কোষ কাকে বলে Class 7: বিজ্ঞান শিক্ষার সহজ পাঠ
কোষ হল জীবের ক্ষুদ্রতম একক যা জীবনের সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পাদন করে। এটি জীবের কাঠামোগত এবং কার্যকরী একক। কোষ সম্পর্কে জানতে চাও Class 7 এর বিজ্ঞান বইয়ে, এই ব্লগটি তোমার জন্য। কোষ হলো জীবের মৌলিক একক। এটি জীবের প্রতিটি কাজের মূল ভিত্তি। কোষগুলি বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে এবং প্রতিটি কোষের নিজস্ব বিশেষ কাজ আছে। উদাহরণস্বরূপ, উদ্ভিদ কোষ এবং প্রাণী কোষের গঠন ও কার্যকলাপ ভিন্ন। এই ব্লগে আমরা জানবো কোষের বিভিন্ন প্রকার, গঠন এবং এর কাজ। আশা করি, তোমার সকল প্রশ্নের উত্তর পাবে এখানে। চল, শুরু করি!
Credit: m.facebook.com
কোষের ধারণা
কোষ হলো জীবের ক্ষুদ্রতম গঠন ও কার্যকরী একক। সব জীব কোষ দ্বারা গঠিত। কোষ জীবের মৌলিক গঠন একক হিসেবে বিবেচিত। কোষের বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে, যা জীবের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে।
কোষের সংজ্ঞা
কোষ হলো জীবের মৌলিক গঠন একক। এটি জীবের সকল প্রকার রাসায়নিক ও শারীরিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। কোষের ভিতর বিভিন্ন অঙ্গাণু থাকে। প্রতিটি অঙ্গাণুর নির্দিষ্ট কার্যক্রম থাকে।
কোষের প্রকারভেদ
কোষের ধরন | বর্ণনা |
---|---|
প্রক্যারিওটিক কোষ | প্রক্যারিওটিক কোষে নিউক্লিয়াস ও ঝিল্লি নেই। উদাহরণ: ব্যাকটেরিয়া। |
ইউক্যারিওটিক কোষ | ইউক্যারিওটিক কোষে নিউক্লিয়াস ও ঝিল্লি থাকে। উদাহরণ: উদ্ভিদ ও প্রাণী কোষ। |
কোষের প্রকারভেদ বিস্তারিত
- প্রক্যারিওটিক কোষ: এই কোষে নিউক্লিয়াস বা অন্য কোনো ঝিল্লিযুক্ত অঙ্গাণু নেই।
- ইউক্যারিওটিক কোষ: এই কোষে নিউক্লিয়াস ও অন্যান্য ঝিল্লিযুক্ত অঙ্গাণু থাকে। উদ্ভিদ ও প্রাণী কোষ এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত।
কোষের গঠন
কোষের গঠন সম্পর্কে জানার আগে, আমাদের জানতে হবে কোষের মূল অংশগুলি কী কী। কোষ হল জীবের ক্ষুদ্রতম একক যা জীবিত সত্তার সমস্ত কার্যকলাপের মূল কেন্দ্র। কোষের গঠন বোঝা গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষত বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের জন্য। এখন আমরা কোষের গঠনের বিভিন্ন অংশ নিয়ে আলোচনা করব।
কোষ ঝিল্লি
কোষ ঝিল্লি হলো কোষের বাহিরের একটি পাতলা স্তর যা কোষের অভ্যন্তরীণ অংশকে সুরক্ষিত করে। এটি কোষের আকার ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং কোষের ভিতরে এবং বাইরে পদার্থের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করে। কোষ ঝিল্লি সেমি-পারমিবল, অর্থাৎ এটি কিছু পদার্থকে ভিতরে বা বাইরে যেতে দেয় এবং কিছু পদার্থকে আটকে রাখে।
সাইটোপ্লাজম
