিত সময় ১০ টা, ১০ টা ৫ মিনিটে বাস যাত্রা শুরু করলো আর আমরাও শুরু করে দিলাম আমাদের এত দিনের জমে থাকা গল্পের ঝুড়ি ।
তিনঘন্টার কিছু আগেই পৌছে গেলাম পঞ্চগড়ে এবং প্রথমেই চলে গেলাম হোটেলে, ডাবল বেডের একটি রুম নিলাম নির্ধারিত ভাড়া ৬০০টাকা আমরা তাদের ৫০০ তে রাজি করাতে পেরেছিলাম, রুম দেখে বস কিছু ঠিক করে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম দুপুরের খাবার খেতে ।

মাত্র হাটা শুরু করেছি পঞ্চগড় শহরে, নিজেদের লাঞ্চ এর জন্য বেছে নিলাম রহমানিয়া হোটেল কে, দুই জনেই তৃপ্তি সহকারে খেলাম, রান্না এবং খাবাররের কোয়ালিটি বেশ ভালই  । বিল মাত্র ১৭০ টাকা ।

শাহী মসজিদ-
পাথরের জাদুঘর থেকে বেরিয়েই আবার ফিরে আসলাম মুল শহরে, এখান থেকে মাত্র ১২ কিংবা ১৩ কিলোমিটার দুরেই শাহী মসজিদ, যেতে হবে মির্জাপুর এর দিকে । অটো রিকসা কিংবা বাসে করে যেতে পারেন, বাসে ভাড়া ১৮ টাকা জন প্রতি আর অটোরিকসায় ২০ টাকা । মির্জাপুর বাজারে নেমে পূর্ব দিকে মাত্র ২ মিনিট হাটলেই পাবেন ঘাট বাধানো পুকুরের পাশেই "শাহী মসজিদ" । পাশেই আছে ইমামবাড়া, রাস্তা ধরে আরো দুই মিনিট হাটলে সেটি পাবেন ।

বারো আউলিয়ার মাজার-
মির্জাপুর বাজার থেকে অটো রিকসা নিয়ে যেতে হবে এই বারো আউলিয়ার মাজারে, জন প্রতি ১৫ টাকা পড়বে (তবুও ভাড়া ঠিক করে নিবেন) । এক সাথে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মোট ১২ জন আউলিয়ার মাজার এখানে । প্রায় ২০৬ বিঘা জমি জুড়ে এই ধর্মপ্রচারকদের মাজার । এখানে একটি সরকারি মেহমান খানা বা বাংলো আছে । থেকে যেতে চাইলে মন্দ হবে না । ঘাট বাধানো পুকুর আর চতুর দিকে গাছের ছায়ায় ঘেরা শান্তির পরিবেশে চির নিদ্রায় শুয়ে আছেন আউলিয়া গন ।

করতোয়া নদী-
করতোয়া নদীর তীরেই পঞ্চগড় জেলা শহর অবস্থিত তাই বার বার দেখা মিলবে করতোয়া নদীকে, এই মুহুর্তে এই নদীতে তেমন পানি নেই তবে জেলেদের দেখা মিলবে নদীতে হাটু পানিতে মাছ ধরছে তারা ।  ফটোশেসন করার জন্য বিশেষ কোন জায়গা পাইনি আমরা । আপনারা পেলেও পেতে পারেন ।

পাথরের জাদুঘর-
পঞ্চগড় শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত পঞ্চগড় মহিলা কলেজে অবস্থিত এই পাথরের জাদুঘর । সম্পুর্ণ খোলা পরিবেশে এই জাদুঘর । রিকসা নিয়ে গিয়ে আবার একই রিকসায় ফিরেও আসতে পারবেন, বেশি সময় অপচয় হবে না এখানে । মহিলা কলেজ হওয়ায় কলেজ কতৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নেয়া অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ।



মোটামুটি প্রথম দিনের ভ্রমন শেষ করে ফেললাম, নির্ধারিত যে সময় বেধে নিয়েছিলাম তার কিঞ্চিৎ মাত্র শেষ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে কারন সূর্য আকাশে থাকতেই হোটেলে ফিরছি আমরা । এসেই সারাদিনের ক্লান্তিকে ঝেড়ে দিতেই গোসল করে নিলাম, পঞ্চগড় হলেও আজ তেমন ঠান্ডা নেই বলেই মনে হলো, তবে বিষয়টি পরে টের পেয়েছিলাম বিশেষ করে ভোর রাতে, -৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় নেমে গিয়েছিলো, এদিকে সেই দিন সকালেই আমার সফর সঙ্গী বীরবেশে গোসল করে রিতিমত কাপাকাপি শুরু করে দিয়েছিলো । যা হোক রাতে আমরা বের হলাম শহরে, শহরটি বেশ ছোট তবে আপনার প্রয়োজনিয় প্রায় সব কিছুই পাবেন এখানে ।

