OrdinaryITPostAd

কাকে বলে বিজ্ঞান: বিজ্ঞানের সংজ্ঞা ও গুরুত্ব

বিজ্ঞান কী? বিজ্ঞান হলো প্রকৃতির নিয়ম ও ঘটনাগুলোর অনুসন্ধান ও বিশ্লেষণ। এটি তথ্য ও পরীক্ষার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জনের প্রক্রিয়া। বিজ্ঞান আমাদের চারপাশের জগৎকে বোঝার একটি পদ্ধতি। এটি প্রশ্ন করে এবং পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তর খোঁজে। বিজ্ঞান আমাদের জীবনকে সহজ ও উন্নত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞানের সাহায্যে আমরা রোগ নিরাময় করতে পারি, প্রযুক্তি উন্নত করতে পারি এবং নতুন উদ্ভাবন করতে পারি। বিজ্ঞান বিভিন্ন শাখায় বিভক্ত, যেমন পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান। প্রতিটি শাখা আমাদের জীবনকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। এই প্রবন্ধে, আমরা বিজ্ঞান সম্পর্কে বিস্তারিত জানব এবং এর গুরুত্ব অন্বেষণ করব। প্রস্তুত হন, বিজ্ঞানের মজার জগতে প্রবেশ করতে!

কাকে বলে বিজ্ঞান: বিজ্ঞানের সংজ্ঞা ও গুরুত্ব

Credit: www.youtube.com

বিজ্ঞান কি

বিজ্ঞান কি? বিজ্ঞান একটি পদ্ধতিগত প্রক্রিয়া যা প্রকৃতির ঘটনা ও তার কার্যপ্রণালী ব্যাখ্যা করে। এটি পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করে। বিজ্ঞানের মাধ্যমে আমরা আমাদের চারপাশের জগৎ বুঝতে পারি এবং নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে পারি।

বিজ্ঞানের মূল ধারণা

বিজ্ঞান মূলত কিছু মূল ধারণা বা নীতির উপর ভিত্তি করে কাজ করে। প্রথমত, প্রকৃতির ঘটনাগুলি সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলে। দ্বিতীয়ত, পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষার মাধ্যমে এই নিয়মগুলি আবিষ্কৃত হয়। বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন তত্ত্ব ও মডেল তৈরি করেন যা পরীক্ষা করে দেখা হয়। এই পরীক্ষার ফলাফল থেকে তত্ত্বগুলি পরিমার্জিত বা পরিবর্তিত হতে পারে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি একে অপরের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত। বিজ্ঞান আমাদের নতুন জ্ঞান প্রদান করে এবং প্রযুক্তি সেই জ্ঞান ব্যবহার করে নতুন উদ্ভাবন ও সুবিধা সৃষ্টি করে। উদাহরণস্বরূপ, তরঙ্গ তত্ত্ব আবিষ্কারের মাধ্যমে আমরা রেডিও, টেলিভিশন এবং মোবাইল ফোনের মতো প্রযুক্তি তৈরি করতে পেরেছি।

এছাড়া, বিজ্ঞানের অগ্রগতি আমাদের জীবনের মান উন্নত করতে সাহায্য করেছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উদ্ভাবন আমাদের দীর্ঘায়ু বাড়িয়েছে। কৃষি প্রযুক্তি আমাদের খাদ্য উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়েছে।

বিজ্ঞানের ইতিহাস

বিজ্ঞান মানুষের জীবনে অপরিহার্য একটি বিষয়। বিজ্ঞান আমাদের আশেপাশের পৃথিবীকে বুঝতে সাহায্য করে। এটি ইতিহাসের প্রাচীন যুগ থেকে শুরু করে আধুনিক যুগ পর্যন্ত বিকাশ লাভ করেছে। বিজ্ঞানের ইতিহাস জানার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি কিভাবে বিজ্ঞান সমাজে প্রভাব ফেলেছে এবং কিভাবে এটি ভবিষ্যৎকে গঠন করতে পারে।