সাইটোপ্লাজম হলো কোষের অভ্যন্তরীণ তরল পদার্থ যা কোষ ঝিল্লির ভিতরে থাকে। এতে কোষের বিভিন্ন অঙ্গাণু (অর্গানেল) থাকে যা কোষের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদন করে। সাইটোপ্লাজমে বিভিন্ন ধরনের এনজাইম থাকে যা কোষের রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলি পরিচালনা করে।
কোষের কার্যাবলী
কোষের কার্যাবলী সম্পর্কে জানার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি কীভাবে আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষ কাজ করে। প্রতিটি কোষের নিজস্ব কিছু নির্দিষ্ট কার্যাবলী থাকে যা আমাদের জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
পুষ্টি শোষণ
কোষের একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলী হলো পুষ্টি শোষণ। কোষ বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি শোষণ করে, যেমন গ্লুকোজ, প্রোটিন এবং ফ্যাট। এই পুষ্টিগুলি কোষের ভিতরে প্রবেশ করে এবং তারপরে কোষের বিভিন্ন কার্যাবলীতে ব্যবহৃত হয়।
পুষ্টি শোষণের প্রক্রিয়াটি কোষের মেমব্রেনের মাধ্যমে ঘটে। কোষের মেমব্রেন বিশেষ প্রোটিন এবং এনজাইমের সাহায্যে পুষ্টি শোষণ করে। নিচের টেবিলটিতে পুষ্টি শোষণের প্রধান ধাপগুলি উল্লেখ করা হল:
ধাপ | বিবরণ |
---|---|
১ | পুষ্টি মেমব্রেনের কাছে আসে |
২ | মেমব্রেনের প্রোটিন পুষ্টিকে ধরে |
৩ | পুষ্টি কোষের ভিতরে প্রবেশ করে |
৪ | পুষ্টি কোষের কার্যাবলীতে ব্যবহৃত হয় |
শ্বসন প্রক্রিয়া
কোষের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলী হলো শ্বসন প্রক্রিয়া। শ্বসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোষ অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত করে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোষ শক্তি উৎপন্ন করে যা তার কার্যাবলীর জন্য প্রয়োজন।
শ্বসন প্রক্রিয়ার ধাপগুলি নিম্নরূপ:
- অক্সিজেন গ্রহণ
- গ্লুকোজের সাথে অক্সিজেনের মিথস্ক্রিয়া
- শক্তি উৎপন্ন
- কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন
এই শক্তি কোষের বিভিন্ন কার্যাবলীতে ব্যবহৃত হয়, যেমন পুষ্টি শোষণ, বর্জ্য পদার্থ নির্গমন এবং মেটাবলিক কার্যাবলী।

Credit: www.youtube.com
কোষ বিভাজন
কোষ বিভাজন হল একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া যা জীবের বৃদ্ধি এবং পুনরুৎপাদনের জন্য অপরিহার্য। এই প্রক্রিয়ায়, একটি কোষ বিভক্ত হয়ে দুটি নতুন কোষ তৈরি করে। কোষ বিভাজনের প্রধান দুটি প্রকার হল মাইটোসিস এবং মিয়োসিস।
মাইটোসিস
মাইটোসিস হল কোষ বিভাজনের একটি প্রক্রিয়া যেখানে একটি কোষ দুটি সমান সংখ্যক ক্রোমোসোম বিশিষ্ট কোষে বিভক্ত হয়। মাইটোসিস সাধারণত শারীরিক কোষের মধ্যে ঘটে।
- প্রোফেজ: ক্রোমোসোম গঠন শুরু হয় এবং নিউক্লিয়াস ভেঙে যায়।
- মেটাফেজ: ক্রোমোসোমগুলি কোষের কেন্দ্রে সারিবদ্ধ হয়।
- অ্যানাফেজ: ক্রোমোসোমগুলি ভেঙে দুটি অংশে বিভক্ত হয় এবং বিপরীত দিকে সরতে থাকে।