রাতের খাবার-
পঞ্চগড় জেলা শহরের রাস্তায় বেশ কিছু পিঠার দোকাম আমরা আবিষ্কার করে ফেললাম এবং বুঝতে পারিনি এগুলোতেই হবে আমাদের ডিনার । হা হা । বিভিন্ন ধরনের শীতের পিঠা থেকে নিজের জ্বিব কে সংযত রাখা গেল না । এখানে বিভিন্ন ধরনের পুলি, ভাপা, দুধ চিতই, নাড়ু, তেল পিঠা, নাম না জানা আরো পিঠা খেয়ে পেট ভরিয়ে ফেললাম আমরা ।
পাশেই এক দোকানে দুই কুশুম সহ ডিমের ব্যাপক চাহিদা দেখে আমরাও খেয়ে ফেললাম  । শেষে নিজের পেট কে টেনে টেনে হোটেলে ফিরে এলাম এবং জব্বর এটা ঘুম দিয়ে দিলাম ।





ভিতরগড় এবং মহারাজার দিঘী-
সকাল ৮ টার মধ্যেই আমরা রওনা দিলাম ভিতর গড় এর উদ্দেশ্যে এবং এর আগে হোটেল ছেড়ে দিয়ে আবারো সেই রহমানিয়া তে নাস্তা করলাম, পরাটা আর মিষ্টি দিয়ে, সত্যি কথা বলতে এত সকালে এই হোটেল টাকেই আমরা খোলা পেয়েছিলাম । এখানে বিভিন্ন রকমের মিষ্টি গুলো আমাদের যেন বলছিলো, সারাদিনের সুগারের চাহিদা মেটাতে ডিম না খেয়ে মিষ্টি খাও, আমরা তাই করলাম এবং বাস যোগে রওনা দিলাম তেতুলিয়া সড়ক ধরে বোর্ড বাজার এর উদ্দেশ্যে । পঞ্চগড় থেকে বোর্ডবাজার ১৫ টাকা জন প্রতি । এখান থেকে নেমে ব্যাটারি চালিত ভ্যান বা রিকসা নিয়ে যাওয়া যায় মাহারাজার দিঘী এবং ভিতরগড়ে । ভাড়া ঠিক রে নেয়াই ভালো আমরা সব মিলিয়ে ১৫০ টাকা দিয়েছি (যাওয়া + আসা + অপেক্ষা)
মহারাজার দিঘী মহারাজার আদলেই গড়া সুবিশাল দিঘী, এবং পরিষ্কার পানি । এখানে দেখা মিলবে অতিথী পাখিরও । এখানে মনোরম পরিবেশে পিকনিক করা যেতে পারে ।

সমতলের চা বাগান-
তেতুলিয়ার পথে পথে দেখা মিলবে চা বাগান, মজার ব্যাপার হলো যে সব জমিতে আমাদের অঞ্চলে ধান চাষ হয় এখানে সেই জমিতেই চা চাষ হয় । বলতে পারেন একটি বাড়ি একটি চা খেত । মহারাজা দিঘি থেকে ভিতরগড় যেতে যেতে অসংখ্য চা বাগান পাবেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো স্যালিলান টি এষ্টেট লিঃ ।

পর্যাপ্ত ফটোশসন করে ফিরে এলাম বোর্ডবাজারে, আমাদের রিক্সা চালকের সাথে আমাদের বেশ খাতির হয়ে গেল, তেতুলিয়ার গাড়ি পাবার আগ পর্যন্ত আমরা এক সাথে চা নাস্তা এবং গল্প করে গেলাম । লোকজন বেশ সহজ সরল বলে মনে হলো ।





বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্ট এবং স্থলবন্দর-
বাস যোগে জন প্রতি ৫৫ টাকা ভাড়ায় বোর্ড বাজার থেকে তেতুলিয়া বাংলাবন্ধায় পৌছালাম, এখান থেকে আরো ১০ টাকা জন প্রতি রিক্সায় শেষ মেশ পৌছালাম কাঙ্খিত সেই জিরো পয়েন্টে । আহ! দেশের সবচেয়ে উত্তরের শেষ বিন্দু এটি, সবাই এখানে আসে মুলত ঘুরতে অথবা ভারতে ঠুকতে । পাশেই পাবেন বিশাল বিশাল পাথর ভংগার কারখানা ।





হিমালয় দেখা-
জিরো পয়েন্ট এর জিরোর সাথে ফটোশেসন করেই আমরা খুঁজতে লাগলাম হিমালয়কে, আকাশ বেশ পরিষ্কার তাই বেশ দেখা যাচ্ছে হিমালয়কে কিন্তু আমরা মেঘ ছাড়া আর কিছুই দেখলাম না । আসলে শীতের এই সময়টাতে মেঘ দাড়িয়ে থাকে পুরো হিমালয় চূড়া জুড়ে । তবে নভেম্বর এর শেষের দিকে গেলে পরিষ্কার বুঝা যায় । তবুও আমরা হতাশ নই, মেঘ মালা হলেও হিমালয়েব বিশালতা আমাদের কাছে পরিষ্কার, না দেখলে কল্পনাই করা যায় না ।

মহানন্দা নদীর কোল ঘেষে ফিরে এলাম তেতুলিয়ায়, এখানে বাংলা হোটেলে বাঙালী খাবারের সমারহ, জব্বর খাওয়া হলো, যদিও একটু দেরি করেই দুপুরের খাবার হলো কিন্তু, স্বাদের কারনে তার জন্য কোন কষ্ট নেই ।

বিকেলে পঞ্চগড় - ফরিদপুরগামী একটি বাসে করে রংপুরে ফিরে আসলাম । ভাড়া ২০০ টাকা জন প্রতি ।  সব মিলিয়ে দুর্দান্ত একটি সফর ছিলো এটি ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১