প্রাচীন যুগের বিজ্ঞান

প্রাচীন যুগে বিজ্ঞান মানুষের কৌতূহল থেকে উদ্ভূত হয়েছে। এই সময়ে মানুষ প্রকৃতির বিভিন্ন ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে তার কারণ খুঁজতে চেষ্টা করত। প্রাচীন মিশর, মেসোপটেমিয়া এবং গ্রীসের বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন।

  • মিশর: মিশরের বিজ্ঞানীরা জ্যামিতি এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে অগ্রণী ছিলেন। তারা প্রথমবারের মতো পিরামিড নির্মাণে গাণিতিক জ্ঞান ব্যবহার করেছিলেন।
  • মেসোপটেমিয়া: মেসোপটেমিয়ার বিজ্ঞানীরা জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং গণিতের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তারা প্রথমবারের মতো চাঁদের ক্যালেন্ডার তৈরি করেছিলেন।
  • গ্রীস: গ্রীসের বিজ্ঞানীরা প্রাকৃতিক ঘটনা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। আরিস্টটল এবং আর্কিমিডিসের মতো বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছিলেন।

আধুনিক বিজ্ঞানের উত্থান

আধুনিক বিজ্ঞানের উত্থান শুরু হয় ১৫শ শতাব্দীতে। এই সময়ে বিজ্ঞানীরা পরীক্ষামূলক পদ্ধতির মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করতে শুরু করেন।

  1. কোপার্নিকাস: কোপার্নিকাস সূর্যকেন্দ্রিক মহাকাশ তত্ত্ব প্রবর্তন করেন। তিনি দেখান যে পৃথিবী সূর্যকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়।
  2. গ্যালিলিও: গ্যালিলিও টেলিস্কোপ ব্যবহার করে মহাকাশের বিভিন্ন বস্তুকে পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি প্রমাণ করেন যে পৃথিবী সূর্যকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়।
  3. নিউটন: নিউটন মহাকর্ষীয় তত্ত্ব প্রবর্তন করেন। তার সূত্রগুলি আজও বিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়।

বিজ্ঞান সময়ের সাথে সাথে উন্নতি লাভ করেছে। প্রাচীন যুগ থেকে শুরু করে আধুনিক যুগ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণার মাধ্যমে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

বিজ্ঞানের শাখা

বিজ্ঞানের শাখা বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বিভক্ত। এটি বিভিন্ন প্রাকৃতিক এবং প্রয়োগিক সমস্যার সমাধান করতে সহায়ক। বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখা নিজস্ব গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বহন করে।

প্রাকৃতিক বিজ্ঞান

প্রাকৃতিক বিজ্ঞান প্রাকৃতিক বিশ্বের নিয়ম এবং প্রক্রিয়াগুলি নিয়ে গবেষণা করে। এটি আবার বিভিন্ন শাখায় বিভক্ত:

  • পদার্থবিজ্ঞান: পদার্থ এবং শক্তির আচরণ নিয়ে গবেষণা করে।
  • রাসায়নিক বিজ্ঞান: পদার্থের গঠন, বৈশিষ্ট্য এবং পরিবর্তনের অধ্যয়ন করে।
  • জীববিজ্ঞান: জীবিত প্রাণীর গঠন, কার্যকরিতা এবং বিবর্তন নিয়ে গবেষণা করে।

প্রয়োগিক বিজ্ঞান

প্রয়োগিক বিজ্ঞান বিভিন্ন সমস্যার বাস্তব সমাধান প্রদান করে। এটি প্রযুক্তির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে:

  • প্রকৌশল বিজ্ঞান: বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সমস্যার সমাধান করে।
  • কম্পিউটার বিজ্ঞান: তথ্য ও প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে।
  • চিকিৎসা বিজ্ঞান: মানব শরীর ও রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা করে।
কাকে বলে বিজ্ঞান: বিজ্ঞানের সংজ্ঞা ও গুরুত্ব