- টেলোফেজ: দুটি নতুন নিউক্লিয়াস গঠন হয় এবং কোষ বিভাজিত হয়।
মিয়োসিস
মিয়োসিস হল কোষ বিভাজনের একটি বিশেষ প্রক্রিয়া যা যৌন পুনরুৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এতে একটি কোষ দুটি বিভাজন পর্বের মধ্য দিয়ে চারটি নতুন কোষ তৈরি করে, যা প্রতিটি হাপ্লয়েড ক্রোমোসোম বিশিষ্ট।
- প্রথম বিভাজন: প্রথম বিভাজনে ক্রোমোসোমগুলি হ্রাস হয় এবং দুটি হাপ্লয়েড কোষ তৈরি হয়।
- দ্বিতীয় বিভাজন: দ্বিতীয় বিভাজনে হাপ্লয়েড কোষগুলি আরো বিভাজিত হয়ে চারটি হাপ্লয়েড কোষ তৈরি করে।
মিয়োসিসের প্রধান ধাপগুলি হল:
ধাপ | বর্ণনা |
---|---|
প্রোফেজ I | ক্রোমোসোমগুলি জোড়া বাঁধে এবং এক্সচেঞ্জ হয়। |
মেটাফেজ I | জোড়া ক্রোমোসোমগুলি কোষের কেন্দ্রে সারিবদ্ধ হয়। |
অ্যানাফেজ I | জোড়া ক্রোমোসোমগুলি বিপরীত দিকে সরতে থাকে। |
টেলোফেজ I | দুটি হাপ্লয়েড কোষ গঠন হয়। |
প্রোফেজ II | নতুন ক্রোমোসোম গঠন শুরু হয়। |
মেটাফেজ II | ক্রোমোসোমগুলি পুনরায় কেন্দ্রে সারিবদ্ধ হয়। |
অ্যানাফেজ II | ক্রোমোসোমগুলি ভেঙে দুটি অংশে বিভক্ত হয়। |
টেলোফেজ II | চারটি হাপ্লয়েড কোষ গঠন হয়। |
কোষের অঙ্গাণু
কোষের বিভিন্ন অংশকে একত্রে কোষের অঙ্গাণু বলা হয়। প্রতিটি অঙ্গাণু একটি নির্দিষ্ট কাজ করে। এই অঙ্গাণুগুলো কোষের মূল কার্যক্রম পরিচালনা করে। এখন আমরা দুটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গাণু সম্পর্কে জানব।
মাইটোকন্ড্রিয়া
মাইটোকন্ড্রিয়া কোষের শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র। এটি কোষের শক্তি তৈরি করে। এজন্য মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের পাওয়ার হাউস বলা হয়। মাইটোকন্ড্রিয়া কোষের অভ্যন্তরে অ্যাডিনোসিন ট্রাইফসফেট (ATP) তৈরি করে। এই ATP কোষের বিভিন্ন কার্যক্রমে শক্তি প্রদান করে।
গলগী বডি
গলগী বডি কোষের প্রোটিন এবং লিপিড প্রক্রিয়াকরণে সাহায্য করে। গলগী বডি প্রোটিন এবং লিপিডকে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে কোষের বিভিন্ন অংশে পাঠায়। এটি প্রোটিন এবং লিপিডের পরিবহন, সংশ্লেষণ এবং প্যাকেজিংয়ের কাজ করে। গলগী বডি প্রোটিন এবং লিপিডকে সঠিকভাবে প্রক্রিয়াকরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অঙ্গাণু | কাজ |
---|---|
মাইটোকন্ড্রিয়া | শক্তি উৎপাদন |
গলগী বডি | প্রোটিন ও লিপিড প্রক্রিয়াকরণ |
- মাইটোকন্ড্রিয়া কোষের ATP তৈরি করে
- গলগী বডি প্রোটিন এবং লিপিড প্রক্রিয়াকরণ করে
- মাইটোকন্ড্রিয়া কোষের শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র
- গলগী বডি প্রোটিন এবং লিপিডকে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে কোষের বিভিন্ন অংশে পাঠায়
প্রাণী কোষ বনাম উদ্ভিদ কোষ
