OrdinaryITPostAd

ইন্টারনেট কাকে বলে: জানুন ইন্টারনেটের মৌলিক ধারণা

ইন্টারনেট কাকে বলে? সংক্ষেপে, ইন্টারনেট একটি বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক যা কম্পিউটার এবং ডিভাইসগুলিকে সংযুক্ত করে। এটি তথ্য এবং যোগাযোগের আদান-প্রদানকে সহজ করে তোলে। বর্তমান যুগে ইন্টারনেট আমাদের জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। এটি আমাদের কাজ, পড়াশোনা, বিনোদন এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা বিশ্বব্যাপী তথ্য আদান-প্রদান করতে পারি। এর মাধ্যমে আমরা বন্ধু-বান্ধব, পরিবার এবং সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারি। ইন্টারনেট আমাদের জীবনের প্রায় সব ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলেছে। এটি আমাদের কাজের প্রক্রিয়া সহজ করে তুলেছে এবং আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করেছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা নিত্যনতুন তথ্য জানতে পারি এবং বিভিন্ন ধরনের সেবা গ্রহণ করতে পারি। তাই, ইন্টারনেট কী এবং এর গুরুত্ব বোঝা আমাদের সবার জন্যই জরুরি।

ইন্টারনেট কাকে বলে: জানুন ইন্টারনেটের মৌলিক ধারণা

Credit: www.youtube.com

ইন্টারনেটের সংজ্ঞা

ইন্টারনেট আজকের যুগে মানুষের জীবনে অপরিহার্য এক অংশ। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে মুহূর্তেই যোগাযোগ স্থাপন করতে পারি। ইন্টারনেটের সংজ্ঞা জানার আগে, আমাদের জানা উচিত ইন্টারনেট আসলে কি এবং এর উৎপত্তি কিভাবে হয়েছে।

ইন্টারনেট কি

ইন্টারনেট হচ্ছে একটি বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক সিস্টেম যা বিভিন্ন কম্পিউটার এবং ডিভাইসগুলিকে সংযুক্ত করে। এটি তথ্য আদানপ্রদানের একটি মাধ্যম যেখানে বিভিন্ন ধরনের তথ্য, সংবাদ, বিনোদন এবং যোগাযোগ সহজে করা যায়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষ তথ্য খুঁজে বের করতে পারে, ইমেইল পাঠাতে পারে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত হতে পারে।

ইন্টারনেটের উৎপত্তি

ইন্টারনেটের উৎপত্তি ১৯৬০-এর দশকে, যখন আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অফ ডিফেন্স একটি গবেষণা প্রকল্প শুরু করে। এই প্রকল্পটির নাম ছিল ARPANET যা বিভিন্ন কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। ARPANET-এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক মেসেজ আদানপ্রদান করা হয়েছিল।

১৯৮০-এর দশকে ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং এটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হতে শুরু করে। ১৯৯০-এর দশকে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW) এর আবির্ভাব ঘটে যা ইন্টারনেটকে সাধারণ মানুষের কাছে আরও সহজলভ্য করে তোলে।

নিচের টেবিলে ইন্টারনেটের উৎপত্তির মূল পয়েন্টগুলো দেখানো হয়েছে:

বছর ঘটনা
১৯৬০ ARPANET প্রকল্প শুরু
১৯৮০ বাণিজ্যিকভাবে ইন্টারনেটের ব্যবহার
১৯৯০ ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের আবির্ভাব

ইন্টারনেটের ইতিহাস

ইন্টারনেটের ইতিহাস একটি বিস্ময়কর এবং বিপ্লবী যাত্রা। এটি মানবজাতির যোগাযোগ এবং তথ্য বিনিময়ের ধরনকে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করেছে। ইন্টারনেটের উদ্ভব এবং বিকাশের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানলে আমরা তার গুরুত্ব এবং প্রভাব আরও ভালোভাবে বুঝতে পারি।

প্রাথমিক দিনগুলি

ইন্টারনেটের প্রাথমিক দিনগুলি ছিল উত্সাহী উদ্ভাবকদের দ্বারা পূর্ণ। ১৯৬০-এর দশকে, মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ ARPANET তৈরি করে। এটি ছিল ইন্টারনেটের পূর্বসূরী। ARPANET-এর মূল উদ্দেশ্য ছিল গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে তথ্য বিনিময় করা।

১৯৭০-এর দশকে, ইলেকট্রনিক মেইল বা ইমেইল উদ্ভাবিত হয়। এটি ছিল ইন্টারনেটের প্রথম জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন। ইমেইল মানুষকে দ্রুত এবং সহজে যোগাযোগ করতে সহায়তা করে।