Credit: www.khaborerkagoj.com

বিজ্ঞানের মূলনীতি

বিজ্ঞান হলো একটি পদ্ধতিগত প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আমরা প্রকৃতির গোপনীয়তা উদঘাটন করি। বিজ্ঞানের মূলনীতি হলো সেই মূলনীতি যা বিজ্ঞানীদের পরিচালিত করে এবং যা বিজ্ঞানকে অনন্য ও নির্ভরযোগ্য করে তোলে। এই মূলনীতি অনুসরণ করেই বিজ্ঞানীরা নতুন তথ্য আবিষ্কার করেন এবং পুরাতন তথ্য যাচাই করেন।

পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা

বিজ্ঞানীদের কাজ শুরু হয় পর্যবেক্ষণ দিয়ে। প্রকৃতির বিভিন্ন ঘটনা এবং পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করে তারা তথ্য সংগ্রহ করেন। এই তথ্য তাদের গবেষণার ভিত্তি হয়।

পর্যবেক্ষণের পর আসে পরীক্ষা। বিজ্ঞানীরা তথ্য যাচাই করতে এবং নতুন তত্ত্ব প্রমাণ করতে পরীক্ষা করেন। পরীক্ষার মাধ্যমে তারা নিশ্চিত হন যে তাদের পর্যবেক্ষণ সঠিক ও নির্ভরযোগ্য।

তত্ত্ব ও প্রমাণ

পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণের পর বিজ্ঞানীরা একটি তত্ত্ব তৈরি করেন। এই তত্ত্ব প্রকৃতির একটি নির্দিষ্ট দিক ব্যাখ্যা করে।

তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত হলে তা প্রমাণ করতে হয়। বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে তত্ত্ব প্রমাণিত হয়। প্রমাণিত তত্ত্বগুলো বিজ্ঞানী মহলে গ্রহণযোগ্য হয় এবং পরবর্তী গবেষণার ভিত্তি হয়।

ধাপ বর্ণনা
পর্যবেক্ষণ প্রকৃতির ঘটনা ও পরিবর্তন লক্ষ্য করা
পরীক্ষা তথ্য যাচাই ও প্রমাণ করা
তত্ত্ব প্রকৃতির দিক ব্যাখ্যা করা
প্রমাণ তত্ত্ব প্রমাণ করা

এগুলোই বিজ্ঞানের মূলনীতি যা আমাদের জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করে।

বিজ্ঞানের গুরুত্ব

বিজ্ঞানের গুরুত্ব আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অপরিসীম। বিজ্ঞান আমাদের চারপাশের পৃথিবীকে বুঝতে এবং ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করে। এটি আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্মকে সহজ ও কার্যকর করে তোলে। বিজ্ঞান আমাদের সমাজকে উন্নত এবং আরও সুস্থ করে তুলতে পারে। আসুন দেখি বিজ্ঞানের গুরুত্ব কিভাবে প্রভাব ফেলে আমাদের জীবনে ও সমাজে।

দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান

বিজ্ঞান আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করি, যেমন মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, কম্পিউটার, এগুলো সবই বিজ্ঞানের অবদান। বিজ্ঞান আমাদের রান্নার পদ্ধতি, চিকিৎসা ব্যবস্থা, পরিবহন ব্যবস্থা, সবকিছুতেই ব্যবহার হয়।

  • রান্না ও খাদ্য সংরক্ষণ: মাইক্রোওয়েভ ওভেন, রেফ্রিজারেটর, এবং অন্যান্য রান্নার যন্ত্রপাতি বিজ্ঞানের আবিষ্কার।
  • চিকিৎসা: বিজ্ঞান চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছে। বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ওষুধ সবই বিজ্ঞানের অবদান।
  • পরিবহন: গাড়ি, ট্রেন, বিমান, জাহাজ, সবই বিজ্ঞানের আবিষ্কার। এগুলো আমাদের জীবনকে দ্রুত ও সুবিধাজনক করেছে।

সমাজে বিজ্ঞানের প্রভাব

বিজ্ঞান সমাজে একটি গভীর প্রভাব ফেলে। এটি আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, এবং রাজনীতিতে পরিবর্তন এনেছে।