কোষ জীববিদ্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শিক্ষার্থীদের জন্য এটি বোঝা অত্যন্ত জরুরি। কোষ প্রধানত দু'টি ধরনের হয়: প্রাণী কোষ এবং উদ্ভিদ কোষ। এদের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। উদ্ভিদ কোষগুলি উদ্ভিদের বেঁচে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, আর প্রাণী কোষগুলি প্রাণীদের জন্য অপরিহার্য।
প্রাথমিক পার্থক্য
প্রাণী কোষ এবং উদ্ভিদ কোষের মধ্যে কিছু প্রাথমিক পার্থক্য রয়েছে।
- কোষ প্রাচীর: উদ্ভিদ কোষে কোষ প্রাচীর থাকে, যা কোষকে দৃঢ় করে। প্রাণী কোষে কোষ প্রাচীর থাকে না।
- ক্লোরোপ্লাস্ট: উদ্ভিদ কোষে ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে, যা ফটোসিন্থেসিস প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। প্রাণী কোষে ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে না।
- ভ্যাকুয়োল: উদ্ভিদ কোষে একটি বড় কেন্দ্রীয় ভ্যাকুয়োল থাকে, যা পানি এবং অন্যান্য উপাদান সংরক্ষণ করে। প্রাণী কোষে ছোট ছোট ভ্যাকুয়োল থাকে।
অভিন্ন বৈশিষ্ট্য
প্রাণী কোষ এবং উদ্ভিদ কোষের মধ্যে কিছু অভিন্ন বৈশিষ্ট্যও রয়েছে।
- কোষ ঝিল্লি: উভয় কোষেই কোষ ঝিল্লি থাকে, যা কোষের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করে।
- নিউক্লিয়াস: উভয় কোষেই নিউক্লিয়াস থাকে, যা জিনগত উপাদান ধারণ করে।
- মাইটোকন্ড্রিয়া: উভয় কোষেই মাইটোকন্ড্রিয়া থাকে, যা শক্তি উৎপাদন করে।
এই প্রাথমিক পার্থক্য এবং অভিন্ন বৈশিষ্ট্যগুলি বোঝার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রাণী কোষ ও উদ্ভিদ কোষের মধ্যে পার্থক্য এবং সাদৃশ্য সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেতে পারে।
কোষ আবিষ্কারের ইতিহাস
কোষ আবিষ্কারের ইতিহাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও চিত্তাকর্ষক। বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় কোষের আবিষ্কার একটি বড় পদক্ষেপ। কোষের ধারণা এবং এর গুরুত্ব বোঝার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
রবার্ট হুকের অবদান
রবার্ট হুক প্রথম কোষ আবিষ্কার করেন ১৬৬৫ সালে। তিনি একটি কর্কের পাতলা কাটা টুকরো পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। পর্যবেক্ষণের সময়, তিনি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কুঠুরি দেখতে পান। তিনি এগুলিকে নাম দেন "সেল"।
আধুনিক কোষ তত্ত্ব
আধুনিক কোষ তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৩৮ ও ১৮৩৯ সালে। জার্মান বিজ্ঞানী শ্লেইডেন ও শোয়ান এই তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। তারা দেখিয়েছিলেন, সব জীবিত পদার্থ কোষ দ্বারা গঠিত। কোষ জীবনের মৌলিক একক।
আধুনিক কোষ তত্ত্বের প্রধান তিনটি নীতি:
- সব জীবিত বস্তু কোষ দ্বারা গঠিত।
- কোষ জীবনের মৌলিক একক।
- নতুন কোষ বিদ্যমান কোষ থেকে উৎপন্ন হয়।

Credit: www.youtube.com