ইন্টারনেটের বিকাশ

১৯৮০-এর দশকে, ইন্টারনেটের বিকাশ আরও দ্রুত হয়। TCP/IP প্রোটোকল তৈরি হয়। এটি ইন্টারনেটের ভিত্তি স্থাপন করে। TCP/IP প্রোটোকল বিভিন্ন কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে একসঙ্গে যুক্ত করে।

১৯৯০-এর দশকে, ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW) উদ্ভাবিত হয়। টিম বার্নার্স-লি এটি উদ্ভাবন করেন। WWW ইন্টারনেটকে সাধারণ মানুষের জন্য সহজ এবং ব্যবহারযোগ্য করে তোলে। মানুষ এখন ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে এবং তথ্য খুঁজতে পারে।

এরপর, ব্রাউজার যেমন নেটস্কেপ এবং ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। মানুষ এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা এবং তথ্য পেতে পারে।

ইন্টারনেটের বিকাশের ফলে, সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন শপিং এবং স্ট্রিমিং সেবা প্রচুর জনপ্রিয় হয়। ইন্টারনেট এখন আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে।

ইন্টারনেটের কারিগরি দিক

ইন্টারনেটের কারিগরি দিক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জটিল। এটি বিভিন্ন প্রোটোকল, স্ট্যান্ডার্ড, ডোমেন ও হোস্টিংয়ের মাধ্যমে কাজ করে। এই প্রযুক্তিগত দিকগুলি ইন্টারনেটের সঠিক কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য।

প্রোটোকল ও স্ট্যান্ডার্ড

প্রোটোকল হল নিয়মাবলী যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ডেটা স্থানান্তর করে। উদাহরণ হিসেবে, HTTP (HyperText Transfer Protocol) এবং HTTPS (HyperText Transfer Protocol Secure) উল্লেখযোগ্য। স্ট্যান্ডার্ড হল নিয়ম বা নির্দেশ যা ইন্টারনেটের বিভিন্ন সেবা ও কার্যক্রমের জন্য নির্ধারিত।

উদাহরণস্বরূপ, TCP/IP (Transmission Control Protocol/Internet Protocol) ইন্টারনেটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্ট্যান্ডার্ড। এই প্রোটোকলগুলি ইন্টারনেটের মাধ্যমে ডেটা নিরাপদে ও সঠিকভাবে স্থানান্তর করতে সহায়তা করে।

ডোমেন ও হোস্টিং

ডোমেন হল একটি ওয়েবসাইটের নাম বা ঠিকানা। এটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ওয়েবসাইট খুঁজে পেতে সহায়তা করে। ডোমেন নামের উদাহরণ হিসেবে, google.com এবং facebook.com উল্লেখযোগ্য।

হোস্টিং হল সেই সার্ভিস যা ওয়েবসাইটের ডেটা সংরক্ষণ করে। হোস্টিং সার্ভিস প্রদানকারী কোম্পানিগুলি ওয়েবসাইটের ডেটা সার্ভারগুলিতে সংরক্ষণ করে। এতে ব্যবহারকারীরা ওয়েবসাইট অ্যাক্সেস করতে পারে।

একটি টেবিলের মাধ্যমে ডোমেন ও হোস্টিংয়ের মধ্যে পার্থক্য দেখানো হল:

ডোমেন হোস্টিং
ওয়েবসাইটের নাম বা ঠিকানা ওয়েবসাইটের ডেটা সংরক্ষণ
উদাহরণ: google.com উদাহরণ: GoDaddy, Bluehost

ইন্টারনেটের উপকারিতা

ইন্টারনেটের উপকারিতা অসীম। দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেটের ব্যবহার আমাদের জীবনকে সহজ এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলেছে। নিচে ইন্টারনেটের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হলো।

যোগাযোগের সুবিধা

ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ এখন খুবই সহজ। আপনি খুব সহজেই ইমেল, চ্যাট, ভিডিও কল এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

  • ইমেল: দ্রুত এবং সহজে বার্তা পাঠানো যায়।
  • সোশ্যাল মিডিয়া: ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে বন্ধু ও পরিবারের সাথে সংযুক্ত থাকা যায়।
  • ভিডিও কল: স্কাইপ, জুম, গুগল মিটের মাধ্যমে মুখোমুখি আলাপ করা যায়।

তথ্যের সহজলভ্যতা

ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য পাওয়া এখন সহজ। আপনি যেকোনো সময় যেকোনো তথ্য খুঁজে পেতে পারেন।