  1. শিক্ষা: বিজ্ঞান শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করেছে। এটি নতুন শিক্ষার পদ্ধতি এবং উপকরণ এনেছে।
  2. সংস্কৃতি: বিজ্ঞান আমাদের সংস্কৃতি এবং চিন্তাধারা পরিবর্তন করেছে। এটি নতুন ধারণা এবং উদ্ভাবন এনেছে।
  3. অর্থনীতি: বিজ্ঞান অর্থনীতিকে উন্নত করেছে। নতুন পণ্য ও সেবা তৈরি হয়েছে।
  4. রাজনীতি: বিজ্ঞান রাজনীতিতে নতুন সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ এনেছে। এটি তথ্য ও যোগাযোগের নতুন মাধ্যম তৈরি করেছে।

বিজ্ঞান আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের জীবনকে সহজ, কার্যকর এবং উন্নত করে।

বিজ্ঞান ও শিক্ষা

বিজ্ঞান আমাদের জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। শিক্ষা আমাদের উন্নতির মূল চাবিকাঠি। বিজ্ঞান ও শিক্ষা একে অপরের পরিপূরক। বিজ্ঞান শিক্ষার মাধ্যমে আমরা নতুন জ্ঞান লাভ করি। যা আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যায়।

শিক্ষাব্যবস্থায় বিজ্ঞান

শিক্ষাব্যবস্থায় বিজ্ঞান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি আমাদের চারপাশের প্রকৃতি, প্রযুক্তি এবং বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধান শেখায়।

বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান পড়ানো হয়। এটি পাঠ্যক্রমের একটি প্রধান অংশ। বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের চিন্তাভাবনা উন্নত করে।

বিজ্ঞান শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা

বিজ্ঞান শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এটি আমাদের বুদ্ধি ও মেধা বিকাশ করে।

  • জ্ঞান বৃদ্ধি: বিজ্ঞান আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করে। নতুন আবিষ্কারের সাথে পরিচয় করায়।
  • সমস্যা সমাধান: বিজ্ঞান আমাদের সমস্যার সমাধান করতে শেখায়। এটি আমাদের যুক্তি ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • প্রযুক্তির উন্নতি: বিজ্ঞান প্রযুক্তির উন্নতি ঘটায়। এটি আমাদের জীবনকে সহজ করে তোলে।

অতএব, বিজ্ঞান শিক্ষা আমাদের জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিজ্ঞান ও গবেষণা

বিজ্ঞান ও গবেষণা হলো একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি অংশে প্রভাব ফেলে। বিজ্ঞানীরা নতুন নতুন আবিষ্কার ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে আমাদের জীবনকে সহজ ও উন্নত করে তুলছেন। গবেষণার মাধ্যমে তারা বিশ্বকে বুঝতে এবং উন্নত করতে কাজ করেন।

গবেষণার উপায়

গবেষণা হল তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণের প্রক্রিয়া। এটি বিভিন্ন উপায়ে করা যেতে পারে:

  • পর্যবেক্ষণ: প্রকৃতির ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে তথ্য সংগ্রহ করা।
  • পরীক্ষা: ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ফলাফল সংগ্রহ করা।
  • মডেলিং: কম্পিউটার মডেল তৈরি করে ভৌত প্রক্রিয়া বুঝতে চেষ্টা করা।
  • তথ্য বিশ্লেষণ: সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো।

বিজ্ঞানী ও তাদের আবিষ্কার

বিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্যমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেছেন যা আমাদের জীবনকে পরিবর্তন করেছে। কিছু উল্লেখযোগ্য বিজ্ঞানী ও তাদের আবিষ্কার নিম্নরূপ:

বিজ্ঞানীর নাম আবিষ্কার
আলবার্ট আইনস্টাইন আপেক্ষিকতা তত্ত্ব
আইজ্যাক নিউটন গুরত্বাকর্ষণ তত্ত্ব
মারি কুরি রেডিওধর্মিতা
লুই পাস্তুর পাস্তুরাইজেশন