কোষের গুরুত্ব
কোষ জীবনের মৌলিক একক। এটি জীবের প্রাথমিক গঠন একক। কোষের গুরুত্ব অপরিসীম, কারণ জীবের সব কার্যাবলী কোষের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। কোষের কার্যক্রমগুলো জীবনের ভিত্তি গঠন করে।
জীবনের ভিত্তি
প্রত্যেক জীবের গঠন কোষ দিয়ে শুরু হয়। এককোষী জীব থেকে শুরু করে বহুকোষী জীব পর্যন্ত সবার গঠন কোষের উপর নির্ভরশীল। উদাহরণস্বরূপ:
- এককোষী জীব: ব্যাকটেরিয়া, প্রোটোজোয়া
- বহুকোষী জীব: উদ্ভিদ, প্রাণী
কোষের ভেতরে বিভিন্ন অঙ্গাণু থাকে, যেমন নিউক্লিয়াস, মাইটোকন্ড্রিয়া, ক্লোরোপ্লাস্ট। প্রতিটি অঙ্গাণু নির্দিষ্ট কাজ সম্পন্ন করে। নিউক্লিয়াস জিনগত তথ্য সংরক্ষণ করে এবং নিয়ন্ত্রণ করে। মাইটোকন্ড্রিয়া কোষের শক্তি উৎপাদন করে। ক্লোরোপ্লাস্ট উদ্ভিদের জন্য ফটোসিন্থেসিস করে।
বিজ্ঞান শিক্ষায় ভূমিকা
বিজ্ঞান শিক্ষায় কোষের গুরুত্ব অপরিসীম। ছাত্রছাত্রীরা কোষের গঠন ও কার্যাবলী শিখে। তারা প্রাণীর কার্যাবলী ও প্রক্রিয়াগুলো বোঝে। এটি তাদের জীববিজ্ঞানের প্রাথমিক ধারণা গড়ে তোলে।
কোষের বিভিন্ন অংশ ও তাদের কাজ বোঝা শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান শিক্ষার ভিত্তি শক্তিশালী করে। তারা জীবনের মৌলিক গঠন ও প্রক্রিয়াগুলো সম্পর্কে জানতে পারে।
কোষের অংশ | কার্যাবলী |
---|---|
নিউক্লিয়াস | জিনগত তথ্য সংরক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণ |
মাইটোকন্ড্রিয়া | শক্তি উৎপাদন |
ক্লোরোপ্লাস্ট | ফটোসিন্থেসিস |
বিজ্ঞান শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কোষের গুরুত্ব ও কার্যাবলী সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে। এটি তাদের ভবিষ্যত গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য সহায়ক হয়।
Frequently Asked Questions
কোষ কাকে বলে?
কোষ জীবের মৌলিক একক যা জীবনের সব কার্যক্রম পরিচালনা করে।
কোষের প্রধান উপাদান কী কী?
কোষের প্রধান উপাদান হল নিউক্লিয়াস, সাইটোপ্লাজম এবং কোষঝিল্লি।
কোষ কিভাবে জীবের বংশবৃদ্ধি ঘটায়?
কোষ বিভাজনের মাধ্যমে জীবের বংশবৃদ্ধি ঘটায়।
কোষের বিভিন্ন প্রকারভেদ কী কী?
প্রকৃত কোষ এবং অপ্রকৃত কোষ এই দুই প্রকারভেদ রয়েছে।
Conclusion
কোষ সম্পর্কে জানতে পেরে আমরা এখন অনেকটাই জ্ঞানী। কোষ হলো জীবনের মূল ভিত্তি। প্রতিটি জীবের শরীর গঠনে কোষের ভূমিকা অপরিসীম। কোষের গঠন ও কার্যাবলী আমাদের শরীরের কাজকে নিয়ন্ত্রণ করে। 7ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য কোষের ধারণা বোধগম্য ও সহজ করে তুলতে চাই। আশা করি এই ব্লগটি শিক্ষার্থীদের কোষ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হবে। নিয়মিত পড়াশোনা করে কোষ সম্পর্কে আরও জানতে থাকো। শিক্ষার এই যাত্রায় সবার সাফল্য কামনা করি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url