  1. অনলাইন লাইব্রেরি: অসংখ্য বই ও গবেষণাপত্র পাওয়া যায়।
  2. সার্চ ইঞ্জিন: গুগল, বিং ব্যবহার করে যেকোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়।
  3. শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট: বিভিন্ন অনলাইন কোর্স এবং টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগের সুবিধা আমাদের জীবনকে দ্রুততর এবং সহজ করেছে।

ইন্টারনেটের ব্যবহার

ইন্টারনেটের ব্যবহার আজকের যুগে সব ক্ষেত্রেই অপরিহার্য। ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক কাজে ইন্টারনেটের ব্যবহার আমাদের জীবনে বিপ্লব এনেছে। ইন্টারনেট আমাদের জীবনের নানা দিককে সহজ এবং গতিশীল করেছে।

ব্যক্তিগত ব্যবহার

ব্যক্তিগত জীবনে ইন্টারনেটের ব্যবহার অবাধ এবং বহুমুখী। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা সহজেই তথ্য সংগ্রহ করতে পারি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে আমরা বন্ধু এবং পরিবারদের সাথে সংযুক্ত থাকতে পারি।

  • শিক্ষা: শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাস এবং কোর্স করতে পারে।
  • বিনোদন: ভিডিও, গান, এবং গেম খেলে সময় কাটানো যায়।
  • শপিং: অনলাইন শপিং করে প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করা যায়।

ব্যবসায়িক প্রয়োগ

ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার ব্যাপক এবং বহুমুখী। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা সহজ এবং কার্যকর হয়েছে।

ব্যবহার বর্ণনা
অনলাইন মার্কেটিং বিভিন্ন পণ্য এবং সেবা প্রচার করা যায়।
ই-কমার্স অনলাইনে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করা যায়।
রিমোট কাজ কর্মীরা দূর থেকে কাজ করতে পারে।

ইন্টারনেটের এই ব্যাপক ব্যবহার আমাদের জীবনকে সহজ এবং কার্যকর করেছে। প্রতিদিন আমরা নতুন নতুন সুবিধা পাচ্ছি ইন্টারনেটের মাধ্যমে।

ইন্টারনেটের নেতিবাচক প্রভাব

ইন্টারনেট আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে, এর কিছু নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য প্রাইভেসি এবং নিরাপত্তা ঝুঁকির মতো বিষয়গুলি চিন্তার কারণ।

প্রাইভেসি সমস্যা

ইন্টারনেটে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখা কঠিন। বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ্লিকেশন আমাদের তথ্য সংগ্রহ করে। এই তথ্যগুলি তৃতীয় পক্ষের সাথে শেয়ার করা হয়।

প্রাইভেসি লঙ্ঘন অনেক ক্ষেত্রেই ঘটে। এটি আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করে। বিজ্ঞাপনদাতারা আমাদের তথ্য ব্যবহার করে লক্ষ্যবস্তু বিজ্ঞাপন পাঠায়।

নিরাপত্তা ঝুঁকি

ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সাইবার আক্রমণ হতে পারে। হ্যাকাররা ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে। তারা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চুরি করতে পারে।

ম্যালওয়্যার এবং ভাইরাস কম্পিউটার এবং মোবাইল ডিভাইসে প্রবেশ করতে পারে। এটি ডিভাইসের কার্যক্ষমতা কমায় এবং তথ্য চুরি করে।

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি একটি বড় সমস্যা। সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

ইন্টারনেট এবং সমাজ

ইন্টারনেট আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এক বিশাল পরিবর্তন এনেছে। এটি কেবল একটি প্রযুক্তি নয়, এটি সমাজের কাঠামোকে নতুনভাবে গড়ে তুলেছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারছি, নতুন জ্ঞান অর্জন করতে পারছি এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজ সহজে সম্পন্ন করতে পারছি।

সামাজিক পরিবর্তন

ইন্টারনেটের আগমন সামাজিক পরিবর্তনের একটি বিশাল অংশ। এটি আমাদের সামাজিক যোগাযোগের ধরণকে সম্পূর্ণভাবে বদলে দিয়েছে। আগে যেখানে চিঠি বা ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ হতো, এখন ইমেল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং চ্যাটিং অ্যাপসের মাধ্যমে সহজেই যোগাযোগ করা সম্ভব।

  • সামাজিক যোগাযোগ: ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে আমরা আমাদের বন্ধু, পরিবার এবং পরিচিতদের সাথে সহজেই সংযুক্ত থাকতে পারি।
  • অনলাইন কমিউনিটি: বিভিন্ন অনলাইন ফোরাম এবং গ্রুপে অংশগ্রহণ করে আমরা আমাদের মতামত শেয়ার করতে পারি এবং নতুন তথ্য জানতে পারি।