এই আবিষ্কারগুলি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটিয়েছে। বিজ্ঞান ও গবেষণার মাধ্যমে আমরা নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন করি এবং বিশ্বের উন্নতিতে অবদান রাখি।

বিজ্ঞান ও নৈতিকতা

বিজ্ঞান ও নৈতিকতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিজ্ঞান আমাদের জীবন সহজ করে তুলেছে। কিন্তু এর সঙ্গে নৈতিকতার সম্পর্কও আছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতি সমাজের জন্য ভালো। কিন্তু তার সঙ্গে নৈতিকতার মেলবন্ধনও প্রয়োজন।

বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা

বিজ্ঞান অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারে। কিন্তু বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতাও আছে। বিজ্ঞান সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে না। কিছু প্রশ্নের উত্তর বিজ্ঞান দিতে অক্ষম।

  • নৈতিক প্রশ্ন
  • সমাজের মূল্যবোধ
  • ব্যক্তিগত বিশ্বাস

এই বিষয়গুলি বিজ্ঞানের বাইরে। বিজ্ঞান আমাদের প্রযুক্তিগত সুবিধা দেয়। কিন্তু নৈতিকতা আমাদের মূল্যবোধ ও নীতি শেখায়।

বিজ্ঞান ও সমাজের সম্পর্ক

বিজ্ঞান ও সমাজের সম্পর্ক গভীর ও গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞান আমাদের জীবনযাত্রা পরিবর্তন করেছে। আমাদের স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, ও শিক্ষার উন্নতি হয়েছে।

  1. স্বাস্থ্য সেবা উন্নতি
  2. যোগাযোগ সহজ
  3. শিক্ষা বিস্তৃত

কিন্তু এই উন্নতির সঙ্গে নৈতিকতার সম্পর্কও আছে। বিজ্ঞান একা সমাজের সব সমস্যার সমাধান করতে পারে না। নৈতিকতার সঙ্গে বিজ্ঞানের মেলবন্ধন প্রয়োজন।

কাকে বলে বিজ্ঞান: বিজ্ঞানের সংজ্ঞা ও গুরুত্ব

Credit: www.youtube.com

Frequently Asked Questions

বিজ্ঞান কাকে বলে?

বিজ্ঞান হলো জ্ঞান অর্জনের প্রক্রিয়া যা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়। এটি প্রাকৃতিক জগতের নিয়ম ও ঘটনার বিশ্লেষণ করে।

বিজ্ঞান কেন গুরুত্বপূর্ণ?

বিজ্ঞান আমাদের চারপাশের জগতকে বুঝতে সাহায্য করে। এটি প্রযুক্তি ও চিকিৎসায় উন্নতি আনে এবং মানবজীবনকে সহজ করে তোলে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কীভাবে সম্পর্কিত?

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি একে অপরের সাথে সংযুক্ত। বিজ্ঞান নতুন আবিষ্কার করে, আর প্রযুক্তি সেই আবিষ্কারকে ব্যবহারযোগ্য করে তোলে।

বিজ্ঞানের শাখাগুলো কী কী?

বিজ্ঞানের প্রধান শাখাগুলো হলো পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান এবং ভূবিজ্ঞান। প্রতিটি শাখা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের জ্ঞান প্রদান করে।

Conclusion

বিজ্ঞান আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি আমাদের চারপাশের জগৎকে বোঝার উপায়। নতুন আবিষ্কার এবং প্রযুক্তি উন্নয়নের মাধ্যমে জীবন সহজতর হয়। বিজ্ঞান আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্যও অপরিহার্য। এটি নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি এবং ওষুধ আবিষ্কার করে। শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ বাড়ানো দরকার। কারণ, বিজ্ঞান শিক্ষার মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতের সমস্যার সমাধান করতে পারি। বিজ্ঞানের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই, বিজ্ঞানের প্রতি আমাদের ভালোবাসা এবং আগ্রহ থাকা উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১