শিক্ষা ও ইন্টারনেট

শিক্ষা ক্ষেত্রেও ইন্টারনেটের প্রভাব অপরিসীম। ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সহজে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষামূলক উপকরণ এবং রিসোর্স পেতে পারে।

  1. অনলাইন কোর্স: বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম যেমন কুরসেরা, উডেমি, খান একাডেমির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয়ে কোর্স করতে পারে।
  2. ই-বুক: ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সহজে ই-বুক এবং গবেষণা পত্র ডাউনলোড করতে পারে।
  3. ভিডিও লেকচার: ইউটিউব এবং অন্যান্য ভিডিও প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিও লেকচার দেখতে পারে।

এছাড়াও, ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অনলাইন টিউটোরিয়াল এবং অ্যাসাইনমেন্ট হেল্প পেতে পারে। এই সুবিধাগুলো শিক্ষার মানকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।

ইন্টারনেট কাকে বলে: জানুন ইন্টারনেটের মৌলিক ধারণা

Credit: www.facebook.com

ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ

ইন্টারনেট আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। এর ভবিষ্যৎ আরও উন্নত এবং সমৃদ্ধ হতে চলেছে। প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, নতুন চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা নিয়ে ইন্টারনেট ভবিষ্যতে কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনা করা যাক।

প্রযুক্তিগত অগ্রগতি

ইন্টারনেটের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। ৫জি প্রযুক্তি ইন্টারনেট ব্যবহারের নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এর মাধ্যমে দ্রুততর ডাউনলোড এবং আপলোড স্পিড পাওয়া যাচ্ছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ইন্টারনেটকে আরও স্মার্ট করে তুলছে। অটোমেশন, মেশিন লার্নিং, এবং ডিপ লার্নিং প্রযুক্তি ইন্টারনেটের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

ভবিষ্যতে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ইন্টারনেটের গতি এবং নিরাপত্তা আরও বৃদ্ধি করবে। এর ফলে ডেটা প্রসেসিং আরও দ্রুত এবং নির্ভুল হবে।

সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ

ইন্টারনেটের ভবিষ্যতে অনেক চ্যালেঞ্জও রয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হ্যাকিং, ডেটা চুরি এবং অনলাইন জালিয়াতি থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

অনলাইন গোপনীয়তা রক্ষা করা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে।

ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রসারে ডিজিটাল ডিভাইডও বড় চ্যালেঞ্জ। সব মানুষ সমানভাবে ইন্টারনেট সুবিধা পাচ্ছে না। বিশেষ করে গ্রামীণ এবং নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠী।

ইন্টারনেট কাকে বলে: জানুন ইন্টারনেটের মৌলিক ধারণা

Credit: techbdtricks.neocities.org

Frequently Asked Questions

ইন্টারনেট কী?

ইন্টারনেট হল একটি বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক যা কম্পিউটার এবং ডিভাইসগুলিকে সংযুক্ত করে। এটি তথ্য এবং যোগাযোগের সহজলভ্য মাধ্যম।

ইন্টারনেট কীভাবে কাজ করে?

ইন্টারনেট তথ্য ট্রান্সমিশনের জন্য সার্ভার, রাউটার এবং প্রোটোকল ব্যবহার করে। ডেটা প্যাকেট আকারে এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে পাঠানো হয়।

ইন্টারনেটের মূল উপাদান কী কী?

ইন্টারনেটের মূল উপাদানগুলি হল সার্ভার, রাউটার, মডেম এবং প্রোটোকল। এরা একসাথে কাজ করে যোগাযোগ স্থাপন করে।

ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা কী?

ইন্টারনেট তথ্যের সহজলভ্যতা, দ্রুত যোগাযোগ এবং বিনোদনের সুযোগ দেয়। এটি শিক্ষা এবং ব্যবসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Conclusion

ইন্টারনেট আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। এটি জ্ঞান ও বিনোদনের বিশাল ভান্ডার। ইন্টারনেট ব্যবহার করে আমরা সহজেই তথ্য খুঁজে পাই। যোগাযোগের জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর। শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেট বিশেষ সহায়ক। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও ইন্টারনেট অপরিহার্য। তাই, ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপত্তার বিষয়েও সচেতন থাকা উচিত। ইন্টারনেটের সুবিধা গ্রহণ করে আমরা আমাদের জীবনকে আরও সহজ এবং কার্যকর করতে পারি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১